রাজনীতি
শহীদ পরিবারের কমপক্ষে একজনকে সরকারি চাকুরি দিতে হবে: জামায়াতের আমীর
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ৫:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
আগস্ট বিপ্লবের শহীদ পরিবারের কমপক্ষে একজন সদস্যকে সরকারি চাকুরি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে শহীদ পরিবারের গর্বিত সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ৩টি অধিবেশনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দেড়টা পর্যন্ত শহীদ পরিবার, জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। দেড়টা থেকে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন এবং ৩টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শফিকুর রহমান বলেন, দেশ ও জাতির জন্য তাদের এই আত্মত্যাগের কথা কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের জন্য যথাযথ সম্মানের ব্যবস্থা করতে হবে। ২৮শে অক্টোবর থেকে শুরু করে ৫ই আগস্টের বিপ্লব পর্যন্ত সকল শহীদদের অবদানের কথা জাতীয় পাঠপুস্তকের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে তাদের অবদান ও বীরত্বগাঁথা। দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার জন্য এর কোন বিকল্প নেই। তাদের পরিবারকেও করতে হবে যথাযথ মূল্যায়ন। প্রতিটি শহীদ পরিবারের কমপক্ষে ১ জনের জন্য সরকারি চাকুরির ব্যবস্থা করে রাষ্ট্রকে শহীদ পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। সকল ক্ষেত্রেই তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তিনি বলেন, মূলত ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর ফ্যাসিবাদের দোসর ও মাস্টার মাইন্ডদের দানবীয় হত্যাযজ্ঞে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। সেদিন দেশপ্রেমী মানুষকে প্রকাশ্য রাজপথে পিটিয়ে হত্যার পর লাশের ওপর দানবীয় নৃত্য করা হয়েছিল। তাদের এই নারকীয়তায় গোটা বিশ্ব বিবেকই স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল। এরা মানুষ ছিল না বরং এরা ছিল বর্বর পশু। অন্ধ ক্ষমতালিপ্সা থেকেই তারা এ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয়েছিল। এই নির্মমতার ধারাবাহিকতা ২০২৪ সালের ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। মূলত ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং পঙ্গুত্ববরণকারী আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে ঐতিহ্যবাহী দল বলে দাবি করেন। কিন্তু তাদের ঐতিহ্য হলো দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা, হত্যা, সন্ত্রাস- নৈরাজ্য এবং ভোট চুরি। তারা ২৮শে অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডবের মাধ্যমে রাজপথে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, শহীদরা মরে না বরং তারা সবসময় জীবিত। আমাদের আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তারা দুনিয়া ও আখেরাতে পুরস্কৃত হবে।
উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সভায় জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ অব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের (নুর) সদস্য সচিব রাশেদ খান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধান, সামাজিক পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী জুলুমের শিকার হয়ে শাহাদাৎবরণকারীদের পরিবারের সহস্রাধিক সদস্য এবং অর্ধ সহস্রাধিক হাত-পা হারানো ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
আগে রাজাকার এর বিচার চাই। তারপর চাকরি।
জনপ্রিয় হবার চেষ্টা মাত্র! কোটা আন্দোলন হলো কেন? এই লোক খুব নরম নরম কথা বলছে তার নিজস্ব ধান্দার কারণে।
আমার মতে চাকরীর চেয়ে শহীদের পরিবারের জন্য মাসিক ভাতা, এককালীন টাকা এগুলো বেশী জরুরী। দেখা গেলো শহীদের ভাই-বোন মিলে ৫ জন, একজনকে চাকরী দিলে বাকি চারজনকে সে যে দেখবে আজীবন গ্যারান্টি নাই কোন। এছাড়া তার নিজেরও আলাদা পরিবার হলে শহীদের বাবা-মা'কে যে আজীবন দেখে রাখবে এটারও গ্যারান্টি নাই। তার চেয়ে শহীদের পরিবার হিসাব করে শহীদের বাবা-মা, শহীদের স্ত্রী-সন্তানকে ভাতা,টাকা দিলে সবচেয়ে বেশী বেনিফিশিয়ারী হবে সেটাই করা উচিৎ বা যৌথ একাউন্ট করেও দেওয়া যেতে পারে।
সকল কোটা বাতিল করা হোক। যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। অসহায় এবং অক্ষম সকলের দায়িত্ব রাষ্ট্রের নিতে হবে।
কোটা আন্দোলনকারীরা আন্দোলন করে সে কোটা বন্ধ করে দিয়েছে এখন কোন কোটায় চাকরি দিবেন। এখন তো একমাত্র পথ মেধাবী।
শেষ পর্যন্ত সেই কোটা ব্যবস্থার আবেদন নয় কি?