খেলা
জাতীয় দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছে আছে সালাউদ্দিনের, কথাও চলছে
স্পোর্টস ডেস্ক
(৩ মাস আগে) ২০ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪৫ অপরাহ্ন

চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে এই দফায় নিয়োগ দেওয়ার পর সহকারি হিসেবে একজন দেশী কোচকেই চেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেক্ষেত্রে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ছিলেন পছন্দের শীর্ষে। কিন্তু তার অনাগ্রহে সেটা আর হয়নি। এরপর হাথুরু ছাঁটাই হলে নতুন হেড কোচ হয়েছেন ফিল সিমন্স। এবারও তার সহকারী হিসেবে সালাউদ্দিনের যোগ দেওয়ার গুঞ্জন আছে। আগেরবার সরাসরি না করলেও এবার বললেন ইচ্ছে আছে। তবে তার আগে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বিসিবির কোচিং প্রোগ্রামে ‘গেস্ট লেকচারার’ হিসেবে এসেছিলেন সালাউউদ্দিন। সেখান থেকে বের হয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘(কাজ করা) কেন হয়নি এই কারণগুলো আমি আগেও একবার বলেছি। আমার সঙ্গে কথা হচ্ছে (এখন)। দেখি কী হয়। একেবারে যে ইচ্ছে নাই, তা না। ইচ্ছে আছে। কিন্তু সবকিছুই তো...একটা জিনিস আপনাদের বুঝতে হবে আমি বোর্ডের কর্মী না। আমি শেষ দশ বছর বা ১৫ বছর বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে একাধিক টুর্নামেন্টে কাজ করেন সালাউদ্দিন। বিপিএল, ডিপিএলে সবখানেই কাজ করেন তিনি। এছাড়া মাস্কো ক্রিকেট একাডেমিতেও চাকরি আছে। ফলে সব ফেলে জাতীয় ফিরতে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হবে তাকে। এ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর আমার পেট চালাতে হয়েছে বাইরের অর্গানাইজেশনের সঙ্গে। কোনো কিছু আমার হুট করে ফেলা আসাও সম্ভব না। আমি যদি বোর্ডের কোচ হতাম, যখন বলতো তখনই আমি ঢুকে যেতে পারতাম। কিন্তু এখানে তো আমার অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়। কারণ তারা আমাকে এত বছর খাইয়েছে, পরিয়েছে। তাদেরকে তো আমি হুট করে ফেলে আসতে পারবো না। সবকিছু একটা সময়ের ব্যাপার এবং চিন্তা-ভাবনার ব্যাপার। সবকিছু যেন সুন্দর হয়, এটা হলে সবার জন্যই ভালো হবে।’
২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী কোচ ছিলেন সালাহউদ্দিন। পরবর্তীতে ২০০৮ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিলেন ফিল্ডিং কোচ। সবশেষ যখন বাংলাদেশের হয়ে কাজ করেছেন তখন কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই চাকরি হারিয়েছিলেন। এমন অভিজ্ঞতার কারণেই সিদ্ধান্ত নিতে ভাবতে হচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ৪বারের বিপিএল জয়ী এই কোচকে।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, সবকিছু যে অর্থনৈতিক ব্যাপার তা না। আমার একটা বাজে অভিজ্ঞতা কিন্তু আগে হয়েছে। আমি যখন সহকারী কোচ ছিলাম, তখন আমার একটা বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটা হয়তো আমার মনের ভেতর এখনও আছে। যেহেতু আমি তখন সহকারী কোচ ছিলাম, হঠাৎ করে আমাকে কেউ জানে না, আমি বাসায় বসে টিভিতে দেখবো বাচ্চা কোলে নিয়ে; সেটা তো আমাকে হিট করতেই পারে।’
সালাউদ্দিন আরও বলেন, 'আসলে একটা প্রসেস থাকা উচিত। যখন আপনি আমাকে রাখবেন না, যেকোনো অফিসে একটা অফিশিয়াল প্রসিডিউর থাকে। যেমন আপনারা হাথুরুসিংহেকে বাদ দিয়েছেন, তাকে তো জানিয়ে নিয়েছেন যে তুমি থাকবা না। আমাদের সময় কেন এমন হবে। আমি দেশি দেখেই হয়তো এরকম হয়েছে। অনেক সময় সম্মানটা একটা বড় ফ্যাক্টর। আপনাকে সেভাবে যদি গুরুত্ব না দেওয়া হয়, ট্রিট করা না হয়; তখন অনেক সময় অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়।’
পাঠকের মতামত
সাকিবের মতো একটা বিশ্ব বেয়াদব, দীর্ঘদিন ধরে যে কিনা অফফর্মে। এমনও নয় সে আরও ৫/৭ বছর দেশের হয়ে খেলতে পারবে।কারন তার বয়স এখন ৩৫ চলছে। তারউপর ওয়ানডে বিশ্বকাপে তার বাজে পারফরম্যান্স এবং দলের ভরাডুবি। ওইসময় সে দলীয় অধিনায়ক হওয়া সত্যেও বিদেশ থেকে দেশে চলে আসে এমপি হওয়ার তদবির করার জন্য। সেসময় সে শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে নিজের দলীয় প্রার্থীতা নিশ্চিত করে চলে যায়। তার কাছে টাকাই সব। এ পর্যন্ত তার যা আচরণ, তাতে বুঝা যায় টাকার জন্য সে সব পারে এবং পারবে। আর নাজমুল হোসেন শান্তর উচিত সব বিষয় নিয়ে কথা না বলে নিজের পারফরম্যান্সের দিকো নজর দেওয়া। কারণ উনি যখন দলীয় অধিনায়ক হয়েছেন, ভালো কোন পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে অধিনায়ক হননি। আর অধিনায়ক হওয়ার পরে তার চাইতে দলের ৯-১১ নং ব্যাটসম্যানের রানের গড় বেশী।
উনার গ্রেট কোচ বাংলাদেশ নয়। ইনশাআল্লাহ একদিন বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতেও কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
সালাউদ্দিনের মত অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত সফল কোচ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হলে এটি হবে খুবই আনন্দের।
100 right you are
যারা সাকিব বা মাশরাফির পক্ষে কথা বলে তাদের কোচ হওয়ার যোগ্যতা নাই।