অনলাইন
চ্যানেল আই ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে মতিউর রহমান
১০ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৪ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ২:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৩ অপরাহ্ন
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া।
রাজনীতিতে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ফিরে আসা নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টে মানুষের যে ক্ষোভ দেখেছি, এটা আমরা অতীতে জানতাম। কিন্তু, এটা প্রকাশ্যে এমনভাবে আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয়নি। মানুষের মধ্যে যে ঘৃণার উদ্রেক হয়েছে, অনাস্থা তৈরি হয়েছে সেখানে আগামী দিনে ফিরে এসে নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম দেখা যায়। আমি মনে করি, আগামী দশ বছরের মধ্যে তাদের ফিরে আসা, দল পুনর্গঠন ও দল পরিচালনা করা এবং নির্বাচন বা গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না।’
রোববার দিবাগত রাতে চ্যানেল আই আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা দেখতে পেয়েছি, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার পতনের পর তারা আবার ফিরে এসেছে। এমনকি বিদেশে পলায়নের পরও ফিরে এসেছে, ফিলিপিনের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি সেটা। হাইতি বা দুয়েকটা দেশের কথা শুনেছি, তারা ফিরে এসেছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এবং তার দলের একটা বড় অংশ যারা মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছিলেন তারাও পালিয়ে গেছেন। দেশের ভেতরে যারা আছেন তাদের বড় অংশ জেলে বা লুকিয়ে আছেন। বর্তমান সরকার তাদের বিচার করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। বিচার হবে, বিচারে জন্য হয়ত আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’
বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘আমার ৫২ বছরের অভিজ্ঞতায় সত্যিকার অর্থে কোনো সময় আমরা স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারিনি।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন মাস পূর্ণ হতে চলেছে-এই সময়ে সাংবাদিকতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিগত তিন মাসেও নানা রকম অস্থিরতা, ভয় ও দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। নানা রকম চাপের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। অতীতে দেখেছি কিছু আইন-কানুন বা ব্যবস্থা সরকার নিয়েছিল বা নেয়ার পথে ছিল। আমরা অবশ্য সেই আইন বাতিল দাবি করবো। বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন-এটা বাতিল করার দাবি ছিলো। এই আইনে অনেক মামলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে এখনো একটা মামলা চলমান। এই আইনগুলো বাতিল করা অত্যন্ত জরুরি।’
সাংবাদিকদের ভয়ে থাকতে হবে না, এমন একটা পরিবেশ চান প্রথিতযশা এই সাংবাদিক।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে মতিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত পাশাপাশি দুটি দেশ। একটা বৃহৎ দেশ, তার পাশে আমরা ছোট একটা দেশ। ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব গত এক-দুই দশকে অনেক বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমরা চাই, অর্থাৎ বিগত কোনো সরকার এটা অস্বীকার করতে পারেনি যে-দুটো দেশের মধ্যে একটা স্বাভাবিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত। কারণ আমাদের অবশ্যই পারস্পরিক নির্ভরশীলতা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা, আসা-যাওয়া, শিল্পকারখানা, বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানা ক্ষেত্রে সম্পর্ক অব্যাহত থাকুক এটা আমরা চেয়েছি। তবে আমরা চাইলেও দুই দেশের সরকারের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবে অগ্রসর হয়নি।’
তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, বিগত সময়গুলোতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের কথা বলা হলেও তিস্তা নদীর পানি কিন্তু আমরা পাইনি। এমনকি গঙ্গা নদীর পানি নিয়েও আমাদের আলোচনা শেষ হয়নি। আরও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। দুই দেশের যৌথ নদীর পানিবণ্টন বিষয়য়ক যে বিষয়গুলো আছে, সেখানেও সমস্যা রয়েছে এবং এটা পূর্ণতা হয়নি।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে এই সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ‘সীমান্তে যে অস্থিরতা, বাংলাদেশিদের নিহতের ঘটনা এখনো চলছে। বার বার ভারতের পক্ষ থেকে বলা হলেও এটা এখনো বন্ধ হয়নি।’
মতিউর রহমান বলেন, ‘বিগত স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতন ভারত স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। আমাদের সবার এটা জানা। বিগত সময়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক একটা পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যেখানে ভারত খুবই নিশ্চিন্তবোধ করেছে। তারা মনে করেছে এটা তাদের জন্য একটা ভালো এবং স্থায়ী ব্যবস্থা। এটার জন্য তারা বিগত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখেছিল।’
যে কিনা পৃথিবীর কোনো দেশে মাথা গুজার ঠাই পাচ্ছেনা; আবার ক্ষমতা ! ওই বুড়ি বেটির গায়ে রোস আছে নি, যে কেও নিব হেতারে?
