অনলাইন
সহযোগীদের খবর
অনলাইন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২১ পূর্বাহ্ন
যুগান্তর
দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘রাষ্ট্র সংস্কারে ছয় কমিশন’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্র সংস্কারে সুনির্দিষ্ট ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কমিশনের প্রধানও চূড়ান্ত করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন-নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ কমিশনে সরফরাজ হোসেন, বিচার বিভাগে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশনে ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসনে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান থাকবেন ড. শাহদীন মালিক। ১ অক্টোবর থেকে তারা কাজ শুরু করবেন। রিপোর্ট দেবেন ৩ মাসের মধ্যে। বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম মাসপূর্তি উপলক্ষ্যে এ ভাষণ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর গত এক মাসে সবচেয়ে বড় অর্জন হলো নতুন প্রশাসন কাঠামো দাঁড় করানো। দেড় দশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এক লাখ কোটি টাকা বেশি লুটপাট হয়েছে। ৬০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপিয়ে মূল্যস্ফীতি উসকে দিয়েছিল বিদায়ি হাসিনা সরকার।
এছাড়াও সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রার বিনিময় হার কমিয়ে আনা। ৫৩ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং পাইপলাইনে থাকা ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা। এছাড়াও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে বাজেট সহায়তা চেয়েছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের বয়স সাড়ে ১২ বছরের কম ছিল, তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হবে। এ সময়ে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, জাতি হিসাবে এবার ব্যর্থ হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
প্রথম আলো
পোশাক শিল্পের অস্থিরতা নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘আশুলিয়া ও গাজীপুরে ১৮৩ কারখানা বন্ধ’। খবরে বলা হচ্ছে, সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রম অসন্তোষ কমছে না। শ্রমিক বিক্ষোভে গতকাল বুধবার ১৮৩টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। এর মধ্যে সাভার-আশুলিয়া-জিরানী এলাকার ৫৪টি ও গাজীপুরের ১২টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। বাকি ১১৭ কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ না করায় ছুটি দেওয়া হয়।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে গতকাল গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় বিগবস করপোরেশন নামে একটি কারখানার গুদামে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শ্রম অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার। সাধারণত পাঁচ বছর পর মজুরি সমন্বয় করা হলেও এবার তা আগেই করার কথা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল সচিবালয়ে ‘শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
হাজিরা বোনাস ও টিফিন বিল বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে ৩১ আগস্ট থেকে গাজীপুর ও সাভার-আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া কারখানায় নিয়োগে নারী ও পুরুষের সম অধিকার নিশ্চিতের দাবিতেও বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। মাঝে চার দিন পরিস্থিতি ভালো থাকলেও গত মঙ্গলবার গাজীপুরের আবার শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয়। গত সোমবার তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা আশুলিয়ার শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘ডিসি পদে পদায়ন প্রক্রিয়ায় গলদ!’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই গলদ দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে দেশের ৫৯ জেলা প্রশাসক পদায়ন করা হয়। মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালনকালে এসব কর্মকর্তার বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় পদায়নের পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আওয়ামীপন্থি দুর্নীতিবাজ, অযোগ্য ও অদক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া দক্ষ ও বঞ্চিত কর্মকর্তাদের তোপের মুখে ৯ জেলা প্রশাসকের পদায়ন বাতিল করা হয়। রদবদল করা হয় চারটি জেলার জেলা প্রশাসককে। এক দিনের ব্যবধানে ১৩ ডিসির নিয়োগে এমন পরিবর্তন করায় পদায়ন-প্রক্রিয়াতেই গলদ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হতে ইচ্ছুকদের বিশৃঙ্খলা শোভন হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসনে ব্যাপক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক পরিবর্তনের জন্য ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের ৬১৮ জন কর্মকর্তার মৌখিক পরীক্ষা নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর গত দুই দিনে ৫৯ জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫৯ জন জেলা প্রশাসকের মধ্যে আট জন রয়েছেন, যারা শেখ হাসিনার শাসনামলে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে কাজ করেছেন। আট জন রয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। যদিও এই দুই মন্ত্রণালয়ে পদায়নের সময় তাদের রাজনৈতিক অবস্থান কঠিনভাবে পর্যালোচনা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক না হলে এই দুই মন্ত্রণালয়ে পদায়ন পাওয়া সম্ভব হয় না। অথচ স্বৈরাচারী পতনের পর সেই সরকারের সমর্থক ও সুবিধাভোগী এই ১৬ কর্মকর্তাকে জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীর একান্ত সচিব, স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ নেতার স্ত্রীকে জেলা প্রশাসক পদায়ন করা হয়েছে। বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসাইনমেন্ট বাস্তবায়ন করেছেন, এমন কর্মকর্তাও রয়েছেন কয়েকজন।
দেশ রূপান্তর
‘শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাদের শৃঙ্খলা ভাঙছেন তারাই’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের কর্মকর্তারাই নিজেদের স্বার্থে সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছেন এক মাসের বেশি সময় ধরে। প্রায় প্রতিদিনই সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে ভিড় করছেন তদবিরকারী কর্মকর্তারা। মাঠ প্রশাসনেও এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।
প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে পেট্রোবাংলা, এলজিইডি, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সহ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন করছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসেও প্রশাসনে কাজের গতি ফেরেনি। এতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সচিবালয়ে অনেক কর্মকর্তা দাপ্তরিক কাজ ফেলে নিজেদের সুবিধা আদায় কিংবা অন্যের বদলি বা পদোন্নতি কীভাবে ঠেকানো যায় তা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের এসব কর্মকর্তা নিজেরাই যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন, তাহলে তারা দেশের শৃঙ্খলা রক্ষায় কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন। কিন্তু শৃঙ্খলা ফেরাতে গত এক মাসে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে কঠোর কোনো বার্তা বা সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
সমকাল
দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ‘রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণে সংস্কারের পথরেখা ঘোষণা’। খবরে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তৈরির জন্য একটি পথরেখা ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান এবং এর মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এই আয়োজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণ তাগিদের ঐক্যবন্ধনে গোটা জাতিকে শক্তিশালী ও আশাবাদী করে তুলবে।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা সার্বিক সংস্কারের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করার কথা বলেন। তিনি শ্রমিক, ব্যবসায়ী, সমিতি, সংগঠন– সবখানে সবাইকে ‘নিজ নিজ জগতে সংস্কার’ আনার আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস তাঁর ভাষণে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, বিচার প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন– এই চারটি প্রতিষ্ঠানের সংস্কার অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার জনমালিকানাভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে। প্রধান উপদেষ্টা জানান, সংস্কার করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ছয়টি কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘Workers minimum wage to be reviewed’ অর্থাৎ ‘শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা করা হবে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিল্পকারখানার বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের বিষয়ে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, বর্তমানে একটি নতুন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার বিষয়টি আলোচনার জন্য পথ খোলা রয়েছে।
সাতজন উপদেষ্টার উপস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকের পর এ তথ্য জানান তিনি।