অনলাইন
কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ
রাজধানীতে বেওয়ারিশ হিসেবে ২১ লাশ দাফন
অনলাইন ডেস্ক
(১০ মাস আগে) ২৫ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৩২ অপরাহ্ন

ফাইল ফটো
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত এক শিশুসহ ২১ জনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। রাজধানীর তিনটি সরকারি হাসপাতালের মর্গ থেকে গত তিন দিনে এই ২১ জনের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দিয়েছে পুলিশ।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন সেবাকর্মকর্তা কামরুল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লাশগুলো পাওয়ার পর সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্থান মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় দাফনের ব্যবস্থা করে সংস্থাটি।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম সূত্র জানায়, গত সোমবার সংঘর্ষে নিহত এক শিশুসহ নয়জনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে তাদের দেওয়া হয়। পরদিন মঙ্গলবার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) থেকে একটি লাশ পায় তারা। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে নয়টি লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
এরপর ওই ২১ জনের লাশ মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় দাফন করা হয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে লাশ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সোমবার ছয়জনের লাশ মর্গে আনা হয়। তাদের কারও শরীরে গুলি, আবার কারও শরীরে ছিল মারাত্মক জখমের চিহ্ন ।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের দাফন সেবাকর্মকর্তা কামরুল আহমেদ বলেন, ‘তিন দিনে পুলিশের কাছ থেকে বেওয়ারিশ হিসেবে ২১ জনের লাশ পেয়েছি।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি তিনি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছেন। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
পাঠকের মতামত
এই ডিজিটাল যুগে বেওয়ারিশ লাশ কোথা থেকে আসল।
মাত্র ৩ হাসপাতালে ৮১ বেওয়ারিশ লাশ!! বাকি হাসপাতাল গুলোতে যে লাশগুলো ছিল তার হিসেব কোন মিডিয়া দিবে? কুর্মিটোলা হাসপাতাল কুয়েতমৌত্রী হাসপাতাল মুগদা হাসপাতাল রামপুরার হাসপাতাল গুলো উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল বাংলাদেশ মেডিকেল আধুনিক হাসপাতাল টংঙ্গী আহসানুল্লাহ মাস্টার হাসপাতাল এগুলোর হিসেব দয়া করে একটু জানান।
আল্লাহ সবকিছু অবোলকন করেছেন,এই বেওয়ারিশরাই হাশরের ময়দানে সঠিক বিচার পাবে।জালেম তুমি জাহান্নমের জন্য তৈরী থাকো।
এই শহীদের কবরকে কোটা আন্দোলনে শহীদ হিসাবে চিহ্নিত করে রাখতে হবে।
তারা যদি এমপি আনারের মত দুর্নীতিবাজ মাদক পাচারকারী হত তাহলে বেওয়ারিশ লাশ হতনা। দেশের জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আন্দোলন করে তারা সহিদ হয়েছে অথচ তারা আজ বেওয়ারিশ লাশ। বাহ বাংলাদেশ সরকার বাহ।
প্রত্যেক নাগরিকের জন্ম নিবন্ধন এবং এনআইডি আছে। তাদের আঙ্গুলের ছাপ নিলে অনেকের পরিচয় শনাক্ত হতো। তাছাড়া তাদের ডিএনএ টেস্ট করার ব্যবস্থা করা যেতো। কোন মানুষই বেওয়ারিশ নয়। তারা কোন না কোন মা বাবার সন্তান। কারো ভাই। কারো আত্মীয়। খুবই দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক বিষয়। এতগুলো লাশ কীভাবে বেওয়ারিশ হয়!
ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে যেখানে সহজেই লাশের পরিচয় বের করা সম্ভব, সেখানে বেওয়ারিশ বলে কেন লাশগুলো দাফন করা হচ্ছে? হায় আল্লাহ! এর জবাব কার কাছে চাইবো?
দেশে এত ডিজিটাল তাদের আঙ্গুলের চাপ নিলেই তো বুঝা যায় তারা কে।
এই লাশগুলি কিছুতেই বেওয়ারিশ হতে পারেনা নিশ্চয় দেশের কারো না কারো ঘরের সন্তান এরা , হে আল্লাহ তুমি রহম করো।
লাসগুলো বেওয়ারিশ কেনো, কোন মায়ের সন্তান, কোন সন্তানের বাবাগুরোকে এই ভাবে বেওয়ারিশ করে দাফন করে ফেলতেছেন, তাদের বুক ফাটা র্আতনাদ কে দেখবে সরকার মহাদয়ের কি তাদের জন্য কোন দয়া হবে না....?
এই লাশগুলোই একদিন কথা বলবে““ইনশাআল্লাহ