শেষের পাতা
সারজিস রংপুরে, জাপার বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
২৭ অক্টোবর ২০২৪, রবিবারবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমের রংপুরে আগমনের প্রতিবাদে জাতীয় পার্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রংপুর নগরের সেন্ট্রাল রোডের জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে দলটির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটির করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এই মিছিলে জাতীয় পার্টির অনেক নেতাকর্মীর হাতে লাঠি ছিল। মিছিলটি নগরের জাহাজ কোম্পানি মোড় হয়ে প্রেসক্লাব চত্বর এলাকায় যায়। সেখান থেকে পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজ মোড় দিয়ে ঘুরে পায়রা চত্বর মোড়ে এসে সোয়া ১টায় সমাবেশ করে। সমাবেশে সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমারা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু আজকে আশ্চর্যের বিষয় হলো, পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় আইজি মহোদয়ের অনুষ্ঠানে সারজিস রংপুর এসেছেন। ওই বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব এস এম ইয়াসির প্রমুখ বক্তব্য দেন। বেলা তিনটায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের মতবিনিময় সভার কথা ছিল। কিন্তু হাসনাত আব্দুল্লাহ শনিবার রংপুরে আসেননি। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের প্রতিনিধি ইমরান আহমেদ জানান, হাসনাত আবদুল্লাহর আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি, এসেছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
১৪ই অক্টোবর জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও নেতা সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। তাঁদের রংপুরে আসার খবরে শুক্রবার রাতে নগরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জাতীয় পার্টি।
সারজিস আলম মেট্রোপলিটন পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পুলিশ লাইনস স্কুল ও কলেজ মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিকেল তিনটায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি সারজিস আলম। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার বিমানযোগে সারজিস আলম ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে রংপুরে আসেন।
জাতীয় পার্টি(কাদের)কে এখনি নিষিদ্ধ করা হোক।
জাতীয় বেইমান জাতীয় পার্টির নেতাদের এখনি গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হলে দেশ আবারও সংকটে পড়তে পারে।
ছাত্রলীগের প্রাক্তন এই কর্মীকে কোন ভাবে থামানো যায়না? সে এবং জাপা একই দোষে দুষ্ট! এক মাসের আন্দোলনেই কি পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়ে গেলো?
জাতীয় বেঈমান জাতীয় পার্টিকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হোক।
JP is playing with fire
,পথিত স্বৈরাচারের দোষরদের শক্ত হাতে নির্মুল করতে হবে। এখানে কোন ছাড় দেয়া যাবে না।
সৈরাচারের দোসর জাপাকে কোন ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না। এদের কারনেই সৈরাচার দীর্ঘ সময় ধরে টিকে ছিল।
পতিত স্বৈরশাসকের দল আওয়ামী লীগের সাথে শরীক জোটবদ্ধ সকল দলকে পনর বছর পর্যন্ত নিবন্ধন বাতিল রেখে গনতান্ত্রিক আচরণ শিখার শর্তে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া যেতে পারে।
স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি চায় কি? তারা তো আওয়ামী লীগের চেয়ে ক্ষতিকর। জাতীয় পার্টি জাতির সাথে বেঈমানী না করলে আওয়ামী লীগ এতোদিন ক্ষমতায় থাকতে পারতো না