অনলাইন
৪৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাকিস্তান
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ৩ আগস্ট ২০২৪, শনিবার, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:২৪ অপরাহ্ন
পাকিস্তানে চলছে মুষলধারে বৃষ্টি। তার জেরে সৃষ্ট বন্যার কারণে এই সপ্তাহে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বর্ষণে প্লাবিত একাধিক প্রদেশ। কর্তৃপক্ষ বলেছে, লাহোরে ভেঙেছে ৪৪ বছরের বৃষ্টির রেকর্ড। বর্ষা মরশুমের আগমনে গত সপ্তাহে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে, ঘটছে প্রাণহানি। ভারতে এই দুর্যোগে কমপক্ষে ১৯৫ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন নিখোঁজ হয়েছে। বৃষ্টিপাতে সবথেকে বেশি বিধস্ত পাকিস্তানের উত্তরাংশ। যার ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে, ভবন ধসে পড়েছে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। পাঞ্জাবের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মাজহার হুসেন বলেছেন, 'লাহোরে ৪৪ বছরের পুরনো বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভেঙে গেছে।'
১৯৮০ সালের জুলাইয়ে তিন ঘন্টার মধ্যে ৩৩২ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল লাহোরে । সেই রেকর্ড ভেঙে চলতি মাসে শহরটিতে তিন ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৩৬০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
গত তিনদিনে খাইবার পাখতুনখোয়াতে প্রাণ গিয়েছে প্রায় ২৪ জনের। যার মধ্যে ১২টি শিশুও রয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। সেখানে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের সিনিয়র মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব শহরে পানি নিষ্কাশন কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করছেন। এছাড়া দক্ষিণের এলাকাগুলোতে হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণ মানুষের সহায়তার জন্য নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। এছাড়াও পানি ও স্যানিটেশন এজেন্সি (ওয়াসা), লাহোর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এলডিএ), লাহোর ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এবং জেলা প্রশাসন সম্মিলিতভাবে মৌসুমী বৃষ্টি মোকাবেলায় কাজ করছে। জাতিসংঘের মতো বৈশ্বিক সংস্থাগুলি, পাকিস্তানকে চরম আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি হিসাবে উল্লেখ করেছে। এর আগে ২০২২ সালে সর্বনাশা বন্যার কবলে পড়েছিল দেশটি। ১৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল৷ পাঞ্জাবের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বা পিডিএমএ নাগরিকদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে, যেমন অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানো, রেইনকোট এবং ছাতা বহন করা, ধীরে গাড়ি চালানো । বিদ্যুতের তার এবং খুঁটি এড়িয়ে চলার পাশাপাশি নিচু এলাকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে শিশুদের গোসল করতে নিষেধ করা হয়েছে।
সূত্র : ডন