ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

দেশ বিদেশ

নতুন নির্বাচন দাবি ড. ইউনূসের গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ

মানবজমিন ডেস্ক
২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবারmzamin

বাংলাদেশে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে একটি নতুন নির্বাচন দাবি করেছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বলেছেন, গণতন্ত্রে সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে একটি প্রকৃত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা কাউকে হত্যা করতে যাননি। নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। এজন্য তিনি পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে সরকারের এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তিনি বলেছেন, এর অর্থ এই নয় যে, বিদেশিরা অনানুষ্ঠানিকভাবে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সমস্যার সমাধানে সহায়তা করবেন। বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড বন্ধে তিনি বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।  তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে যা ঘটছে এমনও হতে পারে ভারতেও তা ঘটতে পারে। যদি আপনি এখন কথা না বলেন, তাহলে এই দিনকে আপনি ভারত, নেপাল, পাকিস্তান অথবা সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর খুব কাছে নিয়ে যাচ্ছেন।  ভারতের প্রভাবশালী দ্য হিন্দুকে দেয়া দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ড. ইউনূস। বর্তমানে অলিম্পিক গেমসের স্পেশাল গেস্ট হিসেবে তিনি প্যারিসে অবস্থান করছেন। সেখানে সাক্ষাৎকারটি নেন সাংবাদিক সুহাসিনী হায়দার। এখানে তা তুলে ধরা হলো- 

