শরীর ও মন
কৃত্রিম চোখ: আলো নেই, আছে সৌন্দর্য
অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম
২৪ জুলাই ২০২২, রবিবারবাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য শব্দ চোখ। চোখ নিয়ে ভাবুকের অন্ত নেই। কি লেখক, কি গবেষক, কি কবি, কি গীতিকার, এমনকি শিল্পীও তার কণ্ঠে তুলে এনেছেন এক অপূর্ব শৈল্পিকতার স্পর্শ। পড়ে না চোখের পলক, চোখের জ্বলে আমি ভেসে চলেছি, চোখ যে মনের কথা বলে নতুবা পাখির নীড়ের মতো ওই দু’টি চোখ। কেউবা চোখকে ভেবেছেন ডাগর ডাগর, কেউ কাজল কালো, কেউ ভোমরার মতো ওই দু’টি চোখ, আবার কেউবা এঁকেছেন স্বপ্নিল ছন্দে। ‘চোখ যে মনের কথা বলে...’ গানটি যখন মৃদু হাওয়ায় ভেসে আসে, তখন স্বপ্নেরা তাড়িত হয় মনেরও গহিনে। এ মনের গহিনে যে চোখটি থাকে, তার মধ্যেই থাকে সত্যিকারের আলো। যার চোখ নেই, সে-ই বোঝে চোখের কদর। সোনা, হীরা, রুপার চেয়ে অন্ধজনের কাছে চোখ এক মহামূল্যবান অঙ্গ। এ চোখের মাধ্যমেই প্রতিফলিত হয় ব্যক্তিত্ব, মনের যন্ত্রণা, দুঃখ, কষ্ট।
তবু একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়া চোখের রোগীরা আসেন কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপন করতে। যারা আসেন, তাদের অনেকেরই অসুখের কারণে চোখ নষ্ট হয়েছে আবার কারও ভুল চিকিৎসা বা আঘাতের কারণে। একজন রোগীর চোখের অবস্থা দেখে কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপন করতে হয়, যা দেখতে হুবহু আসল চোখের মতোই এবং যাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আজকাল বাজারে এক ধরনের কৃত্রিম চোখ কিনতে পাওয়া যায়, যা উন্নত ও নিখুঁত নয়। কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপন করতে হলে মনে রাখতে হবে, তা যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়। মূলত ব্যাংককে উন্নত মানের কৃত্রিম চোখ তৈরি হয়। চোখ প্রতিস্থাপন করা সোজা পদ্ধতি নয়। কেবল প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই চোখ প্রতিস্থাপন করতে পারেন। চোখের ছানি, মনির রঙ, চেহারা, কম ও বেশি বয়সীদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চোখ প্রতিস্থাপন করা জরুরি। কেননা, শিশুদের জৈবিক বৃদ্ধিজনিত কারণে চোখের গোলক বড় হয়ে নড়ে যেতে পারে। শুধু চোখই নয়, আজকাল কৃত্রিম নাক, কান ও হাতের আঙুলও কৃত্রিমভাবে প্রতিস্থাপিত হচ্ছে- যা দুর্ঘটনায় হারানো মানুষের অঙ্গ প্রস্ফুটিত হচ্ছে। আপনার চোখ থাকুক নিরাপদে, চোখের আলো প্রসারিত হোক দিগন্ত জুড়ে।
লেখক: অধ্যাপক, কৃত্রিম চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও বিভাগীয় প্রধান, ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
চেম্বার: কৃত্রিম চক্ষু প্রতিস্থাপন কেন্দ্র ও প্রস্থো ডেন্টাল
ফ্ল্যাট বি-৪, বাসা-৪৩, রোড-২৭ ধানমণ্ডি, ঢাকা। সেল- ০১৭১৪৪৫২২১৯।