Not in this lifetime, please.
এই কুলে আমি আর ঐ কূলে তুমি, ১০০ বছর পরে আবার দেখা হবে গো।
১০ এর সাথে একটা ০ যোগ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ মানেই ভারতীয় শাসন। আওয়ামী লীগ আর ভারতকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের নেতাই বলেছে, ভারত আছে আমরা আছি, আওয়ামী লীগকে যেকোনোভাবেই ক্ষমতায় আনার অনুরোধও করেছছিল এ কে আ মমিন। আর বর্তমানেও ভারত পলাতক শাসকগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে। ভারতকে ছাড়াও বাংলাদেশের মানুষের চলা সম্ভব। এটা সাধারণ জনগণ বুঝতে পারলেও মতিউর সাহেবরা বুঝতে চায় না!
১০ বছর কেন? ৭৫ এর বাকশাল, ২৪ এর স্বৈরাচারের পরিবারের কাওকে আর কখনো এই দেশের জনগন দেখতে চায় না।
পরিবার তান্ত্রিক একটা স্বৈরাচারী দল, হাসিনা যদি ৩০ বছর বেছে থাকে হয়ত আসলেও আসতে পারে !! হাসিনা মারা গেলে আওয়ামীলীগ নামে কোন দল থাকবেনা। ঠিক বি এন পি একই পরিনিতি হতে বাদ্য যদি দল গনতান্রতিক পদ্দতি গ্রহন না করে ! আপাদত তারেক যত দিন বেছে আছে তত দিন বি এন পি থাকবে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আর জামাত থাকবে প্রধান বিরোধী দল যদি অন্য ইসলামিক দল গুলি জামাতকে সমর্থন না করে। আর জামাতকে সমর্থন করলে জামাত রাস্ট পরিছালনা করবে বি এন পির পাশা পাশি এটাই হচ্ছে বাংলাদেশর আগামীর বাস্তবতা।
শেখ পরিবার বয়কট করে নতুন প্রজন্ম আওয়ামী লীগের সংস্কারের মাধ্যমে হয়তোবা ভোটের রাজনীতি করতে দেওয়া হবে।
১০ বছর কি? জনগণ চাচ্ছে এই দল নিষিদ্ধ হয়ে যাক। আর যদি নিষিদ্ধ না ও হয়, আগামী ৫০ বছরের জন্য বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদ দেখবে না। মনে রাখা দরকার। যারা তাদের বিগত ১৫ বছরের শাসন দেখেছে তাদের জীবদ্বশায় আওয়ামীলীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাদের অত্যাচার জনগণ এতো সকাল ভুলবে না।
Bangkadedh peoples will decide which party will be elected by election.So do not say 10 years 63 years matter. Wait and see.God bless us.
দুই মতি ই দুষ্ট বুদ্ধির লোক। জনগণ ঠিক করে দিবে আওয়ামী লীগ কখন ক্ষমতায় আসবে, উনারা বলার কে?
