শেষের পাতা
গভর্নরের দায়িত্ব পেলেন নূরুন নাহার
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১২ আগস্ট ২০২৪, সোমবারবাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করবেন ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ করায় রোববার থেকেই তিনি গভর্নরের দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে শুক্রবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান আব্দুর রউফ তালুকদার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব আফসানা বিলকিসের সই করা এক অফিস আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের পদত্যাগজনিত কারণে ১১ই আগস্ট থেকে নতুন গভর্নরের যোগ দেয়ার আগ পর্যন্ত দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা স্ব স্ব ক্ষেত্রে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন করবেন। অফিস আদেশে আরও বলা হয়, ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার গভর্নরের দৈনিক ডাক দেখবেন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাবেন।
সরকার পতনের পর গত বুধবার বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছাড়েন ৪ ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধান। তারা হলেন- কাজী ছাইদুর রহমান, নূরুন নাহার, খুরশীদ আলম ও ড. মো. হাবিবুর রহমান। এর মধ্যে কাজী ছাইদুর রহমান বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের চাপের মুখে সাদা কাগজে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। ব্যাংক ছেড়ে ডেপুটি গভর্নর পদমর্যাদার বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।
এদিকে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ করায় তার অবর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ ডেপুটি গভর্নররা তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন গভর্নর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন ডেপুটি গভর্নররা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একজন ডেপুটি গভর্নরও অফিস করেননি। ডেপুটি গভর্নর-১ কাজী ছাইদুর রহমান জানান, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা হোম অফিস করছেন।
সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার: সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী ও মেয়ের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এই নির্দেশ সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হাছান মাহমুদকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বিএফআইইউ’র নির্দেশে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরুন ফাতেমা এবং মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ী হিসাব জব্দ করতে হবে। ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় এই নির্দেশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের এই নির্দেশনার ফলে ওই তিনজনের ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব থেকে কোনো অর্থ উত্তোলন করা যাবে না। হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়, তাতে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। এর আগের সরকারে তিনি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারে যাদের অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবে গণ্য করা হতো, তাদের মধ্যে হাছান মাহমুদ একজন। গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর হাছান মাহমুদ কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো তথ্য নেই।