রাজনীতি
সরকারকে মির্জা ফখরুল
দ্রুত নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৮:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
অতিদ্রুত নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
কারও নাম উল্লেখ না করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে একজন উপদেষ্টা একটা মন্তব্য করেছেন, যেটা আমরা তার কাছ থেকে আশা করেনি। তিনি বলেছেন, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উসখুস করছে। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক কথা। আমরা আশা করি না, এই মাপের মানুষ এ ধরনের কথা বলবেন। তিনি এ ধরনের মন্তব্য করবেন। আমরা রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উসখুস করি না। আমরা বাংলাদেশকে হাসিনা (শেখ হাসিনা) মুক্ত করার জন্য কাজ করেছি, জীবন দিয়েছি, প্রাণ দিয়েছি- এখন গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, আবারও বলছি- অতিদ্রুত নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন। জঞ্জাল যা আছে তা সাফ করে ফেলুন। দায়িত্বটা আপনাদের উপরে দেয়া হয়েছে। আমরা সহযোগিতা করছি, আপনারাও করুন। তিনি বলেন, আমরা তো ক্ষমতায় যেতেই চাই। সেজন্যই তো রাজনৈতিক দল করি। নির্বাচন করব, ক্ষমতায় যাব। এটার জন্য তো আমরা রাজনীতি করছি, তাই না। সেখানে এধরনের কথা বললে সঠিক হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বিএনপি নয় শুধু, বাংলাদেশই সঙ্কট অতিক্রম করতে পারেনি। হাসিনা গেছেন। হাসিনা যাওয়াতে বিদেশে সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়েছে। আমরা ভয়াবহ একটা দানবের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি। কিন্তু এখনো কিন্তু স্বস্তি নেই। কোথায় যেনো আটকে আছি। আটকে আছি এখানেই যে, আমাদের জনগণের সরকার এখনো প্রতিষ্ঠা হয় নাই। আছে একটা সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) যাকে আমরা সমর্থন দিয়েছি।
ফখরুল বলেন, খুব পরিষ্কার কথা, আবারও চক্রান্ত করে বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিছু করার চেষ্টা করবেন না। এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না। একবার মাইনাস টু করার চেষ্টা করা হয়েছে। আবারও ওই রাস্তায় যাওয়ার কথা কেউ চিন্তা করবেন না।
দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
যাদের আগামী ২০০ বছরেও জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ হবে না, তারাই নির্বাচনকে ভয় পায়। তাদের ধান্ধা হল নির্বাচনকে যত বিলম্বিত করা যাবে, দুর্বল অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়ে তত সুবিধা আদায় করা যাবে।
hang him high.
বিএনপি'র নেতাকর্মীরা না খেয়ে আছে। ১৫ বছর তারা চাঁদাবাজি করতে পারে নাই। তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিলে তারা চাঁদাবাজ ি শুরু করতে পারবেন