অনলাইন
চেন্নাইয়ের উইকেটে ঘাস, ২০১৯ এর ভয় দেখাচ্ছে ভারত?
স্পোর্টস ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৩:৫৪ অপরাহ্ন
ভারত সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের ভেন্যু চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়াম। স্বাভাবিকভাবে এই স্টেডিয়ামের উইকেট স্পিনারদের জন্য সহায়ক হয়। যদিও বাংলাদেশ এখন আর স্পিন নির্ভর দল নেই। পেসাররাও ম্যাচ জেতাচ্ছে, সর্বশেষ পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জয়ে পেসারদের অবদানই সবচেয়ে বেশি। তবে তাতেও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় ভারত। প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের শক্তি ও ভবিষ্যৎ সূচি বিবেচনায় চেন্নাইয়ের উইকেটে পেসারদের জন্য বাড়তি কিছু রাখতে পারে তারা।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসও জানায়, চেন্নাইয়ে কালো নয়, লাল মাটির উইকেটে খেলা হবে টেস্টটি। উইকেটে বেশ ঘাসের উপস্থিতি থাকার কথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। যদিও টেস্ট শুরু হতে এখনো ৫ দিন বাকি।
এছাড়া অনুশীলনেও বাংলাদেশের স্পিনারদের জন্য বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। নেটে রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল ছাড়াও ছিলেন তিন বাঁহাতি স্পিনার অজিত রাম, পি ভিগনেশ, মানিমারান সিদ্ধার্থ। হিমাংশু সিং নামের এক স্পিনারও ছিলেন এদিন, যিনি বোলিং অ্যাকশনের কারণে ‘রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ফটোকপি’ হিসেবে পরিচিত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, অনুশীলনে শুবমান গিল, বিরাট কোহলিরা একের পর এক সুইপ, রিভার্স সুইপ খেলার অনুশীলন করছেন। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বলে প্যাডল সুইপ, প্রথাগত সুইপ খেলেছেন। মূলত প্রতিপক্ষ স্পিনারদের শুরুতেই ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে চান তারা।
২০১৯ সালে ইন্দোর ও কলকাতায় পেস বোলারদের দিয়ে বাংলাদেশকে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়েছিল ভারত। বাংলাদেশ সেই সিরিজের দুই টেস্টেই হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। ভারতের পেসাররা দুই টেস্টে উইকেট নিয়েছিলেন ৩৫টি। অতীত অভিজ্ঞতাতেই এবারও টাইগারদের জন্য পেস সহায়ক উইকেট বানাতে চায় ভারত। যদিও গত সিরিজে পাকিস্তানের মাটিতে পেসারদের পারফর্মেন্স বাংলাদেশকে এবার আত্মবিশ্বাস দিবে। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেটই নেন বাংলাদেশ পেসাররা।
চেন্নাইয়ের উইকেট পরিবর্তন অবশ্য শুধু বাংলাদেশ সিরিজের জন্য নয়। এই সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে ভারত। চলতি বছরের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ টেস্টের সিরিজ খেলতে যাবে ভারত। যে সিরিজ চলবে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত। এই সিরিজের আগে ব্যাটারদের পেস সহায়ক উইকেটে অভ্যস্ত করতে চায় ভারত।