দেশ বিদেশ
ব্রিফিং ডেকে আসেননি মন্ত্রী
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৫ আগস্ট ২০২৪, সোমবারবিকাল পৌনে ৩টা থেকে পৌনে ৬টা। পাক্কা ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা। ৩ দফা শিডিউল পরিবর্তন। নাস্তা-পানি, চা-বিসু্কট আপ্যায়ন সবই হলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পূর্বনির্ধারিত মিডিয়া ব্রিফিংটি হলো না! নিজের সদ্য সমাপ্ত ইউরোপ সফর নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ভেন্যু সেগুনবাগিচাস্থ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিফিংয়ে সাধারণত মন্ত্রী কূটনীতি, রাজনীতি তথা সম-সাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর আহূত রোববারের সংবাদ সম্মেলনটির গুরুত্ব বিবেচনায় নির্ধারিত সময়েই মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিন। পথে পথে ছিল ভীতিকর অবস্থান। ভোর থেকেই মারমুখী অবস্থানে আন্দোলনকারী এবং শাসক দলের লোকজন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ঠিক উল্টো পাশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান। প্রেস ক্লাব এলাকায় সকাল থেকেই উত্তেজনা। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলেছে দুপুর অবধি। আশপাশের সড়কগুলো ছিল থমথমে। আগুন চলছিল সেগুনবাগিচার ভেতরের সড়কেও।
দুপুরের পর পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হয়ে আসলেও মিছিল থামেনি। এক গ্রুপ যাচ্ছিলো, আসছিল অন্য গ্রুপ। নিরাপত্তার কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই নম্বর গেট ছিল আগে থেকেই বন্ধ। গেটে সকালে একদফা ভাঙচুর হয়েছে বলে জানালেন দায়িত্বরত সদস্যরা। মন্ত্রণালয়ের ১ নম্বর গেটে ছিল কড়া নিরাপত্তা। অবশ্য ভেতরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সাংবাদিকরা তখনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অপেক্ষায়। এই চলে আসছেন..., পথে আছেন, কাছাকাছি..., এই মাত্র কথা হলো আরও কয়েক মিনিট। ঘড়ির কাঁটায় তখন পৌনে ৬টা। পাশের মৎস্য ভবন মোড়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বিকট শব্দে থেমে থেমে বিস্ফোরণ হচ্ছিলো। গোটা সেগুনবাগিচার আকাশ তখন কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। আতঙ্ক চারদিকে। তখনো মন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হচ্ছিলো তিনি আসছেন, একটু অপেক্ষা করুন...। না এবার আর সাংবাদিকরা বাধা মানলেন না। মন্ত্রী সেগুনবাগিচায় পৌঁছাতে পারলে এবং কারও সঙ্গে কথা বললে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে দিয়েন বলে যে যার মতো করে ছুটলেন। নিচে এসে দেখা গেল মন্ত্রণালয়ের সমস্ত কর্মকর্তারা বেরিয়ে পড়েছেন। তারা সিঁড়িতে অপেক্ষমাণ। সবার চোখে-মুখে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। চারদিকে আগুন, প্রশ্ন একটাই বাড়ি ফিরবো কোন পথে?
"মোদী কোট" ইঁদুরের শেষ যাত্রা।
হাছান মামুদ গেলো কই?
আশা করি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের এই শতাধিক লোকের মৃত্যুর জন্য সরকার এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারীর উপর ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছুটা কঠিন হবেন।