প্রথম পাতা
ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৩১ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবারবাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কান্ট্রি অফিস খোলার বিষয়ে সরকারের তরফে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গতকাল নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে উপদেষ্টা এ দাবি করেন। বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কান্ট্রি অফিস খুলতে দেয়া হবে বা হবে না এর কোনোটাই বলেনি বাংলাদেশ। তাদের মৌখিক প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত জাতিসংঘ এ নিয়ে লিখিত কোনো প্রস্তাব দেয়নি। মৌখিক একটি প্রস্তাব এসেছে। এটি গ্রহণ বা বর্জনের আগে বাংলাদেশ সরকার খতিয়ে দেখতে এমন অফিসের এখানে আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কিনা? বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস (ওএইচসিএইচআর) খোলার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার সম্মতি দিয়েছে, সম্প্রতি এমন খবর গণমাধ্যমে এসেছে। আবার সরকারের অসম্মতি এবং এখনই এই দপ্তর চালু হচ্ছে না, এমন খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সম্মতি ও অসম্মতি তো একসঙ্গে হতে পারে না। যখন সম্মতি ও অসম্মতির প্রশ্ন আসে, তখন বুঝতে হবে যে বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। অথবা এটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এটাই প্রকৃত অবস্থা। আসলে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে (ওএইচসিএইচআরের) অফিস দেয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ওএইচসিএইচআরের অফিস খোলা এবং জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের কাজের মধ্যে কোনো সংযোগ বা যোগসূত্র আছে কিনা? মানবজমিনের এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি এ দুটিকে খুব বেশি রিলেটেড মনে করি না। আমরা একটি সুনির্দিষ্ট কাজে তাদের বাংলাদেশে আসতে অনুরোধ করেছি। আমরা জানি, সার্বিকভাবে মানবাধিকার নিয়ে সমস্যা ছিল। আমরা এই সমস্যাগুলোর সমাধান চাই। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয়। আমি তাদের এ কথাও বলেছি যে আপনাদের ও আমাদের লক্ষ্য আসলে একই। আমরা কীভাবে কাজ করবো, পরস্পরকে সহায়তা করবো, সেটা আমাদের দেখতে হবে। ওএইচসিএইচআরের দপ্তর চালু-সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অফিস খুলতে দিলেই মানবাধিকার পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে, আর না দিলে ঠিক হবে না- এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। খুব অল্প কিছু দেশেই ওএইচসিএইচআরের অফিস আছে। এই দপ্তর খুলতে দিলে সমস্যা কী, জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা এভাবে না বলে বলতে পারি, আমরা দেখি যে আমাদের প্রয়োজন আছে কিনা। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল প্রতিবেদন দিয়েছে কিনা? জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, কোনো প্রতিবেদন জমা হয়নি। ওই টিমের সদস্যরা কিছু কথাবার্তা বলে গেছেন। এরমধ্যে তো আমরা বিশেষ কাজে তাদের একটি দলকে (জাতিসংঘের) বাংলাদেশে কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছি। তারা প্রায় এক মাস এখানে কাজ করেছে। তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে আরও এক মাস সময় চেয়েছে। বাংলাদেশে চার সপ্তাহ জুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেটার ওপর তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে বলেও জানান তিনি। জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলের সময়সীমার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা বলেছি, আপনারা যা দেখতে চান, দেখুন। আপনারা স্বাধীন। আমরা এ-ও বলেছি, যদি কোনো সহায়তা লাগে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানান। সরকার সর্বাত্মক সহায়তা করবে। তথ্যানুসন্ধান দলের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা ফিজিক্যালি বাংলাদেশে তাদের সফর শেষ করেছে কিনা? আমি নিশ্চিত নয়। খবর নিতে হবে। তবে এটুকু জানি তাদের সুপারিশ দিতে নভেম্বর পার হয়ে যাবে।
এটা আত্মঘাতী হবে। জনগন কখনই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।
স্বৈরাচার সরকার গঠনে বাধা হয়ে দাড়াবে এই অফিস ।
উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ মনে হচ্ছে একটু বেশিই আগ্রহী।
উপদেষ্টাদের সমন্বয় হীনতা লক্ষণীয়।
উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ তো বললেন অফিস খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এব্যাপারে উনি মনে হচ্ছে একটু বেশিই আগ্রহী। সমাজের কল্যাণের জন্য উনি এ পর্যন্ত কি কি কাজ করেছেন, কেউ আমাকে বলতে পারবেন ?
কোন উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে তাদের কোন অফিস নেই। আমাদের দেশেও তাদের অফিস খোলার অনুমতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যদিও এনজিও থেকে আসা কোন কোন উপদেষ্টা তাদের ব্যাপারে অতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করি যে কোন মূল্যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করুন। নতুবা অচিরেই এই সঙ্কট আমাদের রাষ্ট্রিয় স্হিতিশীলতা ও স্বার্বভৌমত্বের জন্য বড় রকমের হুমকি হিসাবে দেখা দিবে। তখন আর করার কিছু থাকবেনা।
না খোলাই সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত হবে।
এই অফিস খোলার দরকার নাই এইটা যদি খোলে তাহলে দেশের সংস্কৃতি মূল্যবোধ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, মুসলিম হিসাবে আমরা মেনে নিতে পারিনা।