প্রথম পাতা
দাবি আদায় হয়নি, শিক্ষকদের আন্দোলন চলবে
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৫ জুলাই ২০২৪, সোমবার
ঘোষিত তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এর ফলে ১লা জুলাই থেকে শুরু হওয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত থাকছে।
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে চলমান কর্মবিরতির ১৩ দিনের মাথায় গত শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক হয় শিক্ষক নেতাদের। সে আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন শিক্ষক নেতারা। এ বিষয়ে গতকাল অনলাইনে (জুমে) ফেডারেশনের বৈঠক ডাকা হয়। সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক হয়েছে আপনারা জানেন। আলোচনা শুরু হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি। তবে আমাদের দাবিগুলো এখনো মানা হয়নি। আমরা রোববার শিক্ষকদের সঙ্গে শনিবারের বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। এরপর সবার সঙ্গে আলোচনা করেই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
তবে সরকার দ্রুত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিবেন বলেও তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অন্যান্য দিনের মতো গতকালও বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নিয়েছিলেন শিক্ষকরা।
শনিবার শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সবাই যুক্ত হবেন ২০২৫ সালের ১লা জুলাই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ সালের ১লা জুলাই থেকে পেনশনে যোগদানের বিষয়ে তথ্য ছিল, সেটা সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠক শেষে যেখানে ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সবাই যুক্ত হবেন ২০২৫ সালের ১লা জুলাই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ সালের ১লা জুলাই থেকে পেনশনে যোগদানের বিষয়ে তথ্য ছিল, সেটা সঠিক নয়। তাদের তিনটা দাবির মধ্যে এটাও একটা দাবি। সবার মতো তারাও ২০২৫ সালের ১লা জুলাইয়ে যোগ দেবেন, এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত
আপনাদের সুবিধা দিয়ে লাভ কি? যাদের সুবিধা দিলে ক্ষমতায় থাকা যাবে তাঁদের দেয়াই স্বাভাবিক। আচ্ছা দাদাদের সাথে রেল ট্রানসিট চুক্তির কি অবস্থা?