অনলাইন
রয়টার্সের রিপোর্ট
সেনাবাহিনীর যে বার্তায় পালিয়ে যান শেখ হাসিনা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৭ আগস্ট ২০২৪, বুধবার, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪৯ অপরাহ্ন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়ে দেয় তারা প্রতিবাদ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আর দমনপীড়ন চালাতে পারবে না। এতেই শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর আগের রাতে সেনাপ্রধান তার জেনারেলদের নিয়ে একটি মিটিং করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, কারফিউ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর সেনারা আর গুলি ছুড়বে না। ওই মিটিংয়ের বিষয়ে জানেন এমন দু’জন সেনা কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে। এতে বলা হয়, এরপরই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান ছুটে যান গণভবনে। তিনি শেখ হাসিনাকে এই বার্তা দেন যে, তিনি যে লকডাউন আহ্বান করেছেন তা বাস্তবায়নে অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন তার সেনারা। ভারতীয় একজন কর্মকর্তাও এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে ম্যাসেজ ক্লিয়ার হয়ে যায়। তা হলো: হাসিনার পক্ষে সেনাবাহিনীর আর কোনো সমর্থন নেই। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছে।
এতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদের কর্মকর্তাদের অনলাইন মিটিং এবং তারপর শেখ হাসিনাকে যে বার্তা দেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এর আগে আর কোনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। শেখ হাসিনা ১৫ বছর যেভাবে শাসন করেছেন তাও উঠে আসে। তিনি বিন্দুমাত্র ভিন্নমত পোষাণ করেন এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এসবের কারণে বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আর আকস্মিকভাবে সোমবার তার ইতি ঘটে। তিনি পালিয়ে চলে যান ভারতে।
এর আগে দেশজুড়ে কারফিউ দেয়া হয়। তাতে রোববার কমপক্ষে ৯১ জন নিহত ও কয়েক শত মানুষ আহত হন। জুলাইয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরুর পর এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণহানির দিন।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন রোববার সন্ধ্যার আলোচনার বিষয়। তিনি বলেছেন, এটা ছিল নিয়মিত মিটিং। সেখানে আপডেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে বাড়তি প্রশ্ন করা হলে তিনি বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রয়টার্স এসব নিয়ে ১০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন। এর মধ্যে আছেন চারজন সেনা কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের অন্য দু’জন সূত্র। তারা বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে নাম প্রকাশ করতে চাননি। গত ৩০ বছরের মধ্যে ২০ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছেন শেখ হাসিনা। জানুয়ারিতে তিনি টানা চতুর্থ দফায় নির্বাচিত হন। এর আগে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেন। প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে। তিনি কঠোর হস্তে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতের এক রায়কে কেন্দ্র করে তার সেই ক্ষমতা চ্যালেঞ্জে পড়ে। ছাত্রদের আন্দোলনে সেই রায় পরে সংশোধন করা হয়। কিন্তু প্রতিবাদ বিক্ষোভ রূপ নেয় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে।
