খেলা
৯ বার বিশ্বরেকর্ড ভাঙলেন ডুপ্লান্টিস
স্পোর্টস ডেস্ক
৭ আগস্ট ২০২৪, বুধবারএক, দুই, তিনবার নয়। গুনে গুনে নয়বার বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন আরমান্দ ডুপ্লান্টিস। অলিম্পিকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের খেলায় আবার বিশ্বরেকর্ড ভাঙলেন সুইডেনের এই পোল ভল্টার।
সর্বশেষ বিশ্ব রেকর্ডটাও তার ছিল। এ বছরের এপ্রিলে শিয়ামেন ডায়মন্ড লীগে ৬ দশমিক ২৪ মিটার উচ্চতা অতিক্রম করে গড়েন পোলের খেলার নতুন নজির। গতকাল স্তাদ দে ফ্রান্সের চারদিক তার নামে মুখরিত ছিল। স্লোগানের তালে তালেই যেন পোল হাতে দৌড়াচ্ছিলেন আরমান্দ ডুপ্লান্টিস। হাতের পোল্টার সামনের প্রান্তটা জুতসই জায়গায় ঠেকা দিয়ে আকাশের দিকে ওঠেন তিনি। চারদিকটা তখন স্তব্ধ। ৬ দশমিক ২৫ মিটার ওপরে তোলা বারটা পেরিয়ে ওপারে পড়লেন তিনি। চারদিক মুখরিত হয়ে উঠলো।
ঐতিহাসিক এ লাফে দুর্দান্ত কীর্তি গড়ার পর নিজেরই যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ডুপ্লান্টিসের। উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন সুইডিশ পোল ভল্টার। নবমবারের মতো বিশ্ব রেকর্ড গড়ে প্যারিস অলিম্পিকে পোল ভল্টের সোনা জিতে তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তটা কতোটা দারুণ ছিল, তা আমি এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। এটা এমন বিষয়গুলোর একটি, যা কিনা আমার কাছে বাস্তব বলে মনে হয় না। অভিজ্ঞতাটা এ রকম যে মনে হয় অন্য কেউ আমার ওপর ভর করেছিল।’
এর আগে আটবার বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। কিন্তু এবারের বিশ্ব রেকর্ডটার স্বাদ তার কাছে খুবই বিশেষ। লাফ শেষ করে সোনা জয়ের উচ্ছ্বাসের মধ্যেই ডুপ্লান্টিস বলেন, ‘আমি আর কী বলতে পারি? মাত্রই একজন পোল ভল্টারের জন্য সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় মঞ্চ অলিম্পিকে বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলাম। অলিম্পিকে বিশ্ব রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন শৈশব থেকেই আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।’
সবচেয়ে বড় স্বপ্নটা পূরণের পথে স্নায়ুচাপ যে কম ছিল, সেটা তো নয়। স্তাদ দে ফ্রান্সের এত এত দর্শকের প্রায় সবাই যে তার নামে স্লোগান দিচ্ছিলো। ডুপ্লান্টিস বলেন, ‘আমার পক্ষে যতটা সম্ভব ছিল, আমি নিজের চিন্তাটা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করেছি। দর্শক উন্মাতাল হয়ে গিয়েছিল। এত শব্দ হচ্ছিলো যে আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা আমেরিকান কোনো ফুটবল ম্যাচের মতো।’ ২৪ বছর বয়সী এই পোল ভল্টার আরও বলেন, ‘এক লাখ ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতায় নামার অভিজ্ঞতা আমার খুবই কম। কিন্তু আমি এভাবে আকর্ষণের কেন্দ্রে কখনোই ছিলাম না। সবাই আমাকে যে শক্তিটা জোগাচ্ছিলো, আমি শুধু সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। তারা আমাকে অনেক শক্তি জুগিয়েছে, এটা কাজে লেগেছে।’