বাংলারজমিন
পরশুরামে বন্যায় ভেঙেছে ১৪ সড়ক, জনভোগান্তি
পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
১৪ আগস্ট ২০২৪, বুধবারপরশুরামে বন্যায় ভেঙে গেছে জনগুরুত্বপূর্ণ পরশুরাম-সুবার বাজার সড়কসহ ১৪টি পাকা সড়ক। এতে ৫০ গ্রামের মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। বন্যার পানি শুকিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতে উদ্যোগ নেয়নি উপজেলা এলজিইডি অফিস। উপজেলা এলজিইডি অফিস দাবি করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতের জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ২রা আগস্ট থেকে টানা বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। প্লাবিত হয় প্রায় ৫০টি গ্রাম। বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে গেছে ১৪টি সড়ক।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্র জানায়, বন্যায় পরশুরামের কাউতলী সড়কের ৬০ মিটার, পশ্চিম অলকা বড়বাড়ি সড়কের ৫০ মিটার, কালিবাজার-চন্দনা সড়কের ৪০ মিটার, পরশুরাম-অনন্তপুর, নোয়াপুর-ধনীকুণ্ডা বাজার রোডের ৪০ মিটার, নোয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-পূর্ব অলকা সড়কের ৯০ মিটার, পরশুরাম-কালিবাজার-মালিপাথর-নিলক্ষী সড়কে ৪০ মিটার, মালিপাথর গ্রামের সড়কে ৪০ মিটার, পরশুরাম মডেল স্কুল রোডে ৮০ মিটার, চিথলিয়া-ধনীকুন্ডা রোডে ৩০ মিটার, সুফি আবুল বাশার রোডে ৩০ মিটার, পরশুরাম-বাউরপাথর সড়কে ৭০ মিটার, পরশুরাম-বাসপদুয়া-বক্সমাহমুদ সড়কে ১০০ মিটার, পূর্ব সাহেবনগর পশ্চিম সাহেবনগর সড়কে ২৫০ মিটার ও পূর্ব সাহেবনগর চৌধুরী বাড়ি সড়কের ২৫ মিটার সড়ক ভেঙে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে জনগুরুত্বপূর্ণ পরশুরাম-সুবার বাজার সড়কের ভয়াবহ ভাঙনে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হতে চলেছে মির্জানগর ইউনিয়নের মানুষের। সড়কটির তুলাতলীতে প্রায় ৩শ মিটার ভেঙে গর্ত তৈরি হয়েছে। রোগী ও সাধারণ মানুষের চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
তুলাতলী সড়কের ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম জানান, প্রায় ১৫ দিন ধরে এ সড়কটি ভেঙে আছে। সিএনজি, মালবাহী গাড়ি ভেঙে যাওয়া সড়কের গর্তে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। চলাচলে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
এলজিইডি উপজেলার প্রকৌশলী এসএম শাহ আলম ভূঁঞা জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতের জন্য তালিকা করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সড়কগুলো মেরামত করা হবে। তিনি বলেন, পরশুরাম-সুবার বাজার সড়কের পাকাকরণ কাজ চলমান রয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কাজ স্থগিত করা হয়েছে। পানি শুকিয়ে গেলে কাজ শুরু হবে।