র এর প্রধান এজেন্ট এখানেও ইন্ডিয়ার দালালি করছে, দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা, আসা-যাওয়া, শিল্পকারখানা, বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানা ক্ষেত্রে সম্পর্ক অব্যাহত থাকুক সেটা সে এখনো চাই, এই ভাবেই তো দেশ টা ইজারা দিয়েছিল হাসু।
এই প্রথম আলো আওয়ামী আমলে জঙ্গি নাটক করেছিল। এরা সৈরাচারের দোসর। এদের বয়কট করতে হবে।
নাটক কম কর পিও। তোমার বদমতলব আমরা জানি। ১০ বছর বলে জনগনকে বোঝাতে চাও তোমরা আওয়ামী লীগকে চাও না।
আপনাদের মত হলুদ সাংবাদিকদের প্রস্রয়ে কারনেই প্রায় ১৫ বছর হাসিনা গুম খুন চুরি ডাকাতি করার সাহস পেয়েছিল। এখনো সময় আছে সত্যকে সত্য মিথ্যা কে মিথ্যা বলে না হয় নতুন প্রজন্ম ক্ষমা করবে না।
মতিউর রহমান সাহেব ভারত নিয়ে ভাবনা না করাই উত্তম। ভারত দৌড়াবে আর আমরা তাদের লেজে ধরে পেছনে দৌড়াবো সে দিন ফুরিয়ে গেছে। আর আপনাদের স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে দেয়া মানে ভারত নিয়ে তোষামোদি জায়গা তৈরি করা নয়। আপনি যদি বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনার চিন্তা আপনার চেতনা হতে হবে বাংলাদেশ এবং এই ভূখণ্ডের নিঃপেষিত জনগণ।
তার মানে ১০ বছর পরে আমরা আবার স্বৈরতন্ত্রের কবলে পড়ব? আবার একদলীয় নিরবাচন দেখতে হবে?
আমি ধারনা করি সামনের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করবে এবং ক্ষমতায় আসবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে একই দল পর পর দু'বার নির্বাচিত হয়ে আসার নজির বাংলাদেশে নেই। এবার বিএনপি জিতলেও পরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসবেনা এটা হলফ করে বলা যায় না। এর আগে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসেছিল ঠিকই, কিন্তু এর ১৬ বছরই ছিল সামরিক শাসন।
Not anymore BAL in BD.
অদূর ভবিষ্যতে লীগ ক্ষমতায় আসলেও আসতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই বর্তমান নেতৃত্বকে বদল করতে হবে, নতুন নেতৃত্ব আসতে হবে, বর্তমান নেতৃত্ব মৃত লাশ, এই নেতৃত্ব থেকে লাশের গন্ধ আসে, এই নেতৃত্ব বহাল থাকলে ক্ষমতায় আসার কোন সম্ভাবনা নেই
শেখ হাসিনার স্বৈরতন্ত্রিক মনোভাব ও ফ্যাসিবাদি হয়ে উঠার পেছনে দলকানা ও চাটুকার সাংবাদিকরাও সহযোগি হয়ে কাজ করেছে। মতিউর রহমানরাও কখনোই রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে থেকে সঠিক সাংবাদিকতা করতে ব্যর্থ হয়েছে ---
মতিউর রহমান একজন বিতর্কিত সম্পাদক। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পরোক্ষ মদদদাতা এই প্রথম আলো এবং মতিউর রহমান গং। ভারতের এদেশীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় এই গোষ্ঠী! তাই ভারতের সমালোচনায় তাদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে!! বয়কট মতিউর রহমান। বয়কট প্রথম আলো।
only Ten years why not 100 years
মতিউর রহমান সাহেব একজন ভারত পন্থী।তার বক্তব্য মানবজমিনের হেডলাইন করা ঠিকনয়।উনি ১০বছর বলেছেন আমার মনে হয় আলীগের পক্ষে এ কথাটা বলার জন্যই তিনি টকশোতে গেছেন
তার মানে ওনি বলতে চাচ্ছেন আওয়ামীলীগ ১০ বছর পর ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা আছে? ওনি খুব বেশী চিন্তা করে কথাটা বলেননি!
দেশের মানুষ যেকোনো দু:সহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চায় কিন্তু তাদের দোসরররা ছাড়া খুনি আওয়ামীলীগকে পুনরায় কেউ ই আর চায়না।
৭২-৭৫ এর কৃতকর্মের জন্য ২১ বছর জনগণের দুয়ারে ঘুরে মাথায় পট্টি, হাতে তসবিহ নিয়ে ক্ষমা চেয়ে ক্ষমতা এসেছিল। এবারতো হিসাবে বলে ক্ষমতায় আসার জন্য ৬৩ বছর অপেক্ষা করতে হবে। মতিউর রহমান ভাইয়ের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আগামী ১০ বছর পার্টি অফিসে মোমবাতি জ্বালানোর লোক পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে।
আওয়ামীলীগ ত্রিশ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।