বাংলারজমিন
কিশোরীকে ধর্ষণ: কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
১১ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবার
হালুয়াঘাটের আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেনকে (৩৫) ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তনয় সাহা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেনকে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ আদালতে পাঠায়। পরে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইদিন ভুক্তভোগী কিশোরীর (গৃহকর্মী) মা বাদী হয়ে ইসমাইলকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে হালুয়াঘাট থানায় আসেন ইসমাইল হোসেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে পুলিশ।
আলোচিত ইসমাইল হোসেন হালুয়াঘাট উপজেলার কালিয়ানীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ আলীর ছেলে। তার স্ত্রীসহ দুই সন্তান রয়েছে। মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানায়, ইসমাইল হোসেন এবং ওই কিশোরী পাশাপাশি গ্রামে বসবাস করেন। ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। কিশোরী নিজ বাড়িতে কাজ করতো। ওই বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন ইসমাইল হোসেন। কিশোরীর মা বাড়িতে না থাকার সুবাদে বিয়ের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ে বাসার কাজ করানোর জন্য মাসিক বেতনে তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান ইসমাইল হোসেন। সেখানে বিয়ের প্রলোভনে ৫-৬ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছেন ইসমাইল। সম্প্রতি ওই কিশোরী বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। এতে ইসমাইল ক্ষিপ্ত হয়ে খুন করার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে কিশোরীর মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আবার তাকে ধর্ষণ করেন ইসমাইল। পরে বিয়ের কথা বললে তিনি রাজি হননি। এ ঘটনায় কিশোরীর মা থানায় মামলা করেন।
পাঠকের মতামত
বিশ্বাস যোগ্য খবর না, দুই সন্তানের বাবা আবার বিয়ে করবে কেনো..? হালচাল, মামলার মটিভেটি সবকিছুতে সমস্যা। যদিও আমি জানিনা, মেয়েটির সাথে শরিরিক সর্ম্পক হলেও..? স্পষ্টত ইসমাইল থেকে টাকা হাতানোর ধান্দা! নারীদের উপর সম্মান রেখে বলছি, এইদেশে নারীরা অনেক সহিংসতার স্বীকার হয় সেটিও ঠিক কিন্তু কিছু অসভ্য আইনের ফাক দিয়ে নারী র্নিযাতন আইনকে, পুরুষ র্নিযাতন আইনে পরিনত করেছে।
বিশ্বাস হচ্ছে না,, তবে সঠিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত হোক।
সঠিক তদন্ত দাবি করছি!
ইসমাঈলে মতো সচেতন লোক এই কাজ করেছে কিনা সন্দেহ আছে। ঘটনা অন্য কিছু হতে পারে।