দেশ বিদেশ
প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবারগত ১৯শে সেপ্টেম্বর মানবজমিন-এ “খাদ্য সরবরাহে অস্থিরতা তৈরির পাঁয়তারা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়, খাদ্য গুদাম হতে ইপি, ওপিসহ অন্যান্য কার্যক্রম যেমন; টিআর, কাবিখা, ভিডব্লিউবি ইত্যাদি খাতে ডিও-এর মাধ্যমে মালামাল যথাসময়ে উত্তোলন না হওয়ায় খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নানা জটিলতা সৃষ্টির পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ী ও গুদাম কর্মকর্তার যোগসাজশে অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণের সম্ভাবনা থেকে যায়। খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন বিধিমালা অনুযায়ী খাদ্যদ্রব্য উত্তোলন দেখিয়ে তা গুদামে মজুত রাখা ও গুদাম থেকে উত্তোলনের নির্ধারিত সময়ের পরে খাদ্যদ্রব্য গুদামের ভেতরে মজুত রাখা অবৈধ। উল্লিখিত কারণে গুদাম ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করার জন্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে ডিও জারির পর খাদ্যশস্য উত্তোলনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা দেয়া হলেও পরবর্তীতে বৃহৎ এলএসডি ও সিএসডিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হতে পারে বিবেচনায় ৭২ ঘণ্টায় তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সময়ের আগে বদলির বিষয়ে প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, বদলি একটি চলমান প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। বিদ্যমান নীতিমালার আলোকে প্রশাসনিক প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জনস্বার্থে বদলি করতে পারে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার আবশ্যকতা নেই। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের বদলির জন্য তথ্য সংগ্রহের পত্রে উল্লেখ করা হয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বর্তমানে নিয়োজিত সিএসডি’র ব্যবস্থাপক এবং এলএসডি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের তথ্য মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। খাদ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি/পদায়নে স্বচ্ছতা আনয়নের জন্য ডাটাবেজ তৈরির অংশ হিসেবে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।