অনলাইন
হাসিনার ‘অডিও বিপ্লব’ এবং অন্তর্বর্তী সরকার
মতিউর রহমান চৌধুরী
(৯ মাস আগে) ৭ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ২:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন কী করবেন? দলের দায়িত্ব কাউকে দেবেন? তিনিই বা যাবেন কোথায়? এ নিয়ে তিনি মনস্থির করতে পারছেন না। গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে ভারতে পালিয়ে যান। এখনো তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। দুবাই চলে যাচ্ছেন এমনটা চাউর হয়ে আছে কদিন থেকে। বিশেষ করে মানবজমিনে রিপোর্ট প্রকাশের পর। মানবজমিন আন্তর্জাতিক চাপের প্রসঙ্গ টেনে খবর দিয়েছিল ভারত সরকার তাকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে পাঠাতে সম্মত হয়েছে। যাইহোক, মাঝেমধ্যে তিনি তার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। অনেকেই এটাকে ‘অডিও বিপ্লব’ বলছেন। পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে অডিও বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে নিমিষেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব কার হাতে দিচ্ছেন। এই প্রশ্ন এখন সর্বত্র। নেতা-কর্মীরাও চাচ্ছেন দলকে সংগঠিত করতে।

সর্বশেষ অডিও বার্তা থেকে জানা যায়, হাসিনা বলছেন- কাকে দায়িত্ব দেব? যাকেই দেব সেইতো গ্রেপ্তার হয়ে যাবে। রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, হাসিনা দলের কাউকেই বিশ্বাস করেন না। তিনি শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করবেন পরিবারের মধ্যেই কাউকে বেছে নিতে। দু’ মাস হয়ে গেলো তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন ছোটবোন রেহানা। কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কাজের সূত্রে দিল্লিতে রয়েছেন। মাঝেমধ্যে তিনিও দেখা করছেন। ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার সঙ্গে দেখা করছেন। করছেন সলাপরামর্শও। এ নিয়ে নানা গুজব তো রয়েছেই। ওদিকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাসিনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। দলকে সংগঠিত করার তাগিদ দিচ্ছেন। ডাকসাইটে সাবেক এক মন্ত্রীকে দল গোছানোর দায়িত্ব দিয়েছেন, অঘোষিতভাবে।

এই নেতা বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। বলছেন, ধৈর্য ধরো নেত্রী সহসাই নির্দেশ দেবেন। এর আগেও এমন অবস্থা হয়েছিল আওয়ামী লীগের। ১৯৭৫ সনের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অস্তিত্ব সংকটে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। দলের একাংশ ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে অনেক বড় নেতা দেশেই অবস্থান করছিলেন। অনেকে অবশ্য জেলে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই পালিয়ে গেছেন ভারতে। বিদেশে থাকায় ১৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিলেন। পশ্চিম জার্মানি থেকে ভারতে নিয়েছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয়, ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। শেখ হাসিনার পথ অনুসরণ করেছেন দলটির অনেক বড় বড় নেতা। বলাবলি আছে, যাওয়ার আগ মুহূর্তে কাউকে কিছু না বললেও দলের অন্তত দুজন নেতাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন পরিস্থিতি বিবেচনায় নেতাকর্মীরা যেন ভারতে চলে যায়। এ কারণেই কি সব ‘মাস্টারমাইন্ড’ও ভারতে পৌঁছে গেছেন নিরাপদে!