শেখ হাসিনার ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানাননি সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। কিন্তু প্রতিবাদ বিক্ষোভের আকার এবং কমপক্ষে ২৪১ জনের মৃত্যু শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে অসম্ভব করে তোলে। এমনটা বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক তিনজন সিনিয়র কর্মকর্তা। অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সেনাদের ভিতর ব্যাপক পরিমাণে অস্বস্তি ছিল। সম্ভবত এজন্যই চিফ অব আর্মি স্টাফের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ, সেনারা ব্যারাকের বাইরে এবং তারা দেখতে পাচ্ছিলেন কি ঘটছে। সামি উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, এতে জীবন রক্ষার কথা ঘোষণা দেয়া হয়। কর্মকর্তাদেরকে ধৈর্য প্রদর্শন করতে বলা হয়। এতে প্রথমেই যে ইঙ্গিত মেলে তা হলো সেনাবাহিনী সহিংস প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমনে শক্তিপ্রয়োগ করবে না। ফলে শেখ হাসিনা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েন। সোমবার কারফিউ অমান্য করে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহেদুল আনাম খানের মতো সিনিয়র অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রাজপথে নেমে পড়েন। তিনি বলেন, আমাদেরকে থামায়নি সেনাবাহিনী। আমরা যেটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেনাবাহিনী সেটাই করেছে।
অনির্দিষ্টকালের দেশজুড়ে কারফিউয়ের প্রথম দিন সোমবার শেখ হাসিনা গণভবনের ভিতরে অবস্থান করেন। এটি রাজধানী ঢাকায় ভারি নিরাপত্তা প্রহরী বেষ্টিত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। এর বাইরে রাস্তায় রাস্তায় জনতার ঢল নামে। লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজধানী ঢাকার রাস্তায় নেমে আসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে। ভারতীয় কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের দু’জন ব্যক্তি- যারা এ বিষয়ে জানেন, তারা বলেন- এমন অবস্থায় দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন ৭৬ বছর বয়সী এই নেত্রী।
বাংলাদেশের একটি সূত্র বলেছেন, শেখ হাসিনা এবং তার ছোটবোন শেখ রেহানা এ সময় একসঙ্গে ছিলেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন পালিয়ে যাবেন। দুপুরের দিকে তারা ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, জুলাই মাসজুড়ে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল নয়া দিল্লি।
khuni Hasinar fashi chai
আমাদের প্রিয় সেনাবাহিনীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,, বাংলাদেশের এতো গুলি মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য,,মহান রব যেনো আপনাদের সবাইকে সব সময় ভালো সুস্ত রাকেন।
বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আমাদের দেশের অহংকার। দেশ যখন বিপথে পরিচালিত হয় তখন ছাত্র সমাজ এবং সেনাবাহিনী দেশকে উদ্ধারের কাজে এগিয়ে আসেন। এটাই পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত। আমাদের দেশের ছাত্র সমাজ এবং সেনাবাহিনী যতদিন শৃংখলার মধ্যে থাকবে ততদিন এই দেশকে কেউ বিপদগ্রস্থ করতে পারবে না ইনশাল্লাহ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, সর্বোপরি দুর্নীতিমুক্ত রাখতে ছাত্র সমাজ এবং সেনাবাহিনীর উপর তোমার রহমত বর্ষণ করুন।
হাসিনা কে পালিয়ে যাওয়ার বেবস্থা করল কে? তাকেও বিচারের আওতায় আনা উচিত। এইভাবে প্রতিটা জালিম দুর্নীতির আখরা বানিয়ে, জনগনের সাথে প্রতারনা করে পালিয়ে যাবে, আর আমরা এই খেলা দেখে দেখেও কোন শিক্ষা নিব না!! কি বোকা আমরা !! জালিম তৈরির কারখানা কি আমরা চিনতে পারছি না!
সেনাবাহিনীর সময়োপযোগী পদক্ষেপে অনেক জীবন বেঁচে গেছে। তবে হাসিনাকে পালাইতে দেওয়া ঠিক হয় নাই। তাকে সেনানিবাসে বন্দী করে রাখা যাইতো ও বিচারের আওতায় আনা ঠিক হইত। দেশটা দূর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত। এমন কোন সেক্টর নাই যেখান দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী পাওয়া যাবে না। এই সব জঞ্জাল মুক্ত করতে অন্তবর্তীকালিন সরকারকে সহায়তা করতে হবে।
সেনাবাহিনী কে ধন্যবাদ। দীর্ঘ দিন পরে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে এসেছে,এই আস্থা অটুট থাকুক।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমাদের সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার স্যার তার একটি কথার কারণে কত হাজার মানুষের জীবন বেঁচে গেছে একমাত্র আল্লাহই ভাল জানে। সেদিন যদি তিনি শেখ হাসিনাকে সাপোর্ট করতেন তাহলে বাংলাদেশি অনেক মানুষের প্রাণ চলে যেত। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমাদের সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার স্যার কে আল্লাহ যেন নেক হায়াত দান করেন আমিন