প্রশ্ন: বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনি কি শুনেছেন আমাদেরকে যদি একটু বলেন। আপিলেট কোর্টের নতুন রায়ের পর দৃশ্যত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে...
ড. ইউনূস: বিষয়টি এমন না যে, আমি (অলিমিপকের বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে) আসার পরে ঘটেছে। (ঘটনার সময়) আমি সেখানে ছিলাম। কারফিউয়ের মধ্যে আমি বিমানবন্দরে গিয়েছি। পরিস্থিতিকে সরকার এমনভাবে দেখাচ্ছে যেন বিদেশি কোনো সেনা বাংলাদেশে আগ্রাসন চালিয়েছে। তাই সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীকে বুলেটসহ নামানো হয়েছে বিক্ষোভকারীদের দমিয়ে রাখতে। তারা তাদেরকে (ছাত্র) পরাজিত করার মুডে ছিলেন, তারা শৃঙ্খলা ফেরানোর মুডে ছিলেন না। ফলে যা ঘটেছে, সেটা কি? কেন তারা সবরকম বাহিনীকে নামিয়েছে? সরকার কি একটি বিদেশি শক্তি যে বুলেট দিয়ে স্থানীয়দের দমন করছে? তারা তো আপনার নিজের দেশের নাগরিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তারা তো সমাজের শীর্ষ শতকরা একভাগ। তারা দেশকে পরিচালনা করতে প্রস্তুত। তারা যেন অন্য দেশের শক্তি হিসেবে বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাচ্ছে, তাই তাদেরকে আপনি হত্যা করছেন। দেখামাত্র গুলি করা হচ্ছে। সুতরাং এটাই হলো পরিস্থিতি, যা বাংলাদেশে উদ্ভব হয়েছে। তাই আমি বিশ্বনেতাদের প্রতি অনুরোধ করেছি এটা দেখতে যাতে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা যায়। এ দৃশ্য আমি আর দেখতে পারছিলাম না। বাংলাদেশের মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ সন্ত্রাসের মধ্যে বসবাস করছে., এটা দেখতে পারছিলাম না। গণতন্ত্র সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় জনগণের জীবনে। গণতন্ত্র হলো জনগণকে সুরক্ষা দেয়া। সব মানুষকে- ধর্ম, রাজনৈতিক মতামত অথবা অন্য যেকোনো মতবিরোধ থাকলেও তাদেরকে সুরক্ষা দেয়া হলো গণতন্ত্র। যদি একজন নাগরিক অন্য একজনকে হত্যা করতে যায়, তাহলে যিনি হামলার শিকার হচ্ছেন তাকে সুরক্ষিত রাখা হলো রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্ব। হামলাকারীকে হত্যা করা হলো এক্ষেত্রে শেষ বিকল্প, প্রথম নয়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সেভাবেই সাড়া দিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কাউকে হত্যা করতে যাননি। তাদের দাবি সরকারের জন্য সন্তোষজনক না-ও হতে পারে। কিন্তু তাতেও তাদেরকে হত্যা করার অনুমোদন দেয় না সরকারকে। 
প্রশ্ন: এ ঘটনায় আপনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, জাতিসংঘকে  জড়িত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তারা কি পদক্ষেপ নেবে বলে আপনি মনে করেন? 
ড. ইউনূস: কোনোরকম আনুষ্ঠানিক সাড়া পেতে চাইনি। আমি আশা করেছিলাম, তারা (আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়) তাদের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক এবং চ্যানেল ব্যবহার করে আমাদের নেতাদের বিরত রাখতে পারবেন। গণতন্ত্রের আদর্শ থেকে সরে যাওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের অবহিত করবেন। বন্ধুপ্রতিম অ্যাকশনের দিকে শুধু ফোন হাতে নিয়ে বলতে পারতেন- বাংলাদেশে কি ঘটছে? বন্ধু বন্ধুর জন্য যা করে তা হলো পরিস্থিতিকে ঠাণ্ডা করা, যা জনগণের জীবন রক্ষায় সহায়ক হয়। নেতাদের বন্ধু আছেন। বন্ধু হিসেবে কিছু করা যায়। সংকটের সময়ে যদি আপনি ভালো পরামর্শ না দেন, তাহলে আপনি কেমন বন্ধু। 
প্রশ্ন: ভারত ও বাংলাদেশ ঐতিহাসিক বন্ধু। ভারত এরই মধ্যে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। 
ড. ইউনূস: সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে প্রকাশ্যে আপনি এভাবে বলতে পারেন। কিন্তু আপনার বন্ধুত্বকে প্রাইভেটলি ব্যবহার করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীরা একে-অন্যের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, যদি তারা দেখেন যে, অন্যায় কিছু ঘটছে। এখনো সার্কের স্বপ্ন আছে আমাদের। একে-অন্যকে সহায়তা করতে পারি আমরা। একে-অন্যের বিষয়কে সহজ করতে পারি। আমাদের মধ্যে প্রাকৃতিক বন্ধন আছে। যদি কোনো ঘটনা একটি দেশে ঘটে, তখন তা সহজেই অন্য দেশে দেখা দিতে পারে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী এবং একটি বাহিনী হত্যা করছে নিরপরাধ মানুষকে। এ এক অত্যন্ত ভয়াবহ অবস্থা। ছাত্রদের বিক্ষোভকে মোকাবিলা করতে আপনাকে কেন সেনাবাহিনী নামানোর প্রয়োজন হলো। এখন আপনি বলতে পারেন, কিছু শত্রু ভিতরে ঢুকে পড়েছিল। এই শত্রু কারা? শিক্ষার্থীদের হত্যা না করে  ওইসব শত্রুকে শনাক্ত করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। একটি গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন এমন হওয়া উচিত নয়। 
প্রশ্ন: ১৯৭১ সালকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদীদের কোটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট উদ্বেগ আছে। ভারতের উদ্বেগ হলো, এই প্রেক্ষাপটে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এটা কতটুকু সত্য বলে মনে করেন আপনি?
ড. ইউনূস: এক্ষেত্রে কল্পনা সুদূরপ্রসারী হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোটা আন্দোলন একেবারে হালকা বিষয় নয়। ইস্যু হলো গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, বিচার বিভাগের ভূমিকা। মত প্রকাশের অধিকার থাকে জনগণের। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে হত্যা করার অধিকার নেই সরকারের। 
প্রশ্ন: বিক্ষোভকারীদের যেভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে আপনি তাতে আপত্তি করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বলছে যে, বিক্ষোভকারীরা নিজেরাই সহিংস হয়ে উঠেছিলেন। তারা পুলিশ পোস্টগুলোতে পিকেটিং করছিলেন...