যারা শেখ হাসিনাকে ডুবিয়েছেন তারাই আবার ঘুর ঘুর করছেন তার চারপাশে। এরাই কিন্তু নিজ দেশের নিরীহ জনগণের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়েছিল। যাইহোক, এটা কোনো সেইফ এক্সিটের অংশ কি না- এ নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। ঢাকায় আত্মগোপনরত কোনো নেতাই মুখ খুলছেন না। বরং যারাই রয়েছেন তাদের প্রায় সবাই শেখ হাসিনাকে দায়ী করছেন। বলছেন, তার একগুঁয়েমি ও প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং সীমাহীন দুর্নীতি দলকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এই সংকট এখন সর্বগ্রাসী। শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরতে পারবেন? অসংখ্য হত্যা মামলা তার বিরুদ্ধে। গণ-হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে চলেছেন।

দলের কেউ কেউ বলছেন, অতিমাত্রায় ভারত নির্ভর হওয়ার কারণে শেখ হাসিনার এমন পরিণতি হয়েছে। সঙ্গে ভারতও একপেশে নীতির কারণে দৃশ্যপট থেকে বিদায় নিয়েছে। আত্মগোপনরত একজন আওয়ামী লীগ নেতা বললেন, হাসিনার সমস্যা হাসিনা নিজেই। আমলাদের ওপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন দলকে ব্যবহার করতেন লাঠিয়াল হিসেবে। দল আর সরকার এক হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে হাসিনার পতনের পর ঐতিহ্যবাহী এই দলটি হারিয়ে গেছে রাজনীতির মাঠ থেকে। আওয়ামী লীগ হয়তো আবার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু তা সময়ের ব্যাপার। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন, এখন তারাই বলছেন- হাসিনার স্বৈরাচারী মনোভাব চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কতিপয় আমলা ও নেতার ওপর ছিলেন হাসিনা অন্ধ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোবটের মতো আচরণ করতেন। তাকে যা বলা হতো তাই তিনি বলে যেতেন অবলীলায়। এক পর্যায়ে তিনি বনে গেলেন ‘বিএনপি বিষয়ক মন্ত্রী’। প্রতিদিনই বিএনপি, তারেক রহমান আবার কখনো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতেন। ফ্যাশান আর টাকা বানানোর নেশায় তাকে পেয়ে বসেছিল। এখন তিনি কোথায়? সিঙ্গাপুর না ভারত, কেউ বলতে পারছেন না। শুরুতে শোনা গিয়েছিল তিনি নাকি যশোর সেনানিবাসে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের সাধারণ সম্পাদক যখন নিরাপত্তা বাহিনীকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন তখনই প্রশ্ন ওঠে এই কাজটি কার। কারফিউ জারি হলে পুলিশ বা সেনাবাহিনী এই নির্দেশ দিয়ে থাকে। আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট এই বার্তাও দিয়েছিলেন। এতে করে ছাত্রলীগ পরিণত হয় দানবে । জনমানুষের ঘৃণার সৃষ্টি হয় তাদের বিরুদ্ধে। এ জন্য কাদেরকেই দায়ী করা হচ্ছে। তিনি হয়তো বলবেন, আমাকে যা বলা হয়েছিল আমি তাই বলেছি। সরকারের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে এসব নির্দেশে। এখন আসলে পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে। হাসিনার সামনে বিকল্প কী? ভারতে কতোদিন থাকতে পারবেন? বেশিদিন নেই এটাতো এখন স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক চাপে ভারত তাকে বলেছে, ভিন্ন গন্তব্য খোঁজার। সর্বশেষ খবর তিনি দুবাই চলে যেতে পারেন।

হাসিনা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রমের নিত্যদিনের হিসাব-নিকাশ পেয়ে যাচ্ছেন মুহূর্তেই। তিনি তার সহকর্মীদের বলছেন, মজা টের পাক। কতোদূর যাবে? দলের গোপালগঞ্জের এক নেতাকে বলেছেন, দেখ এক মাসও টেকে কিনা! শেখ হাসিনা যাই বলেন না কেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও নড়বড়ে, দুর্বল। দিক নির্দেশনাহীন। পেছনে সেনা সমর্থন না থাকলে তাদের অবস্থা কেমন হবে? সরকারের ভেতরে রাজনৈতিক শক্তির উপস্থিতি না থাকায় এমনটা হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। দু’মাস কেটে গেলো এভাবেই। সংলাপে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বিএনপি চাচ্ছে যৌক্তিক সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন। জামায়াত হাঁটছে ভিন্ন স্রোতে। তারা চায় সংস্কার শেষে নির্বাচন। এটা কিন্তু বলা হচ্ছে না সংস্কারের জন্য কতোদিন সময় দরকার । জামায়াত হয়তো জানে না এই কৌশল পরাজিত শক্তিকেই উৎসাহিত করবে। তারা অবশ্য বারবার ভুল পথেই পা বাড়ায়। ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার এক আড্ডায় শোনা গেলো, জামায়াতের এই কৌশলকে উৎসাহিত করছে আঞ্চলিক একটি শক্তি। এখানে একটা সত্য কাহিনীর অবতারণা করছি। শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখনকার ঘটনা। একদিন মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব হাসতে হাসতে এসে বলল, স্যার আজ একটা সুখবর আছে। শেরে বাংলা জানতে চাইলেন কী সেই সুখবর। বলো, বলো! একান্ত সচিব বললেন, স্যার আজ আনন্দবাজার আপনার প্রশংসা করেছে। তখন শেরে বাংলা বললেন, আরে গর্দভ, এটা সুখবর নয়। খোঁজ নিয়ে দেখো আমি কোথাও ভুল করেছি। মনে রেখো, ওরা যখন আমার প্রশংসা করবে তখন বুঝবে আমি ঠিক পথে নেই। আর যখন সমালোচনা করবে তখন বুঝবে আমি সঠিক পথে রয়েছি। ওদিকে ইসলামপন্থীরা সংগঠিত হচ্ছে। তারা নতুন এক কাফেলা তৈরি করতে যাচ্ছে। যেটা এর আগে কখনো হয়নি। এই ভুখণ্ডে নতুন। নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে এই কাফেলা ততো লম্বা হবে। দেখা যাক না শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়!
