বাংলারজমিন
সিলেটে সংবাদ সম্মেলন
খোরশেদের হয়রানি দিশাহারা এক নিরীহ পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবারমার্কেট ও জায়গা জবরদখল করতে বছরের পর বছর ধরে সিলেটের এক আইনজীবীর হামলা-মামলাসহ নানা হয়রানিতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে একটি নিরীহ পরিবার। ওই আইনজীবী খুনও করিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্যকে। স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে এবার একের পর এক মিথ্যা মামলায় আসামি করাচ্ছেন পরিবারটির সদস্যদের। বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার সাহেবের বাজার এলাকার বাজারতল গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. রুনি বেগম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার স্বামী পল্লী চিকিৎসক ছিলেন। সাহেবের বাজারে তার স্বামী-ভাসুরদের জায়গা ও একটি টিনশেড মার্কেট রয়েছে। মার্কেটে রয়েছে তাদের ফার্মেসি। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী ঘুড়ামারা হাওরে তাদের প্রায় ৭ বিঘা জমি রয়েছে। এসব ভূসম্পত্তিতে লোলপ দৃষ্টি পড়ে সাহেবের বাজার এলাকার দেবাইরবহর গ্রামের মো. মোস্তফা মিয়ার ছেলে- সিলেট জজ কোর্টের একজন আইনজীবী খোরশেদ আলমের। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট জেলা শাখার ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক তিনি। বিগত সময়ে বাজারতল গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর ছেলে নয়ন মিয়া ও তার ভাই-ভাতিজাসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে একটি ভূমিখেকো ও সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেন খোরশেদ। ২০২২ সালের শুরুর দিকে রুনি বেগমের স্বামী-ভাসুরদের সাহেবের বাজারস্থ মার্কেট ও ঘুড়ামারা হাওরের জমি জবরদখলের পাঁয়তারা শুরু করেন তিনি। এ নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে ওই বছরের ৯ই এপ্রিল সকালে এডভোকেট খোরশেদের নির্দেশে তার বাহিনীর প্রধান নয়ন এবং তার সহযোগীরা হামলা করে রুনির স্বামী নিজাম উদ্দিনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিজামের বড় ভাই পল্লী চিকিৎসক আকরাম উদ্দিন বাদী হয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নয়নকে ১নং ও খোরশেদকে ৫নং আসামি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আসামিরা জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে নানা হয়রানি শুরু করেন নিজাম উদ্দিনের পরিবারকে। মামলা তুলে নিতে অনবরত হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। খোরশেদ-নয়ন চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে রুনি বেগম প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।