প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল না হয়ে জনগণের উপর নির্ভরশীল হলে আজ এ বিপদ আসত না । জনগণ সম্মান দিতে জানে এবং সামান্য তে কৃতজ্ঞ থাকে ।
লেখাটি খুবই বস্তুনিষ্ঠ। সারমর্ম হলো শনিবার সেনাবাহিনীর সর্বস্তরের অফিসার ও সেনাপ্রধানের মাধ্যমে মহান আল্লাহ এই নিরীহ জাতিটাকে রক্ত গঙ্গার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। সেনাপ্রধান বিনাবিচারে শেখ হাসিনা ও তাঁর বোনকেও মরতে দেননি। উল্লেখ না করলেই নয় যে, এই তিন বাহিনী ভারতের রাহু মুক্ত করেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সেনাবাহিনীর উপর তাঁর বিশেষ রহমত ও শান্তি দান করুন।
তিন বাহিনী প্রধানকে ধন্যবাদ। আল্লাহ তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন। তারা বিবেকের তাড়নায় ডাইনীকে রিফিউজ করেছে বলেই শেষ পর্যন্ত সে পালাতে বাধ্য হয়েছে। সে হাজারে হাজারে মানুষ মেরে হলেও ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। তার বোনও তাকে নিবৃত্ত করতে পারেনি। নিজের ছেলেও যখন তার সঙ্গ ত্যাগ করেছে তখন সে পালিয়েছে। আল্লাহ তাকে তার বিচার করুন।
বাপের মতই ভিতু , বাতপার আর লোভী । অর বাপ ও ১৯৭১ এ যুদ্ধ শুরুর আগেই পালাইছিল । অর আত্মহত্যা করা উছিত ছিল পুরা ফ্যামিলি নিয়া । নিরলজ্জ মহিলা ।
সেনাবাহিনীর সময়োপযোগী পদক্ষেপ জাতি কে ব্লাডসেড করেছে। এখন দেশপ্রেমিক জনতা দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করা উচিত।
উপরআলার বিচার একদিন না একদিন হবেই যার সুস্পষ্ট প্রমাণ শেখ হাসিনার মসনদ থেকে পলায়ন। ছিঃ
আইনের শাসন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো সংস্কারে সমন্বয়কদের প্রস্তাবিত নোবেল লড়িয়েট ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস -এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সরকারের কার্য পরিধি ও তা বাস্তবায়নের সময় জানার অপেক্ষায় আছি…
বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল আশাকরি এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের চলমান রাজিৈতক কর্মকান্ডে গুনগত পরিকর্তন আনবেন, রাষ্ট যন্ত্রে সেসব অনাচার রীতিতে পরিণত হয়েছে সেসব অনাচারের পথ বন্ধ করবেন। রাজনীতিতে নতুন ধারা নিয়ে আসবেন। আশা করি আমাদের তরুন ছাত্র-জনতার রক্ত আমাদের পরিশোধন করবে।
সেনাবাহিনী কে ধন্যবাদ। দীর্ঘ দিন পরে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে এসেছে,এই আস্থা অটুট থাকুক।
সেনাবাহিনী আমাদের অহংকার।। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে তারা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ধন্যবাদ।
উত্তম সিদ্ধান্ত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেনাবাহিনীর এক অফিসারের গুলির ব্যাপারে জাতিসংঘের পীস মিশনে পিটিশন সাইনের বিষয়টি ও হয়তো তাদের নজরে এসেছে- সব কিছু মিলিয়ে তাদের এই সিদ্ধান্ত কে জনগন স্বাগত জানিয়েছে-
আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সেনাবাহিনীর মধ্যে এখনও দেশ প্রেম আছে। তারা আজিজ কুলাঙ্গার এর পথে এগুবে না।
এস জয় শংকর শান্ত হোয়ার কথা না বলে বরং তিনি বলে ছিলেন বাংলাদেশে যা ঘটছে তা হলো তাদের অভ্যন্তরীন ব্যাপার।
আইনের শাসন ও দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সংস্কারের জন্য বীর সমন্বয়কদের প্রস্তাবিত নোবেল জয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর অন্তবর্তাকালীন সরকারের কার্যপরিধি ও তা বাস্তবায়নের সময় জানার অপেক্ষায় আছি......... মারুফুর রহমান
আলহামদুলিল্লাহ। এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার অস্বস্তিত্ব বুঝতে পেরেছে।
বানলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গবর
আলহামদুলিল্লাহ। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কাছে এটাই সাধারন মানুষের চাওয়া ছিল।
প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল না হয়ে জনগণের উপর নির্ভরশীল হলে আজ এ বিপদ আসত না । জনগণ সম্মান দিতে জানে এবং সামান্য তে কৃতজ্ঞ থাকে ।