ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

বিশ্বজমিন

ট্রাম্পের জয়ে কোন পথে বিশ্ব বাণিজ্য

মানবজমিন ডেস্ক

(১ মাস আগে) ৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

mzamin

ডনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বলেছিলেন হোয়াইট হাউসে ফিরতে পারলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সকল পণ্যের ওপর কর আরোপ করবেন। ট্রাম্পের ভূমিধস জয়ের পর বিশ্ববাজারে তার বাণিজ্য নীতি কেমন প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানামুখী চিন্তা। অতীতে ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন পণ্যকে লক্ষ্য করে তার কর নীতি প্রয়োগ করেছিলেন। যেমন চীনের ক্ষেত্রে তিনি স্টিল বা ইস্পাতকে লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন। ট্রাম্প যদি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল বিদেশি পণ্যের ওপর ১০-২০ শতাংশ কর আরোপ করেন তাহলে বিশ্ব বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা অর্থনীতিবিদদের।

বিবিসি’র এক খবরে বলা হয়েছে, এবার ট্রাম্পের কর নীতির প্রথম ধাক্কাটা শুরু হতে পারে ইউরোপ থেকে। কেননা তিনি গত মাসে তার এক বক্তৃতায় বলেছেন, ‘ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বেশ চমৎকার, তাইনা? ইউরোপের ছোট ছোট দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আছে... তারা আমাদের কোনো গাড়ি আমদানি করছে না। তারা আমাদের উৎপাদিত পণ্য ব্যবহার করছে না। কিন্তু তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের গাড়ি রপ্তানি করছে। না, না, না- তাদের এ জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।’ 

ট্রাম্পের জয়ের পরপরই ইউরোপের বৃহৎ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কপালে চিন্তার ভাজ পড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ এবং ভক্সওয়াগেনের শেয়ারের দর পতন হয়েছে ৫ থেকে ৭ শতাংশ। উল্লেখ্য, ইউরোপের দেশ জার্মানির গাড়ি নির্মাতাদের একক বৃহত্তম রপ্তানির বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে তারা যদি অতিরিক্ত করের কবলে পড়ে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ক্রেতা হারাতে পারে জার্মানির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেছেন, চীনকে দমন এবং অবৈধ অভিবাসন রোধসহ অসংখ্য সমস্যার উত্তর হচ্ছে কর আরোপ করা। ট্রাম্প ঠাট্টা করে বলেন, কর হচ্ছে অভিধানে ব্যবহৃত বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর শব্দ। তিনি মনে করেন কর আরোপ করা হচ্ছে কোনো দেশের বিরুদ্ধে একটি বড় অস্ত্র যার ব্যবহার তিনি নিশ্চিত করবেন। যদিও এসব বক্তব্য তিনি চীনকে লক্ষ্য করেই দিয়েছেন তারপরেও অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হতে পারে বলে ধারণা অর্থনীতিবিদদের। অন্যদিকে চীন যেন বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান হারায় সে জন্যও কাজ করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। 

তবে জি-৭ এর অর্থমন্ত্রী মনে করেন যে ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব অর্থনীতিতে তাদের মিত্রদের কথা স্মরণ রাখা উচিত। তিনি বলেছেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে এ বিষয়টি তুলে ধরবেন। তবে এটি এ জন্য না যে, তার ধারণা বিশ্বে বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা করবে। 

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status