( ক্রেডিট ছাড়া কোনো লেখা হুবুহু প্রকাশ করা কপিরাইটের পরিপন্থি)
পাঠকের মতামত
শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে মিলে ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।
তারা অবশ্য বারবার ভুল পথেই পা বাড়ায়।
1996 সালে জামায়াতের কারণে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছিল। এবারও জামায়াত একটি অঘটন ঘটাতে পারে।
জামাত সব সময় মহাজ্ঞানী সাজতে চায় এজন্য মানুষ সহজে তাদেরকে বিশ্বাস করে তারা গোপনে গোপনে কাজ করে
জামাতের ভুলের কারনে বারবার শুধু আওয়ামীলীগের লাভ হয়নি সাথে তাদের দলের অনেক কাণ্ডারীকে আওয়ামী কোর্টের সাজানো রায়ে নির্মমভাবে প্রাণ দিতেও হয়েছে। তারপরও তাদের বোধোদয় হয়নি বারবার তারা বিএনপির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ভুল পথে অগ্রসর হয়।
জামাত ছোট ভুল করেনা,কিন্তু বড় ভুল করে, ১৯৭১,১৯৯৬ তার বড় প্রমাণ। ৭১এবং ৯৬ ভুলের বড় খেসারত তারা দিয়েছে, সংে জ্বাতিকেও দিতে হয়েছে । আর কতো ?
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের political harmony ধ্বংস করে গেছে শেখ হাসিনা। জীবনের শেষ সময় তার রাজনীতির জীবনে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা দেশের মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপচেষ্টা। বাংলাদেশের নামক রাষ্ট্রের আওয়ামী লীগ একটি অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল।
আওয়ামীলীগ পরিচয়ে লিখলে জনগন খাবেনা, তাই বিএনপি দরদীর ভান ধরে কেউ কেউ অযৌক্তিক জামাআত বিরোধি মন্তব্য করছে। অথচ ২৪ এর বিপ্লবে জামাআতের অবদান অসাধারন, অবিস্মরনীয়।
নির্মোহ বিশ্লেষন। সহমত।
মানবজমিনের সম্পাদক মহোদয়কে এই গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়ের সঠিক বিশ্লেষনটির জন্য অসংখ্য, অফুরন্ত ধন্যবাদ।
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যে পরিমাণ অপরাধ করছে তার জন্য তাদের কে কমপক্ষে ১০ বছর নিষিদ্ধ করা উচিত
জামাতের গোঁড়ামির কারনেই ২০০৮ নির্বাচনে বিএনপি গিয়েছিল! খালেদা জিয়ার দূরদর্শিতা ছিলো, উনি ১/১১ সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে আওয়ামীরা ক্ষমতায় আসবে এটা বুঝতে পেরেছেন, কারন হাসিনা বলেছিল ১/১১ সরকার তার আন্দোলনের ফসল, অতএব সামরিক সরকার পিঠ বাঁচাতে হাসিনাকে বেচে নিয়েছে, তাই বলি জামাতিদের আক্কেল দাঁত কবে গজাবে?
