অনলাইন
মার্কিন নির্বাচন
জনগণের ভোটে জিতেও প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি যারা
হেলাল উদদীন রানা, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
(১ মাস আগে) ৪ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
হিলারি ক্লিনটন, আল গোর ও গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। ছবি কোলাজ: মানবজমিন
হিলারি ক্লিনটনকে মনে আছে? ২০১৬ সালে আজকের আলোচিত-সমালোচিত প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে লড়েছিলেন। প্রায় ২৯ লাখ বেশি পপুলার ভোটে জয়লাভ করেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। একইভাবে ২০০০ সালে প্রায় ৫ লাখ ৩৮ হাজার ভোটে জনরায় পেয়েও ক্ষমতার মসনদে বসতে পারেননি তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে প্রেসিডেন্ট হন জর্জ বুশ। কারণ একটাই ইলেক্টোরাল ভোটের মারপ্যাচ।
আমেরিকার ইতিহাসে এমন ৫টি নির্বাচনে সাধারণ জনগণের ভোট পেয়েও ইলেক্টোরাল ভোটের মারপ্যাচে হোয়াইট হাউসে যেতে পারেননি ৫ জন জনপ্রিয় নেতা। এই ইলেক্টোরাল কলেজের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়েছে ডেমোক্রেটদের। ইতিহাস বলছে, এদের সকলেই ডেমোক্রেট পার্টির
প্রার্থী ছিলেন।
১৮২৪ সালে এন্ড্রো জ্যাকসন (ডেমোক্রেট-রিপাবলিকান পার্টি), ১৮৭৬ সালে স্যামুয়ল জে টিলডেন (ডেমোক্রেট), ১৮৮৮ সালে গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড (ডেমোক্রেট), ২০০০ সালে আল গোর (ডেমোক্রেট) ও ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটন (ডেমোক্রেট)।
হিলারি ক্লিনটন সাবেক ফাস্টলেডি, নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত সিনেটর ও আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আল গোর ছিলেন বিল ক্লিনটনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি একজন নোবেল জয়ীও। ২০০৭ সালে গোর জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৮৮ সালে ডেমোক্রেট দলের হয়ে প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারিতে মাইকেল ডুকাকিসের সঙ্গে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন।
পক্ষান্তরে ইলেক্টোরাল ভোটের গ্যাড়াকলের কারণে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন যথাক্রমে জন কুইন্সি, এডামস, রোদারফোর্ড বি হেইস, বেঞ্জামিন হ্যারিসন, জর্জ ডব্লিউ, বুশ ও ডনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার নির্বাচনে সাধারণের ভোটের পাশাপাশি প্রার্থীকে ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট নিশ্চিত করতে হয় প্রেসিডেন্ট হতে হলে। যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্য এবং দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি মিলে সর্বমোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। এই ভোট সিস্টেমকে ইলেক্টোরাল কলেজ বলা হয়ে থাকে। এই কলেজ আসলে প্রতীকী। যে রাজ্যে যে দল জয়লাভ করে তাদের দলীয় নেতৃবৃন্দ এই প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করে থাকে। প্রত্যেক রাজ্য থেকে এই ইলেক্টোরাল ভোটের সার্টিফিকেশন পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে।
নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখে নির্ধারিত সেশনে মার্কিন সিনেট ভাইস প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তা অনুমোদন করে থাকে।
ডেমোক্রেট পার্টি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৮২৮ সালে। এর প্রায় ২৬ বছর পর ১৮৫৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে রিপাবলিকান পার্টি। বর্তমানে এই দুই ধারায় বিভক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি।