বাংলারজমিন
হাটহাজারীতে উদ্বোধনের তিন মাস পরও শুরু হয়নি সড়ক উন্নয়নের কাজ
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১৪ জুলাই ২০২৪, রবিবার
হাটহাজারীতে সড়ক উদ্বোধনের তিন মাস পার হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি সড়ক উন্নয়নের কাজ। এত ব্যস্ততম একটি গ্রামীণ সড়কে ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা, সিএনজি, ট্রাক, কারসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চলাচল করে এবং হেঁটে চলতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের। প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। সড়কের কার্পেটিং উঠে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এসব খানাখন্দে আটকে পড়ছে যানবাহন। কিছু কিছু স্থানে ইটের খোয়া দিয়ে জোড়াতালি দেয়া হলেও যান চলাচলে তা উপযোগী নয়। এই রাস্তায় নিয়মিত সিএনজিচালক আবুল কালাম বলেন, শুনেছি কিছুদিন আগে এই রাস্তার নাকি বাজেট হয়েছে। দেখলাম এমপি সাহেব উদ্বোধনও করেছেন। কিন্তু এই রাস্তা উন্নয়নে আলোর মুখ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর বলেছেন, সড়ক উন্নয়নে প্রকল্প বরাদ্দ হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে এই দুরবস্থা।
জানা যায়, হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ফতেয়াবাদ থেকে রামদাসহাট ও মদুনাঘাট পর্যন্ত ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) হতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। গত ২৫শে এপ্রিল বিরোধীদলীয় উপনেতা ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন। ১১ কোটি ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সে হিসাবে অবশিষ্ট রয়েছে ১৫ মাস। প্রকল্পটি উদ্বোধনের তিন মাস পার হলেও এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘দ্য কন্টাক্ট ট্রেড’। ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী এডভোকেট আলাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এনিয়ে হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, কাজ বুঝে পাওয়ার ৩ মাস পার হলেও ঠিকাদার এখনো পর্যন্ত কাজ শুরু করেনি। এই প্রকল্পের মেয়াদ যেহেতু এখনো রয়েছে তাই কিছু বলা যাচ্ছে না। ঠিকাদার একটু খামখেয়ালি টাইপের ব্যক্তি।
হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ইউনুস গণি চৌধুরী বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর সকল ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা যে টেন্ডার প্রকল্পের কাজ পেয়েছে অতিদ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাগাদা দিয়েছি। ফতেয়াবাদ থেকে রামদাসহাট ও মদুনাঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী এডভোকেট আলাউদ্দিনের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। উনি অসুস্থ। এই মাস সময় নিয়েছেন। অন্যথায় আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।