“বিএনপি চাচ্ছে যৌক্তিক সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন। জামায়াত হাঁটছে ভিন্ন স্রোতে। তারা চায় সংস্কার শেষে নির্বাচন। এটা কিন্তু বলা হচ্ছে না সংস্কারের জন্য কতোদিন সময় দরকার । জামায়াত হয়তো জানে না এই কৌশল পরাজিত শক্তিকেই উৎসাহিত করবে। তারা অবশ্য বারবার ভুল পথেই পা বাড়ায়। ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার এক আড্ডায় শোনা গেলো, জামায়াতের এই কৌশলকে উৎসাহিত করছে আঞ্চলিক একটি শক্তি।” মানবজমিন সম্পাদক জনাব মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদনের বেশিরভাগ অংশের সাথে একমত পোষণ করছি। কিছু অংশের ব্যাপারে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। যেমন বিএনপি ১৯৯১ ও ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসলেও আওয়ামী লীগের মতো শক্তভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারেনি। জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়ার পরও আওয়ামী লীগের আন্দোলন/হরতালে বিএনপি শক্তভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ঐ দু‘বারই মেয়াদ পূর্ণ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীও অনেক ভুল করেছে। বিশেষ করে ১৯৯৬ সালে এককভাবে নির্বাচন করায় তা বুমেরাং হয়েছে। ফলে তাদের আসন কমার পাশাপাশি বিএনপিও ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তাই বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের হাল ধরতে হবে। অন্যথায় বার বার একই অবস্থা ফিরে আসতে বাধ্য হবে।
যত চাই বলুক যা কিছু মানুষ বলুক আওয়ামী লীগ এর আগে বিচার করতে হবে তারপরে হলো নির্বাচন। আমি একটা জিনিস খুব দৃঢ়তার সহিত বলতে পারি। এই সরকারকে অর্থাৎ অন্তবর্তী কালীন সরকারকে সহযোগী যত চক্রান্ত করুক সরাতে পারবেনা এটা আপনারা নিশ্চিত থাকেন।
নির্বাচন যত দেরিতে হবে আওয়ামী লীগ তত দেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ পাবে। এই জরুরি ম্যাসেজ আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল গুলোকে দিতে হবে। আর আওয়ামী চাটুকার লীগদের প্রশাসনে বহাল রেখে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
জামায়াত ৭১ এর পরাজিত শক্তি আর আওয়ামীলিগ ২৪ এর পরাজিত শক্তি।জামায়াত যেমন ৭১ সালে তাদের ভুমিকার কারনে ক্ষমা চায়নি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও ২৪ এর গনহত্যা,গুম খুনের জন্য ক্ষমা চায়নি।আওয়ামী মিত্র জামায়াত ৯৩-৯৫ পর্যন্ত যৌথ ভাবে বিএনপি বিরোধী আন্দোলনে তৎপর ছিল।তাই বর্তমান সময়ে জামায়াত তার পুরনো মিত্র আওয়ামীলিগ পুনর্বাসনে তৎপর থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
জামাতের ভুলের কারনেই আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতায় এসেছে, এসে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, তারপরও তাদের আক্কেল হয় না,
আওয়ামী লীগ ধবংসের জন্য সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দায়ী। তিনি সর্বদা উস্কানিমূলক কথা বলতেন ।।
জামায়াত পন্ডিত বোকা
হাজারও ছাত্রর, জনতা, শিশুর রক্তের উপর দাড়িয়ে এখনও অনেক দল ও ব্যক্তি নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মুখে নীতিবাক্য ছাড়লেও ভুলে গেলে চলবে না উনারা কোন না কোন দলের প্রতিনিধি। অতএব উনাদের বক্তব্য বিবেচনা করতে হবে ঐ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের আলোকে। দেশ আজ এক কঠিন ক্রান্তি লগ্নে দাড়িঁয়ে। খোদার গজব পড়ুক ষড়যন্ত্রকারী, লুটেরা আর যারা গরিব নীরিহ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।
