প্রথম পাতা
একটি মহল ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে
স্টাফ রিপোর্টার
৩ আগস্ট ২০২৪, শনিবারকোটার দাবি পূরণের পরেও একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীরা কারও ঢাল হিসেবে ব্যবহার হবে না-এমন আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কোনো অবস্থাতেই সরকারের প্রতিপক্ষ নয়। আদালতে রায়ের পর দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তারপরও একটি মহল সরকার বনাম শিক্ষার্থী গেম খেলে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের আওতা বাড়ানো হয়েছে। ৩ জন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে জাতিসংঘসহ যেকোনো দেশ কিংবা সংস্থা চাইলে যোগ দিতে পারে। সরকার তাকে স্বাগত জানাবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নিহতদের পরিবারের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তাদের অনেকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
আহতদের দেখতে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনে গেছেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের আটক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের অযথা হয়রানি অথবা আটক না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সেজন্য পুনঃসময়সূচি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি যেহেতু পূরণ হয়েছে, সেহেতু বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে, পরীক্ষার হলে ফিরে যাবে। তারা কোনো অশুভ শক্তির ঢাল হিসেবে ব্যবহার হোক এটা জাতি চায় না। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে দেশের জনগণ সাধুবাদ জানালেও অসন্তুষ্ট বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বিবৃতিতে স্পষ্ট বিএনপি’র সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক কতোটা নিবিড়। সে কারণে তারা জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক বলেছেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন। পর্যায়ক্রমে সবার সঙ্গেই মতবিনিময় করবেন তিনি। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রী করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বার্তা ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান কর্মসূচির মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ড. ইউনূসকে সরকার প্রধান করে একটি মন্ত্রিসভা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। বিষয়টি আওয়ামী লীগ কীভাবে দেখছে এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘এটা পাগলের প্রলাপ’।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৯ দফায় ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি জবাব দেননি ওবায়দুল কাদের। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির একটি হলো, ছাত্রহত্যার দায় নিয়ে সেতুমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। এ প্রসঙ্গ টেনে সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি কোটা সংস্কারের। সেটি সরকার মেনে নিয়েছে। এখন তারা ৯ দফা দাবি দিয়েছে। এই ৯ দফার মধ্যে আপনার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগসহ বেশ কয়েকটা দাবি আছে। এ দাবির ব্যাপারে আপনারা কী ভাবছেন? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখুন, আমি একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি আজকেও বলেছি, সরকার অলরেডি বিচার বিভাগীর তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, এতে ৩ জন বিচারপতি...। জাতিসংঘসহ যেসব দেশ এই তদন্তের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করবে, আমরা তাদেরও স্বাগত জানিয়েছি। তদন্ত কাজে তারাও অংশ নিতে পারে। তিনি বলেন, এখন কে অপরাধী, কে অপরাধী নয়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেটিও ওই যে তদন্ত কমিশন, তার কার্যপরিধির আওতার মধ্যে পড়ে। কাজেই এ বিষয়টি সেখানেই থাকবে, সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।
ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক ফের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকার তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করবে কিনা? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি কোটার বিষয়ে আদালতে যাবেন, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, আমি ঠিক জানি না তিনি কি বলেছেন। যদি বলে থাকেন এটা তার ব্যক্তিগত মত, এটা সরকার বা আমাদের দলের কোনো সিদ্ধান্ত না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
মিথ্যাচার বন্ধ করেন। যত বলবেন তত তলিয়ে যাবেন, যাচ্ছেন ও। আমাদের সন্তানদের গুলি করে মেরেছো এই কথাটা বুকে গেঁথে গেছে। এখানে এই দল সেই দল বলে খুনের দায় এড়াতে পারবেন না।
যারা দেশ শাসনের এমন উচু স্থানে আছেন তারা যদি বরাবর নির্জলা মিথ্যা বলে যান - যেমন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে পুলিশ মারেনি, সৈন্যবাহিনী একটা গুলিও ছোঁড়েনি, ছাত্রদের মিছিলে সন্ত্রাসীরা ঢুকে ছাত্রদের উপর গুলি করে মেরেছে, আন্দোলন বিএনপি জামাত হাইজ্যাক করেছে ইত্যাদি নানা ফাউল বক্তব্য কেউ বিশ্বাস করছে না। এরা মিথ্যাবাদী। সত্য বললেও কেউ বিশ্বাস করবে না।
এ সব কল্পিত বয়ান এখন মেয়াদোত্তীর্ন! চলমান ছাত্র আন্দোলনে দিশেহারা না হলে এদের দেশ মেরামতের গৌরবোজ্জল ভূমিকাকে খাটো করার দৃষ্ঠতাপূর্ন বয়ান দিয়ে আর কাজ হবে না।
কা কা কাদের সাহেব,অনেক পুরনো ডায়ালগ, বতুন কিছু বলুন। অতি ব্যবহারের ফলে এই অস্ত্র এখন একেবারেই শ্রুতিকটু লাগছে।
Wow.amra tomader chini,tomraito foot foote shondhr. Tomader vasha amader apamor jonoshadharoner vasha noy.....
বাংলাদেশে ভারতীয় গুলামদের গ্রেফতার করা হোক।
পদত্যাগ করে ফায়দা আপনারাই নেন কাকু। তাহলে অন্যরা সুযোগ পাবে না। দেশে ও শান্তি ফিরে আসবে। সব কিছু বুঝেন এটা বুঝেন না।
পদত্যাগ করে ফায়দা আপনারাই নেন কাকু। তাহলে অন্যরা সুযোগ পাবে না। দেশে ও শান্তি ফিরে আসবে। সব কিছু বুঝেন এটা বুঝেন না।
স্যার দেখি এখনো গোপাল ভাড় এর মতো কথা বলতেছে
সব ঠিক আছে। এতো গুলো জীবনের মূল্য এখানেই শেষ? কি বিচার করছেন আপনারা? যারা ভুক্তভোগী তাদের উপরই দোষ চাপিয়ে,তাঁদেরকেই গ্রেফতার করছেন? এতো গুলো প্রাণ কেড়ে নেয়ার অধিকার কোথায় পেলেন?প্রতিবাদের ভাষা নেই,প্রকাশ করার সাহস নেই। তাই এখন জায়নামাজে বসে আল্লাহ মালিক এর নিকট নালিশ করছি।একদিন অবশ্য ই বিচার হবে এবং ইনশাআল্লাহ বিচার হবেই হবে।
এরকম প্রশ্ন কোন সাংবাদিক তাকে করেছে কবে!!! আমি দেখতে পাচ্ছি, দেশ মাতৃকা এতদিন গুম ছিল, আজ তার অস্তিত্ব জানান দিয়েছে মাত্র। দেশ মাতৃকাকে উদ্ধার করার পর মুক্ত মনে প্রশ্ন করবে প্রত্যেকটা সাংবাদিক, মুক্ত মনে ছাদে দাড়াবে শিশু, মুক্তি পাবে মানুষ।
খেলা হবে বক্তব্য দিতেন, খেলা শুরু খেলেন ।
সুযোগ তৈরি করে দিলে ফায়দা লুটবে না কেন ?