বিবিধ
এনভয় টেক্সটাইলসের ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা: সালাম মুর্শেদী বোর্ড থেকে অপসারিত
(১ মাস আগে) ৫ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
বিশ্বের প্রথম লিড প্লাটিনাম-সার্টিফাইড ডেনিম কারখানা এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে অপসারণ করেছেন শেয়ারহোল্ডাররা।
শনিবার গুলশান শ্যুটিং ক্লাবে অনুষ্ঠিত কোম্পানির ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় মুর্শেদীর পুনঃনির্বাচনের বিরুদ্ধে ৮৪.২৪% শেয়ারহোল্ডার ভোট দিয়েছেন বলে কোম্পানির সূত্রে জানা গেছে।
মুর্শেদীর স্থান পূরণে হংকং ভিত্তিক বহুজাতিক এপিক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কসমোপলিটান ইন্ডাস্ট্রিজের মনোনীত প্রতিনিধি দিনেশ গোপ ভিরওয়ানি নতুন পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর শেয়ারহোল্ডাররা রাশিদা আহমেদ ও এস কে বশির আহমেদ মামুনকে পুনরায় পরিচালক পদে নির্বাচিত করেছেন।
সাধারণ সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় প্রায় ২৫ জন শেয়ারহোল্ডার অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে একজন- মাহবুবুল হক বাবু- মুর্শেদীকে অপসারণের পরও অফিসের নির্ধারিত স্থান ও গাড়ি ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুনে অনিয়মের অভিযোগে মুর্শেদীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তার পরিবর্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে নির্বাচিত হন তানভীর আহমেদ। শেয়ারহোল্ডারদের মতে, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে মুর্শেদী এখনও কোম্পানির অফিসের জায়গা ও গাড়ি অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন। মাহবুবুল হক বাবু কোম্পানির প্রাপ্য পরিশোধের জন্য মুর্শেদীর ৭.৪৭% শেয়ারের বিষয়ে একটি অতিরিক্ত সাধারণ সভা (ইজিএম) আহবানের জন্য অনুরোধ জানান। অন্যদিকে শেয়ারহোল্ডার গোলাম ফারুক- বোর্ডকে মুর্শেদীর শেয়ার বিক্রির ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদালতের আদেশ নেয়ার প্রস্তাব দেন। এছাড়া শেয়ারহোল্ডার আব্দুল মোতালেব, নুরুল আনোয়ার এবং জাহাঙ্গীর আলম কোম্পানির সুনাম ক্ষুণ্ন করার দায়ে মুর্শেদীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্র সমন্বয়কারীরা এনভয় টাওয়ারের অফিস ফ্লোর খালি করতে সাহায্য করেন। তবে মুর্শেদী এখনও কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার করছেন এবং তার স্থিতি পাওনা এখনও পরিশোধ করেননি।
এনভয় টেক্সটাইলসের ২০২৪ সনের আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানি ২০১২ সালে স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ মুনাফা দেখিয়েছে, যা ৬০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। প্রতি শেয়ারের আয় (ইপিএস) গত অর্থবছরের ১.৯৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩.৫৮ টাকায় পৌঁছেছে। কোম্পানির বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে, যা বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদিত হয়েছে।