বিশ্বজমিন
পেজারের পর লেবাননে এবার ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ, নিহত ২০, আহত ৪৫০
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:২২ অপরাহ্ন
পেজার বিস্ফোরণের একদিন পরেই এবার লেবাননে ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। এছাড়া এতে আহত হয়েছেন আরও ৪৫০ জন। এর আগে মঙ্গলবার পেজার বিস্ফোরণে নিহত হন ১২ ব্যক্তি। আহত হয়েছেন তিন হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডয়চে ভেলে। এতে বলা হয়, লেবাননে পেজার বিস্ফোরণের একদিন পরেই বৈরুতের দক্ষিণের একটি এলাকায় ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ হলো। যেসব অঞ্চলে এই বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে হিজুবুল্লাহর ঘাঁটি রয়েছে। পেজার বিস্ফোরণে যে ১২ জন মারা গিয়েছিলেন, তাদের শেষকৃত্যের সময় কিছু ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ হয় বলে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। হিজবুল্লাহ এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে। তবে ইসরাইল এই পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ইসরাইলের উত্তর সীমান্তে সেনা মোতয়েনে জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ইরান এবং লেবাননের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের লক্ষ্য যে হিজবুল্লাহ তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাদের দাবি, এর জন্য ইসরাইলই দায়ী। মোবাইলে সহজেই লোকেশন ধরে ফেলা যায় বলে হিজবুল্লাহর সদস্যরা মোবাইল ব্যবহার করেন না। তারা পেজার ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করেন। বেশকিছু গণমাধ্যমের খবর বলছে, ইসরাইল গোল্ড অ্যাপলো পেজার্স-এর একটি শিপমেন্ট ধরে ফেলে। তারপর পেজারের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে দেয়া হয়। সেই পেজার হিজবুল্লাহকে সরবরাহ করা হয়। সেগুলিতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
শুধু হিজবুল্লাহ বা ইরান নয়, ইসরাইলের অনেক গণমাধ্যমও বলছে, এই বিস্ফোরণের পিছনে ইসরাইলের সংশ্লিষ্টতা আছে। ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান সংবাদপত্র হারেটজ জানিয়েছে, পেজার ডিটোনেট করার সিদ্ধান্ত খুব তড়িঘড়ি করে নেয়া হয়েছে। আগে ঠিক ছিল, সংঘাত খুব বেড়ে গেলে তা করা হবে। ওই সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে, হিজবুল্লাহর মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার একটা ভাব তৈরি হবে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে তাদের কমান্ড ও কন্ট্রোল সিস্টেমে আঘাত লাগবে। ইসরাইলের রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ইনস্টিটিউট ফর রিজিওনাল ফরেন পলিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর গিল মুরসিয়ানো বলেছেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে বিরোধ কূটনৈতিক পথে মেটার সম্ভাবনা না থাকায় এই অপারেশন করা হয়েছে। এটা ঠিক, পেজারে বিস্ফোরণের কথা আরও পরে হওয়ার কথা ছিল। তা আগে করা হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, ইসরাইল বর্তমান পরিস্থিতিকে খোলাখুলি যুদ্ধপরিস্থিতি বলে মনে করছে। তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে উত্তেজনা আরো বাড়বে। ইসরাইল হিজবুল্লাহর লড়াই করার ক্ষমতায় যতটা সম্ভব আঘাত করতে চাইছে। বৈরুত ভিত্তিক সাংবাদিক রনি চাতাহ জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, এখন তার দিকেই নজর থাকবে। তবে তিনি মনে করেন, হিজবুল্লাহ খুব বড় আকারে পাল্টা হামলার পথে আগাবে না। তারা ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে টার্গেট করতে চাইবে।
প্রযুক্তির বিকাশে মুসলিমদের পিছিয়ে থাকা চলবে না।
মোবাইলে বোমা ওয়াকিটকিতেও বোমা। এখনই বিশ্বের প্রভাবশালী দেশের উচিত এদের লাগাম ট্রেনে ধরা। এসব ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা। অর্থ সরবরাহ বন্ধ করা। বিষয়টি ভয়ংকর।