বিশ্বজমিন
পাকিস্তানে ২ সাংবাদিক হত্যার তদন্ত ও বিচার দাবি সিপিজের
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৬:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৪৯ অপরাহ্ন
পাকিস্তানে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্যেই হত্যা করা হয়েছে দু’জন সাংবাদিককে। তারা হলেন আওয়াজ টিভি’র রিপোর্টার মুহাম্মদ বাচাল ঘুনিও এবং ইন্টারন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির (আইএনএ) রিপোর্টার নিসার লেহরি। সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) অবিলম্বে এই হত্যার তদন্ত দাবি করেছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কাছে। একই সঙ্গে দেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তীব্র সহিংসতার ঢেউ বন্ধে নিশ্চয়তা দাবি করেছে। সংগঠনটির এশিয়া প্রোগ্রাম সমন্বয়ক বেহ লিহ ই বলেন, সাংবাদিক নিসার লেহরি এবং মুহাম্মদ বাচাল ঘুনিওকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাকিস্তানজুড়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অব্যাহত আছে। এই সহিংসতার ভয়াবহ চক্রকে ভাঙতে জরুরি ভিত্তিতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন করতে হবে। সাংবাদিকদের হত্যায় দায়মুক্তির রীতি সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বন্ধ না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের মিডিয়া তাদের সাংবাদিকতা করতে পারবে না। স্থানীয় স্বাধীন সংবাদ বিষয়ক গ্রুপ পাকিস্তান প্রেস ফাউন্ডেশনের মতে সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলায় রাউনতি এলাকায় নিজের বাড়ির কাছে এক মাঠে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা ২৭শে আগস্ট হত্যা করে মুহাম্মদ বাচাল ঘুনিওকে। তার ভাই এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করছেন, রিপোর্টিং এবং সাংবাদিকতার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করেছে একটি অস্ত্র। ধারনা করা হচ্ছে, এটি ব্যবহার করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে লেহরি হত্যার মামলার ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করেছে সিপিজে। তারা বলেছে, বেলুচিস্তান প্রদেশের মাসতুং জেলার গুলকান্দ এলাকায় নিজের বাড়ির কাছে অজ্ঞাত তিন অস্ত্রধারী ৪ঠা সেপ্টেম্বর নিসার লেহরির ওপর হামলা করে। তিনি স্থানীয় মাসতুং প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছিলেন। মামলার এফআইআরে বলা হয়েছে, স্থানীয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার কারণে হত্যা করা হয়েছে লেহরিকে। তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে জমি সংক্রান্ত বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। উল্লেখ্য, এ বছর পাকিস্তানজুড়ে হত্যার শিকার হয়েছেন আরও সাত সাংবাদিক। রিপোর্ট করার কারণে বহু সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে অথবা তারা আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।