রাজনীতি
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৮:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৬ অপরাহ্ন
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে এই বাণী দেয়া হয়।
তারেক রহমান বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর মহিমান্বিত সত্তার আবির্ভাব ঘটে এই পৃথিবীতে। এই দিনটি শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানের মাঝে পালিত একটি উৎসব। সৃষ্টির সেরা মানব বিশ^নবী এর মতো এ মহান নেয়ামতের আগমন দিবস কতোই না মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ, কতোই না আনন্দের তা সহজেই অনুমেয়। আজ আল্লাহ’র প্রতি বিশ^াস ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন। আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা সুউচ্চ আসনে অভিষিক্ত করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগৎ ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এইদিনে। হযরত মুহম্মদ (সা.) এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।
তিনি বলেন, মহানবী (সা.) মানব জাতির জন্য এক অত্যুজ্জ্বল অনুকরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তাওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইয়্যামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান অনাচার, মানুষে মানুষে হানাহানি, যুগের পর যুগ যুদ্ধ-বিগ্রহ, নিজ কন্যাকে জীবন্ত কবর, ব্যভিচার, মদ ও জুয়া ছিল সমাজে উচ্চস্তরের নিত্যদিনের কাজ। এই সময় যার আগমন হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আলামিন। তিনি আইয়্যামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে সত্য ও ইনসাফ নিশ্চিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.) এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী (সা.) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্য অসংখ্য দুরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই।
অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিশ্বমানবের নিকট এক অতুলনীয় শিক্ষক, শান্তি-সংগ্রাম-সম্প্রীতির আধার-চরম সত্যবাদী ও পরম বিশ^স্ত হযরত মুহম্মদ (সা.)। তার কালজয়ী মূল্যবোধ, মানবতা, সহমর্মিতা, উদারতা, মানুষের প্রতি সহানুভূতি মানবজাতির নিকট উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কৈশোরকাল থেকেই যিনি মিথ্যা কথা বলেন না, আমানতের খেয়ানত করেন না, অন্যের উপকার করা যার কাজ, বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করা যার চরিত্র। পরম সত্যের সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত রেখে তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত লাভ করেন। কঠোর পরিশ্রমী প্রচেষ্টার মধ্যদিয়ে তিনি তাওহিদের বাণী সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেন। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন মহানবী (সা.) ওপর অবতীর্ণ করেন, যা মানবজাতির পথপ্রদর্শক হিসেবে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মুক্তির যাবতীয় নির্দেশাবলী অনুসরণের মাধ্যমে মানুষকে পরিপূর্ণ ও মর্যাদাশীল করে তোলে। তার জীবন ও কর্ম অনুসরণের মাধ্যমে শৃঙ্খলিত মানুষের মুক্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক তাগিদ সৃষ্টি করে। আমরা যেন সবাই নিজেদের জীবনে তার কর্মময় জীবন ও আদর্শ অনুসরণ করে সত্যিকার বিশ^াসী মুসলমান হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারি।