বাংলারজমিন
ওষুধ কিনতে বের হয়ে গুলিতে লুটিয়ে পড়েন সাব্বির
আমিনুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ থেকে
২৯ জুলাই ২০২৪, সোমবারকোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে মারা যান ঝিনাইদহের সাব্বির হোসেন (২৩)। তিনি শৈলকুপা উপজেলার মীর্জাপুর গ্রামের আমোদ আলীর ছেলে। সন্তান হারানোর শোকে মায়ের চোখের নিদ্রা যেন হারিয়ে গেছে। মায়ের কান্না যেন থামছেই না। সারাক্ষণ নিহত ছেলের স্মৃতি নিয়ে আহাজারি করছেন তার মা-বাবা ও পরিবারের লোকজন। সাব্বির পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। গত ১৮ই জুলাই ঢাকার উত্তরায় ওষুধ কিনতে বের হলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরদিন ১৯শে জুলাই সাব্বিরের লাশ সকাল ১০টার দিকে মীর্জাপুর গ্রামে দাফন করা হয়। সাব্বিরের চাচাতো ভাই তরিকুল জানান, উত্তরার ১৩নং সেক্টরে অর্গান লিমিটেড কেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন সাব্বির। ঘটনার সময় তিনি ওষুধ কিনতে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনি আরও জানান, সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ২৩ বছরের যুবক সাব্বিরকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তাদের পরিবার। একমাত্র বোন সুমাইয়া খাতুন জানান, তার ভাই তো কোনো দল করতেন না। তিনি চাকরি করে তাদের সংসার চালাতেন। তাহলে কেন এই নিরীহ ছেলেটিকে মারা হলো? এখন কে তাদের সংসার চালাবেন? কার কাছে বিচার চাইবেন তারা? মা রাশিদা খাতুন জানান, সাব্বিরের বাবা এখন কাজ করতে পারে না। পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে সাব্বির সংসারের হাল ধরেছিলেন। সাব্বিরের মৃত্যুতে গোটা পরিবার এখন অসহায়। তিনি সন্তান হত্যার বিচার চান। পিতা আমোদ আলী বলেন, তার ছেলে কোনো রাজনীতি করতেন না। বাঁচার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন চাকরি করতে। সেখানেও সাব্বির কোনো মিছিল-মিটিংয়ে যায়নি। জ্বর হওয়ায় অসুস্থ শরীরে ওষুধ কিনতে বাইরে যান। তিনি তো আন্দোলনে ছিলেন না। তাকে কেন গুলি করে মারা হলো?