রাজনীতি
খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মম নির্যাতন করেছেন হাসিনা: দুদু
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ১৫ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মম নির্যাতন করেছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশনের উদ্যোগে 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সকল মামলা প্রত্যাহার এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে দেশে আসার ব্যবস্থার দাবিতে' এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের জন্য, মানুষের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি এদেশের নারীদের জন্য যা করেছেন পৃথিবীর আর কোনো দেশে কেউ এরকম করেনি। কৃষকদের ঋণ মওকুফ করেছেন, সারের দাম কমিয়েছিলেন। তিনি দেশের জন্য যা করেছেন অন্য কোনো সরকার তা করতে পারে নাই।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে। তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জোর করে বিদেশে পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয় ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় মিডিয়াতে তার বক্তব্য প্রচার করতে দেয়নি। অথচ উনাদের দু'জনের মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে দুদু বলেন, সংস্কার করেন কিন্তু ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়া ঠিক হবে না। বাংলাদেশের মানুষ সময় দেয়, কিন্তু ধৈর্যের পরীক্ষা নিলে তাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। আপনারা তিন, ছয়, নয় মাস সময় নিবেন, নেন- কিন্তু কিভাবে কী করবেন একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেন। যাতে আমরা জানতে পারি, এই সময়ে এই হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকার আমাদের ভালোবাসার সরকার। বিএনপির সমর্থিত সরকার। সে সমর্থন কার্যকর করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন খেলা হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র খেলছে। বিদেশ থেকে খেলছে। দেশের মধ্যে অনেকে খেলছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদকে ফিরে আসতে দেয়া যাবে না। তারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশের মর্যাদা, শিল্প, কৃষিসহ সবকিছু ধ্বংস করেছে। ফ্যাসিবাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।