রাজনীতি
আমি আর নির্বাচন করছি না, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি: অলি আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ মাস আগে) ১৪ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫৫ অপরাহ্ন

সংসদ নির্বাচনে আর অংশগ্রহণ করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আমি আর করছি না, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।’
শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুর ইউনিয়নে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও বক্তব্য দেয়ার সময় এ কথা বলেন।
এ সময় অলি আহমদ তার বড় ছেলে এলডিপির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুককে মণ্ডপে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে আমার বড় ছেলেকে নিয়ে এসেছি। সে আমেরিকা ও লন্ডনে লেখাপড়া করেছে। তাকে দেশে নিয়ে এসেছি। সে ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে।’
কর্নেল অলি আহমদ বলেন, ‘আমার বড় ছেলেকে আপনাদের জন্যই তৈরি করেছি। আপনাদের জন্যই গড়ে তুলেছি। আমার পরবর্তীকালে আপনাদের চিন্তা হচ্ছে, আমার জায়গায় আপনাদের ছায়া দেয়ার জন্য কাকে পাবেন? বিষয়টি চিন্তা করেই তাকে তৈরি করেছি। ইনশা আল্লাহ, সে আপনাদের খেদমত করবে।’
দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা তুলে ধরে অলি আহমদ বলেন, ‘সঠিক সময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা উত্তম। এর মধ্যে সে ভুল করলে আমি ঠিক করে দিতে পারব।’
এসময় পূজার্থীসহ অন্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার ছেলের দায়িত্ব নিতে পারবেন কি না? তখন উপস্থিত লোকজন হাত তুলে প্রতিশ্রুতি দেন।
একই দিন সাতকানিয়া উপজেলার ছয় ইউনিয়নের বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেন অলি আহমদ। পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
তাঁকে রাষ্ট্রপতি বানানোর চিন্তা, হটকারী। পরিবার তন্ত্রের দিকে হাটলেন। ছেলেকে নিজের দলের প্রধান বানাতে চান। গণতন্ত্র থাকলো দলে?
এদেশের স্বাধীনতায় আপনার অনবদ্য অবদান আছে। দেশ গঠনেও আপনার আরো ভূমিকা রাখতে হবে।
তাঁকে রাষ্টপতি বানানো হউক।
এ দেশের জনগণকে বোকা বানিয়ে এভাবেই পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি চলছে। আপনিও ব্যতিক্রম নয়। দল বানালেন কিন্তু ছেলে ছাড়া কাউকে যোগ্য নেতা বানাতে পারলেন না। আহ কি দারুন
নির্বাচনের আর দরকার কী ওয়ারিশ রেখে যাচ্ছেন? রাজনীতি যদি পারিবারিক সম্পত্তি হয় সেটাকেও গণতন্ত্র বলতে হবে!
দেশের এই সঙ্কটকালে তার রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত!তাকে অবশ্যই রাজনীতি অঙ্গনে সক্রিয় থাকতে হবে।
উনারে এই সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হোক।
সাহসী ও সঠিক সিদ্ধান্ত --- বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরকম ঘটনা বিরল -- এর আগে একমাএ প্রফেসর গোলাম আজম সাহেব ঘোষনা দিয়ে দলীয় প্রধানের পদ ও রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছিলেন ---
শুভেচ্ছা স্বাগতম পরিবারতন্ত্রের আগমন! আপনার ছেলে ছাড়া একজন উপযুক্ত লোকও খুঁজে পেলেননা পুরো চন্দনাইশে?