শেষের পাতা
শহীদ পরিবারের একজন করে সদস্যের চাকরির ব্যবস্থা করবে ফাউন্ডেশন
স্টাফ রিপোর্টার
৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবারজুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের অন্তত একজন সদস্যের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। এ ছাড়াও স্বজন হারানো পরিবারের পুনর্বাসন, দীর্ঘমেয়াদি সম্মানীভাতারও ব্যবস্থা করা হবে। গতকাল
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে তিনি এ তথ্য জানান। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রথম ধাপে ৫০ জন ‘শহীদ পরিবারের’ প্রত্যেকের হাতে ৫ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক তুলে দেন নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ। সারজিস আলম বলেন, পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে আর্থিক সহযোগিতা হোক, দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন হোক, আমাদের শহীদ ভাইদের পরিবার থেকে অন্তত একজনের বিভিন্ন জায়গায় চাকরির ব্যবস্থা হোক, আমাদের যারা আহত ভাইরা রয়েছে, তাদের পুনর্বাসন কিংবা দীর্ঘমেয়াদি সম্মানীভাতা থেকে শুরু করে সকল পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। তিনি বলেন, এটি মাত্র শুরু। এ ফাউন্ডেশন কয়েক মাসের জন্য না, অন্তর্বর্তী সরকার যে ‘কিছু দিন’ থাকবে, ওই ‘কিছু দিনের’ জন্য এ ফাউন্ডেশন নয়। আমরা প্রয়োজনে এ ফাউন্ডেশনকে জীবনের বিনিময়ে বাঁচিয়ে রাখবো; যতদিন আমাদের একজনও আহত ভাই বেঁচে থাকবে, যতদিন শহীদ পরিবারের সদস্যরা থাকবেন। সারজিস বলেন, আমরা আপনাদের সন্তান হিসেবে হোক, ভাই হিসেবে হোক এতটুকু আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি তখনও ছিল না, এখনো নেই, সামনেও থাকবে না। আমাদের যথেষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। আমার যদি নিজেদের একটু গুছিয়ে নিতে পারি তাহলে খুব দ্রুত, আমাদের ইচ্ছা রয়েছে আমরা প্রত্যেক বীর শহীদ ভাইদের বাড়িতে যাবো। আমরা আমাদের ভাইদের সঙ্গে, বাবাদের সঙ্গে বোনদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে তাদের কথাগুলো শুনবো। তিনি বলেন, আহত ও ‘শহীদ’ পরিবারের যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমি ধরে নিচ্ছি আমার ১৬শ’ ভাইবোন রয়েছে। এরমধ্যে যদি ১০ জনও এমন ঢুকেন যারা প্রশ্নবিদ্ধ, যারা অভ্যুত্থানের শহীদ নন, ওই দশজনের জন্য সবাইকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে। এ সময় জরুরি প্রয়োজনে আহত ও ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্যদের ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন সারজিস।
ধন্যবাদ মি: সারজিস আলমকে ।আমার জানামতে একজন শহীদ পরিবারের জায়গা জমি ঘরবাড়ি কিছুই নাই । তিনি হলেন সিলেট জেলার গোলাপগন্জ উপজেলার শীলঘাট গ্রামের শহীদ সানী আহমেদ এর পিতা কয়ছর আহমদ ।
শহিদদের পরিবারকে এককালীন একটা ভাল পরিমাণ টাকা দেন, মাসিক ভাতা দেন বা আর অন্ন কিছু দেন তবে সেই পরিবার থেকে একজনকে চাকরী দেওয়ার বেশ কিছুটা বিরোধী আমি। ধরুন, এক পরিবারের ভাইবোন সব মিলিয়ে ৫ জন, একজন শহীদ বাদ দিলে থাকে ৪ জন, একজন চাকরী পেলে বাকি তিনজনের মদ্ধে ইরসা হওয়া সাভাবিক। যে চাকরী পেলো সে যে সারাজীবন শহীদের বাবা-মা কে দেখবে তার গারান্টি কি? তার যখন নিজের পরিবার হবে তখন সে হয়তো তার এ-ই পরিবারকেও ঠিকমত নাও দেখতে পারে। দেখা গেলো যে চাকরী পেলো সে শহীদের বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান (যদি থাকে) কে একটা সময় পরে আর দেখাশোনাই করলো না সেক্ষেত্রে শহীদের আত্তার সাথে বেইমানি করা হবে। তার চাইতে ভাতা বাড়িয়ে দেওয়া হোক।
খুবই একটা ভালো খবর। শহীদ পরিবারকে সহায়তা অব্যাহত রাখা হোক।