বিনোদন
গুলি কেন করতে হলো, চঞ্চল চৌধুরীর প্রশ্ন
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ মাস আগে) ১৮ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৪৩ অপরাহ্ন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে কয়েক দিন ধরে উত্তপ্ত সারা দেশ। যা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের একের পর এক সংঘর্ষও হচ্ছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে শোবিজ অঙ্গনের তারাকারাও বিস্মিত। তারাও এর দ্রুত সমাধান চান। সেই তালিকায় রয়েছেন গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে তিনি জানান, পেশাগত কাজে প্রায় বিশ দিন আমেরিকা থাকার পর মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় ফিরেছেন। সেখানে বসে এই কদিন বাংলাদেশের নিউজগুলো দেখে হতবাক এবং শোকাহত তিনি। অভিনেতা পোস্টে বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেন, সমাধানের অন্য কোনো পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না? যা ঘটে গেল এটা যেমন মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতা বহির্ভূত। জাতির কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি লিখেন, আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝি না! শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি, তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝরে গেল, তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হলো, তার আর্তনাদ কি কোনো জনমে শেষ হবে? হায়রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক! তার এই পোস্টে সমর্থন জানিয়ে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করছেন।
পাঠকের মতামত
চঞ্চল চৌধুরীর কথায় কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। উনি যে কোন পক্ষের লোক আমরা তা ভালো করেই জানি।
সবাই সংযত আচরণ করলে তো কোন সমস্যাই সৃষ্টি হয় না। যাঁর সমাধান কোর্ট দিতে পার তো তার জন্য আমরা নামি লাঠি হাতে রাস্তায়। এই জন্যই আমাদেরকে বলা হত হুজ্জতে বাঙাল। কোটা বাতিল নয় সংস্কার আমিও চাই কিন্তু হাজারো মানুষেকে কষ্ট দিয়ে দেশের সম্পদ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে? এটা চাওয়ার নমুনা নয়।
সবাই সংযত আচরণ করলে তো কোন সমস্যাই সৃষ্টি হয় না। যাঁর সমাধান কোর্ট দিতে পার তো তার জন্য আমরা নামি লাঠি হাতে রাস্তায়। এই জন্যই আমাদেরকে বলা হত হুজ্জতে বাঙাল। কোটা বাতিল নয় সংস্কার আমিও চাই কিন্তু হাজারো মানুষেকে কষ্ট দিয়ে দেশের সম্পদ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে? এটা চাওয়ার নমুনা নয়।
Jiner Shur palte jachche aste aste
গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর সাথে একমত যে কোটা সংস্কার আন্দোলন সংঘর্ষ বা রক্তপাত ছাড়া সমাধান করা উচিত ছিল।
আমিও চঞ্চল চৌধুরীর সাথে একমত, স্বাধীন দেশের পুলিশের গুলিতে কেন শিক্ষার্থীর জীবন যাবে? সবাইকে সংযম সাধনের মাধ্যমে সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়াটা কাম্য ছিল।