ভারত
ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে মমতা, সমস্ত হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(৪ সপ্তাহ আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৪:৫৫ অপরাহ্ন
শনিবার দুপুর, চলছে অঝোরে বৃষ্টি। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা, তার মধ্যেই হঠাৎ পৌঁছে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চের সামনে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে তাদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন , ‘‘আমার নিরাপত্তাজনিত নানা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমি নিজে ছুটে এসেছি। আপনাদের দিদি হিসেবে এসেছি, সব দাবি বিচার করব। আপনাদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। আমি আপনাদের ব্যথা বুঝি। আমিও ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি।’’ শনিবার মমতা পৌঁছনোর পরেও ধর্নাস্থল থেকে বিচারের দাবিতে স্লোগান ওঠে। বেশ কয়েক মিনিট মাইক হাতেই দাঁড়িয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। ধর্নাস্থলে খানিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার পর ডাক্তারদের উদ্দেশে বার্তা দেন মমতা। ঘোষণা করেন , সমস্ত সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হল। খোলনলচে বদলে নতুন করে তা গঠন করা হবে। সেই সমিতিতে থাকবেন ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, নার্সরা। থাকবেন পুলিশ আধিকারিকও।আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় রোগী কল্যাণ সমিতির ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির ভিতরে ঘুণ ধরা অবস্থা নিয়েও সরব হয়েছিলেন অনেকে। তা নিয়ে সেসময় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার সেই ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘যদি সত্যি কেউ দোষী হয়, তারা শাস্তি পাবে। কেউ আমার বন্ধু বা শত্রু নয়। যাদের আমার বন্ধু বলছেন, আমি তাদের চিনিই না। প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা এসেছেন। আমি সাধ্যমতো পদক্ষেপের চেষ্টা করব। আপনারা কাজে ফিরুন। আমি আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করব না। গত ৩৪ দিন ধরে আমিও রাতের পর রাত ঘুমোইনি। কারণ, আপনারা রাস্তায় থাকলে আমাকেও পাহারাদার হিসাবে জেগে থাকতে হয়।’’আন্দোলনকারীদের দাবিগুলি সরকার বিবেচনা করবে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ আমি একা সরকার চালাই না। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি সকলের সঙ্গে আমি আপনাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করব। সিবিআইকে অনুরোধ করব, দ্রুত তদন্ত শেষ করুন। দোষীদের ফাঁসি হোক।'