ড. ইউনূস: আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আপনি কি ব্যবস্থা নেবেন তার একটা প্রক্রিয়া আছে। কোথাও বলা নেই যে, আপনি একের পর এক তাদেরকে হত্যা করতে পারেন। বিশ্বে এটাই প্রথমবার নয়, যেখানে একটি সরকার বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করছে। নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হাত উত্তোলিত থাকা অবস্থায় তাদেরকে খুব কাছ থেকে গুলি করতে দেখেছি পুলিশকে। কারণ, এই পুলিশকে গুলি করে হত্যার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমরা এ সবই দেখছি। বিক্ষোভকারীরা যদি আইনভঙ্গ করেন তাহলে এমন পরিস্থিতি  মোকাবিলার জন্য মানসম্পন্ন প্রক্রিয়া আছে। বাংলাদেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র চর্চার মধ্যে কিছু ভয়াবহ ভুল আছে। আমাদের মুখ ফিরিয়ে নেয়া ঠিক হবে না। আমরা সার্কের সদস্য। আমরা প্রতিবেশী। কী ঘটছে তা দেখতে সব মিডিয়ার আসা উচিত ও দেখা উচিত। সবার আগে তারা (বাংলাদেশ সরকার) যেটা করেছে তা হলো সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে অন্ধকারে তারা সবকিছু ধামাচাপা দিতে পারে। দেশের বাইরে থেকে এমন কি দেশের ভিতর থেকে কেউ যেন কিছু  দেখতে না পায়। কেন তারা নিজেদের জনগণ থেকে এত ভীত?
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলোর একটি তালিকা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, তাদেরকে রাজাকার বলার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে, তার মন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে হবে। 
ড. ইউনূস: এসব হলো শিক্ষার্থীদের দাবি। এসব বিষয়ে সরকার সাড়া দিয়েছে। এটা সেভাবে হয়নি। 
প্রশ্ন: এ বছর জানুয়ারিতে নির্বাচনে জয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনই পদত্যাগের আহ্বান জানানো অগণতান্ত্রিক নয় কি? 
ড. ইউনূস: গণতন্ত্রের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবন্ধ এবং গণতন্ত্র নিয়েই থাকতে চাই। আপনি ফ্রেশ নির্বাচিত হোন বা না হোন, অথবা জনগণের মতামতের তোয়াক্কা না করে আপনার পদের লঙ্ঘন করছেন, গণতন্ত্রে এটা কোনো বিষয় নয় যে- আপনি জনগণকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদেরকে হত্যার নয়। বিরোধী দলের কিছু মানুষকে তুলে নিয়ে যেতে পারেন না, যাতে তাকে গ্রেপ্তার করা যায়। একটি কল্পিত ক্রাইমে তাকে অভিযুক্ত করতে পারে সরকার, গ্রেপ্তার করতে পারে। তাকে জেল দেয়া হতে পারে। এটা আইনের শাসন নয়। গণতান্ত্রিক আদর্শে কোনো প্রক্রিয়া চালানোর কিছু নিয়ম আছে। 
প্রশ্ন: এর বাইরে এসব বিক্ষোভের ভবিষ্যৎ কি? 
ড. ইউনূস: যদি গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়, তাহলে আপনি আবার জনগণের কাছে তাদের ম্যান্ডেট নিতে যেতে পারেন। সেটা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য। কিন্তু এই মুহূর্তে সরকারের এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। 
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন সরকারের পদত্যাগ করা উচিত?
ড. ইউনূস: গণতান্ত্রিক কাঠামোর অধীনে এমন পরিস্থিতির উদয় হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়। সব সমস্যার সমাধান আছে গণতন্ত্রে। এ বিষয়ে আপনাকে নতুন করে রায় দেয়ার জন্য আমার কাছে কিছু নেই। 
প্রশ্ন: পরিস্থিতির উন্নতি করার জন্য আপনি কি কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন? 
ড. ইউনূস: আমি এখন সেই ভূমিকাই রাখছি। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করছি। 
প্রশ্ন: আপনার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ অভিযোগ আছে সরকারের। শ্রম আইন ইস্যুতে আপনাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আরও নতুন দু’টি মামলা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াইটা কি (আপনার) ব্যক্তিগত? 
ড. ইউনূস: এই মামলাগুলোও আইনের শাসনের ব্যর্থতা। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো আত্মসাৎ, জালিয়াতি এবং অর্থ পাচার সম্পর্কিত। এর অর্থ হলো- আমার নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে আমি অর্থ চুরি করেছি। এসব সরকারের অভিযোগ। এ সবই বানোয়াট কাহিনী, সবই বানানো। অনেক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন বলেছে, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এসব মামলা করা হয়েছে আমাকে হয়রান করার জন্য। শ্রম অধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত মামলায় এরই মধ্যে আমাকে ৬ মাসের জেল দেয়া হয়েছে। এটিও একটি বানোয়াট মামলা। 
প্রশ্ন: আপনি বলছেন গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। কি এমন আছে আপনি মনে করেন যে, তা এই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে, গণতন্ত্রে আনতে পারে? 
ড. ইউনূস: জনগণের ম্যান্ডেট নিন, অবাধে এবং সুষ্ঠুভাবে। এটাই। জনগণের নির্দেশনায় গণতন্ত্রের সমস্যার প্রতিকার সম্ভব। কারণ, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ, সরকারে থাকা কিছু মানুষের জন্য নয়। 
প্রশ্ন: আপনি কি আরেকটি নির্বাচনের কথা বলছেন?
ড. ইউনূস: অবশ্যই, সব রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হলো নির্বাচন। যখন কোনো বিষয় কাজ করে না, তখন আপনাকে জনগণের কাছে যেতে হয় তাদের নির্দেশনা পেতে। আদতে তারাই দেশের মালিক। নিশ্চিত করতে হবে যে, সেই নির্বাচন একজন জাদুকরের নির্বাচন না হয়ে হবে একটি খাঁটি নির্বাচন। 
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে এবং বিক্ষোভ আবার ফিরতে পারে। আপিল আদালত তো কোটা কমিয়ে এনেছেন? 
ড. ইউনূস: সরকার দাবি করছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, মৌলিক রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। অস্থায়ী ভিত্তিতে হয়তো  থেমে আছে। কিন্তু রাজনৈতিক ইঞ্জিন দৌড়াতেই থাকবে। তা মুহূর্তের নোটিশে নতুন করে শুরু হয়ে যেতে পারে। আজ বাংলাদেশে যা ঘটছে এমনও হতে পারে ভারতেও তা ঘটতে পারে। যদি আপনি এখন কথা না বলেন, তাহলে এই দিনকে আপনি ভারত, নেপাল, পাকিস্তান অথবা সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর খুব কাছে নিয়ে যাচ্ছেন।

