ঢাকা, ২০ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

জানুয়ারিতে ফিরতে পারেন তারেক

অনলাইন ডেস্ক

(৯ মাস আগে) ১০ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ২:৪৬ অপরাহ্ন

mzamin

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘জানুয়ারিতে ফিরতে পারেন তারেক’। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১৭ বছর আগে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশ ছেড়ে লন্ডনে চলে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এবারের পালাবদলের পর নির্বাসন থেকে তার দেশে ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসছে জানুয়ারিতে তারেকের দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি দেশে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপরই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচনায় আসে। কবে নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন, তা নিয়েও আলোচনা আছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন দলের নেতাকর্মীরাও। এর মধ্যে ভার্চুয়ালি বিএনপির সমাবেশগুলোয় যুক্ত হয়েছেন। বর্তমান সরকারকে সমর্থন, তাদের সংস্কার উদ্যোগ ও বিএনপির পরিকল্পনা নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

তবে তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে কাঁটা হয়ে আছে বিগত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া মামলা। এর মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করেছে বিএনপি। অন্যদিকে আইনি পথে মামলা মোকাবিলার কথাও বলেছেন বিএনপি নেতা ও আইনজীবীরা, যাতে তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ সুগম হয়।

তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, আগামী বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে ঢাকা ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে তারেক রহমানের।

প্রথম আলো

‘বাজার সামলাতে হিমশিম অবস্থা’-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ছিল অত্যন্ত চড়া। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্রব্যমূল্য আরও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম কমাতে যতটা জোর দেওয়া দরকার ছিল, ততটা গুরুত্ব শুরু থেকে দেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।

সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাস পর এখন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিছু পণ্যের শুল্ক–কর কমানো হয়েছে। কিছু পণ্যের শুল্ক–কর কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাজারে অভিযান বাড়ানো হয়েছে। জেলায় জেলায় গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। যদিও এর আগেই ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানি কমে গেছে। এতে দাম বেড়েছে। ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম লাগামছাড়া। চাল ও আটার দাম বাড়তি। সবজির বাজারে যেন আগুন লেগেছে। সব মিলিয়ে কষ্টে আছে মানুষ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গতকাল বুধবার ফেসবুকে লিখেছেন, ট্রাকে থাকা অবস্থায়ই কারওয়ান বাজারে চারবার ডিমের হাতবদল হয়। এখন পর্যন্ত এই সরকার কোনো ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙতে পারেনি। শুধু ‘সিন্ডিকেটের’ সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক মাহাত্ম্য কী?

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ওই সরকারের সর্বশেষ আড়াই বছরে নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। সরকারও বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেল, পানি ও সারের দাম দফায় দফায় বাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, সরকার পতনের আন্দোলনে নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও শ্রমজীবী মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় বোঝা যায়, জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি তাঁদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।

যুগান্তর 

দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘অর্থনীতির সূচকে লুকোচুরি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের বেশির ভাগ সময়ই অর্থনীতিতে মন্দাভাব ছিল। দেশের ব্যাংক খাতে লুটপাট ও টাকা পাচারের কারণে অর্থনীতির গতি কমছিল। সূচকগুলোর প্রকৃত অবস্থা লুকিয়ে কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর কারণে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বাইরে থেকে বোঝা যায়নি। সরকারের শেষ সময়ে অর্থনীতির সূচকগুলোর সার্বিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

করোনার পর ২০২২ সালে বৈশ্বিক মন্দা শুরু হলে অর্থনীতিতে স্থবিরতা প্রকট হয়। এর ধকল বিশ্বের প্রায় সব দেশ কাটিয়ে উঠলেও বাংল্লাদেশ গত ২ বছরেও পারেনি। উলটো মন্দার ক্ষত আরও প্রকট ও দৃশ্যমান হচ্ছিল। গত সরকার কারসাজির মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র আড়াল করে রেখেছিল। লুকোচুরির সূচকে অর্থনীতির অবস্থা সবল দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যবস্থাপনায় এখন প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসছে। বর্তমানে টাকা ছাপানো বন্ধ, টাকা পাচার এবং ব্যাংক খাতে লুটপাট না হলেও অর্থনীতির স্থবিরতা কাটেনি। শিল্প ও বিনিয়োগেও স্থবিরতা বিরাজমান। তবে কৃষি খাত চাঙা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ সরকার গত দুই অর্থবছরে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করেছে। চলতি অর্থবছরের জন্যও তারা সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিল। এই সরকারও এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মুদ্রানীতিকে আরও কঠোর করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার একদিকে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে সরকারের ব্যয়নির্বাহের পাশাপাশি সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকেও দিয়েছে।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘সড়কে মিলেজুলে অর্ধলক্ষ কোটি টাকা লোপাট’। খবরে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী সরকারের ১৪ বছরে রাজনীতিবিদ-ঠিকাদার-আমলা মিলে সড়ক ও জনপথে দুর্নীতিতে সাগরচুরি করেছেন। এ সময় তাঁদের এই সিন্ডিকেট অবকাঠামো সড়ক ও জনপথের নির্মাণ প্রকল্প থেকে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লুটে নিয়েছেন। আর দুর্নীতি হয়েছে ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। মাত্র ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই মোট কাজের ৭২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত।

জরিপ করে এসব তথ্য তুলে ধরেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। গতকাল বুধবার ধানমণ্ডির টিআইবির নিজ কার্যালয়ে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণার ফল উপস্থাপনের সময় এসব তথ্য জানানো হয়।

টিআইবি আরো জানায়, ২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক ও সেতু খাতে এক লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এই অর্থের মধ্যে সার্বিকভাবে দুর্নীতির হার ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ; যা টাকার অঙ্কে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

