দেশ বিদেশ
শিক্ষক মাহতাব সাংবাদিক সাঈদ ও ব্যবসায়ী মামুনের জামিন
স্টাফ রিপোর্টার
৭ আগস্ট ২০২৪, বুধবারকোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বনানী থানার মামলায় আলোচিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব ও মিরপুরে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য হাফিজ আল আসাদ ওরফে সাঈদ খানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন। গত ২৯শে জুলাই আসিফ মাহতাবের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৩রা আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৮শে জুলাই রাত ১টার দিকে আসিফ মাহতাবকে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৮ই জুলাই সেতু ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি করেন। মামলাটিতে সেতু ভবনের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৬শে জুলাই সাংবাদিক সাঈদ খানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের পল্লবী জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে সাঈদ খানের পক্ষে তার আইনজীবী দেলোয়ার জাহান রুমী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৩০শে জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এর পর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিং, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা হয়। ২০১৩ সালে এক মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড হয় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের। এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড হয়, যা পরে হাইকোর্ট বাতিল করে দেন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের এক মামলায়ও তিনি ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।