আওয়ামীলিগের গন্তব্য কি হবে তার রোডম্যাপ এ সরকারকেই করতে হবে এবং তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলার মাটিতে আওয়ামীলীগ এর ঠাঁই নাই
প্রচ্ছদে তার ছবি দেখতে চাই না। she’s একটি স্বাধীন দেশে অনেক নিরপরাধ জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং পুরো সরকার ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে। সে চরম শাস্তির যোগ্য
এই সরকারকে দূর্বল আখ্যায়িত করার মধ্যে কোন সমালোচনার দেখছিনা। এই সরকারের বিকল্প কোন সরকার এখন দায়িত্ব নিবে? বরং এই সরকারকে আরও শক্তিশালী করার পরামর্শ কাম্য।
আনন্দবাজার যখন প্রশংসা করেছে। তখন শেরে বাংলা বললেন, আরে গর্দভ, এটা সুখবর নয়। খোঁজ নিয়ে দেখো আমি কোথাও ভুল করেছি। মনে রেখো, ওরা যখআনআ'★ আমার প্রশংসা করবে তখন বুঝবে আমি ঠিক পথে নেই। আর যখন সমালোচনা করবে তখন বুঝবে আমি সঠিক পথে রয়েছি।ওর
ঠিকই বলেছেন, জামায়াত সব সময় ভুল পথে হাটে, এবং সেই জন্য বেদম মার খায় তবুও তাদের আক্কেল হয় না। রক্তক্ষয়ী ছাত্র জনতার সফল বিপ্লবের ফলে এক দৌদন্ড ফ্যাসিষট নেতৃ ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানে বসে এক বিদেশি শক্তির সহায়তায় ফিরে আসার প্যাঁচ কষচে, মানবজমিন অনলাইনের ভাষায় 'অডিও বিপ্লব' করছে তাদের প্রতি বিপ্লবের স্বপ্নে। এমনি পরিস্থিতিতে একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইস্পাত কঠিন একতাই সেই স্বপ্ন রুখে দিতে পারে, কিন্তু জামায়াতের অহংকার সেই ঐক্যে চিড় ধরাতে যাচ্ছে। জামায়াতের ধারণা তারা সময় পেলে একক ভাবে ক্ষমতায় যেতে পারবে, সে ধারণায় তারা বিএনপির মতো একটা জনপ্রিয় দলের সংগে ঠ্যংগে খোঁচা দিয়ে ঝগড়া করে ঐক্য নষ্ট করছে। জামায়াতের বুঝা উচিৎ বাংলাদেশের অনেক মানুষ তাদের আদর্শ সততা পছন্দ করলে ও তাদের রাজনীতি পছন্দ করে না, বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে সব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে একত্রিত থাকার নীতিতে থাকছে তারা এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তাদের এই অহমিকা জনিত ভুলে বিভক্ত হওয়ার কারণে ভোটের রাজনীতিতে ফেরাউনি শক্তি পূনর্বাসনের সুযোগ পেয়ে সিংহাসন দখল করে তাদেরকে যে সমূলে ধংশ করবে তা তাদের বুঝা উচিৎ। আল্লাহ না করুন, ছাত্র জনতার এ রক্ত ঝরা বিপ্লব যদি অসফল হয় তাহলে তাদের কারণেই হবে।
I spent 23 years in Singapore. I observed how Mr. Lee Kuan Yew conducted himself and how he steered Singapore from nothing to this stage. I have observed at least 4 general elections. These were clean and no complain but Lee's party won everything except for 1/2 seats. A clean Government, totally dedicated team of politicians. Where is Singapore now? At the top of everything!! Can Bangladesh do it. NO. Our blood is bad.
রাজপথে এখনো শুকায়নি শহীদের রক্ত। কেন তার ছবি এবং তার দলের উদ্বেগ খবর আসছে. তার যাওয়ার কোন জায়গা নেই। কোন দেশ তাকে নিচ্ছে না। সব মিডিয়া অনেক আগেই এই খবর প্রকাশ করেছে। এই খবরগুলো দেখতে খুব অদ্ভুত লাগে।
শেরে বাংলা বললেন, মনে রেখো, ওরা যখন আমার প্রশংসা করবে তখন বুঝবে আমি ঠিক পথে নেই। আর যখন সমালোচনা করবে তখন বুঝবে আমি সঠিক পথে রয়েছি।
সুন্দর লেখা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ভুলগুলো কিন্চিৎ তুলে ধরা হলো। অন্তর্বতী সরকারের জন্য গঠনমূলক, দিক নির্দেশনামূলক লেখা চাই। ধন্যবাদ।
জামায়াত যেদিকে যাবে তার বিপরীত দিকে গেলেই সফলতা নিশ্চিত। ১৯৪৭, ১৯৭১, ১৯৮৬, ২০০৭ এর বাস্তব প্রমাণ।