 

 

পাঠকের মতামত

সশ্রদ্ধ সালাম আপনার প্রতি। selim

SELIM MIAH
২৮ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ২:৩৬ অপরাহ্ন

সশ্রদ্ধ সালাম আপনার প্রতি।

SELIM MIAH
২৮ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ২:৩৪ অপরাহ্ন

Salute...

Abul Hayat
২৮ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ১:৩১ অপরাহ্ন

100% right

Shams
২৮ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

100% রাইট

ফারিয়া সুলতানা
২৮ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন

The true 'Hero' of our time

Faheem
২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ৩:৪১ অপরাহ্ন

এই জন্যই আপনি নোবেলজয়ী। সশ্রদ্ধ সালাম আপনার প্রতি।100% right

Fastboy
২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ২:৪৩ অপরাহ্ন

এই জন্যই আপনি নোবেলজয়ী। সশ্রদ্ধ সালাম আপনার প্রতি।

AMRAN KAMAL
২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ১:০৮ অপরাহ্ন

ড,ইউনুস আপনি কয়েক মাস আগে বলেছিলেন বাংলাদেশের ১/১১ সময় সেনাবাহিনী আপনাকে ঐ সময়ে দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন কিন্তু আপনি তাদের প্রস্তাব ফিরে দিয়েছেন। আমার মনে হয় ঐ সময়ে আপনি যদি দেশের অবিভাবকের দায়িত্ব নিতেন তাহলে যারা আজ গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের জন্য লড়ছেন তারা লাশ হয়ে পরিবারের কাছে ফেরত আসতো না।

Shahid Uddin
২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ১২:১০ অপরাহ্ন

100% right

Khan
২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন

ধন্যবাদ পত্রিকাকে বিস্তারিত জানানোর জন্য। পাঠক বৃন্দ নিশ্চয়ই নিজেদের মতো করেই বুঝবে।

A R Sarker
২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ৭:২৭ পূর্বাহ্ন

এই জন্যই আপনি নোবেলজয়ী। সশ্রদ্ধ সালাম আপনার প্রতি।

হাসান
২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ৪:২৪ পূর্বাহ্ন

পিটার হাস, ডঃ ইউনুস ও তাদের সহযোগী রাজনৈতিক দলের খেলা যে কোটা আন্দোলন। সেটা ওনি বুঝিয়ে দিলেন। এর ই নাম আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিদ। জানি মানবজমিন এটা প্রকাশ করবে না।

Rafiqul
২৭ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ১:৫১ পূর্বাহ্ন

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

মৌলভীবাজারে জাতীয় পার্টির সম্মেলন সম্পন্ন / ‘আমরা আওয়ামী লীগে নেই, বিএনপিতেও নেই

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status