বাংলারজমিন
নড়াইলে শিক্ষার্থী-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ, পুলিশের রাবার বুলেট, আহত ২০০
নড়াইল প্রতিনিধি
৫ আগস্ট ২০২৪, সোমবারনড়াইলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অনেকে। মারাত্মক আহত অবস্থায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাহুল ঘোষ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রিন্সকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার কারণে হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গতকাল সকাল ১১টার দিকে নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের মালিবাগ হতে আন্দোলনকারী ছাত্রদের একটি বিশাল মিছিল নড়াইল শহরের দিকে যেতে থাকে। সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে মাঠে নামে অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ওই মিছিলে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব মোর্শেদ জাপল ও আলী হাসান, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভি জর্জ, যুবদল সভাপতি মশিয়ার রহমানসহ অনেকে সাধারণ ছাত্রদের নঙ্গে যোগ দেন ও নেতৃত্ব দেন।
অপরদিকে একই সময়ে নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় হতে তাদের নেতাকর্মীরা ছাত্রদের মিছিল প্রতিহত করতে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন রাসেল সেতু অভিমুখে যেতে থাকে। দু’দিক থেকে মিছিল রাসেল সেতুতে মুখোমুখি হলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ হিমশিম খায়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহরে প্রবেশ করার জন্য রাসেল সেতুতে ওঠা মাত্রই সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ হিমশিম খায়। এমনকি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। উভয় পক্ষ একে অপরের ওপর লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের রাবার বুলেট ও দু’দলের ছোড়া ইট, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ২০০ জন আহত হন।
জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বের হওয়া মিছিলে দেখা যায়নি অনেক সুবিধাভোগী নেতাদের। এ নিয়ে কোনো কোনো নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সহ-সভাপতি ও নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সহ-সভাপতি মো. হাসানুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলম, আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, মলয় কুণ্ডু গোলাম মোর্তজা স্বপন, মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, হবখালি ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, কলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মাহামুদুল হাসান কায়েস, জেলা যুবলীগ সভাপতি গাউছুল আজম মাসুম, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাইম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সিকদার নীল প্রমুখ।