২০১৩-১৪ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ব্যয়ের ৭২ শতাংশ কাজ পেয়েছেন ১৫টি ঠিকাদার। গবেষণাটি সম্পন্ন করেছেন টিআইবির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো মো. জুলকারনাইন ও গবেষণা সহযোগী মো. মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির পরিচালক (আউটরিচ ও কমিউনিকেশন) তৌহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) সুমাইয়া খায়ের, নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

নয়া দিগন্ত

‘১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি’-এটি নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে ১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের প্রাথমিক তথ্যও পেয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ডিসি মিডিয়া মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ইসির এনআইডি সার্ভারে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর ইমেজ বা কপি তৈরি করে, বেআইনিভাবে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস নামক প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করা হয় বা তাদেরকে বিক্রির একসেস দেয়া হয়।

পুলিশ বলছে, ১৮২টি দেশী- বিদেশী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল এসব তথ্য।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা তালেবুর রহমান জানান, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের এনআইডি বিভাগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ইসির এনআইডি তথ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারবে না।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘রূপপুর রামপাল মাতারবাড়ী ও পায়রার চুক্তি খতিয়ে দেখবে না পর্যালোচনা কমিটি’। খবরে বলা হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০-এর অধীনে হওয়া চুক্তিগুলো খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দায়মুক্তি আইনে হওয়া আদানি, সামিটসহ ১১ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় চুক্তি পর্যালোচনা কমিটি। 

তবে মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী, রামপাল ও পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি ও নির্মাণ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও তা পর্যালোচনার আওতায় আসছে না। বিশেষ আইনের আওতাধীন না হওয়ায় চুক্তি পর্যালোচনা কমিটি এগুলো নিয়ে ভাবছে না বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। ফলে ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে এ চার প্রকল্পের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে, তা অগোচরেই রয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দরপত্র ছাড়া চুক্তি করতে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান)’ নামে আইনটি করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এ আইনের আওতায় প্রতিযোগিতা ছাড়াই বিদ্যুৎ, জ্বালানি কেনা ও অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ রাখা হয়। এমনকি এর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তাই এটি দায়মুক্তি আইন হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে।

আজকের পত্রিকা

‘৫১ হাজার কোটি টাকা লোপাট ১৫ বছরে’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে সড়ক ও সেতু প্রকল্পে বরাদ্দের ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ অর্থই লোপাট হয়েছে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি। এই টাকা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ঠিকাদার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, কয়েকজন সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। কার্যাদেশ ও ঠিকাদারের বিল পাওয়ায় ঘুষ দিতে হয়েছে ১১ থেকে ১৪ শতাংশ।

২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত সড়ক ও সেতু খাতে সরকারের মোট বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে সড়ক ও সেতু খাতে এই অর্থ লুটের চিত্র উঠে এসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে। ‘সড়ক-মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামের এই গবেষণা করেন মো. মোস্তফা কামাল ও মো. জুলকারনাইন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে গতকাল এই গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন।

ইত্তেফাক 

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় ঢাকার প্রতিবাদ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে কুমিল্লার মো. কামাল হোসেন নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর বিএসএফের গুলিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা বাংলাদেশি নাগরিক কামাল হোসেন নিহতের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো এক চিঠিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অব্যাহত আশ্বাসের পরও বিএসএফের হাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযাচিত। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের জন্য বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নির্দেশিকা-১৯৭৫-এর লঙ্ঘন। বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সব সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।

নিউ এইজ

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম ‘Extortions back in Bangladesh's transport sector’ অর্থাৎ ‘বাংলাদেশের পরিবহন খাতে ফের চাঁদাবাজি’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ, পরিবহন কোম্পানির মালিক ও রাজনৈতিক নেতারা সারা দেশের মতো ঢাকায়ও চাঁদা নেওয়া শুরু করায় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশের পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি প্রায় পুরোদমে ফিরে এসেছে।

সরকার পতনের পর বিএনপি গত ১৪ই আগস্ট ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। পুলিশ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে টোল নেওয়া শুরু করে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের এসি ও নন-এসি বাসের মালিকদের কাছ থেকে যুবদলের নেতাকর্মীরা চাঁদা আদায় করছে বলে জানা গেছে।

বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন, দলের নেতাকর্মীদের একাধিক অভিযোগ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সমকাল

ওবায়দুল কাদেরের সড়কে ঘুষ-দুর্নীতির ‘উন্নয়ন’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে সড়ক-মহাসড়কের ব্যাপক উন্নয়ন দাবি করা হলেও, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল 

বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা অনুযায়ী এ খাতে ২৯ হাজার ২৩০ থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ১২ বছরই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত বচন দিলেও তাঁর সময়ে ঠিকাদারি কাজ ও বিল পেতে ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য হয়েছে। নেতা, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের আঁতাতে প্রকল্প ব্যয়ের ১০ থেকে ২০০ শতাংশ গেছে। লাইসেন্স ভাড়া, কার্যাদেশ কেনাবেচা, স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজিতে আরও ২ থেকে ৬ শতাংশ টাকার অনিয়ম হয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে 'সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক এ গবেষণা করেছেন সংস্থার রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মোস্তফা কামাল ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. জুলকারনাইন।

পাঠকের মতামত

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নির্দেশিকা-১৯৭৫-এর লঙ্ঘন করে ভারতীয় বাহিনী সীমান্ত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে অপরদিকে আমরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। আমাদের উচিত পাকিস্তানের মত সীমান্ত নীতি গ্রহণ করা।

চাচা
১০ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status