ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯ শাবান ১৪৪৬ হিঃ

শেষের পাতা

প্রিয়াংকার প্রচারণায় প্রস্তুত মমতা

মানবজমিন ডেস্ক
২৩ জুন ২০২৪, রবিবারmzamin

‘এ সময়ের ইন্দিরা গান্ধী’খ্যাত প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র কয়েক দশকের স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছেন। ভাই রাহুল গান্ধীর ছেড়ে দেয়া লোকসভার ওয়েনাডে আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। তার এই নির্বাচনী প্রচারণায় সঙ্গী হবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন। এতে আগের দুই দফার চেয়ে বিরোধীদের বেশি চাপের মুখে পড়বেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাকে এবং তার জোট সরকারকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণের সব কৌশল আঁটছে বিরোধী দলগুলো। এরই মধ্যে তারা বিগত পার্লামেন্টে পাস হওয়া তিনটি আইন নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে। দলীয় সূত্রগুলো বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে বারাণসি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রিয়াংকাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আহ্বান জানিয়েছিলেন মমতা। নির্বাচন-পূর্ব সব বিরোধিতা ঝেড়ে ফেলে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী অবস্থানে বলে কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে যে, এবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্রের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসব তথ্য দিয়েছেন দলীয় বিভিন্ন সূত্র। অনলাইন এনডিটিভি’র খবরে আরও বলা হয়, মিস প্রিয়াংকা গান্ধীর প্রচারণার জন্য মমতা শুধু যে নিজেই ইচ্ছুক এমন নয়। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রগুলো বলেছেন, গত ডিসেম্বরে ইন্ডিয়া জোটের এক মিটিংয়ে বারাণসিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আহ্বান জানিয়েছিলেন মমতা। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে কংগ্রেসের মধ্যেও এই ধারণা ছিল। খবরে বলা হয়েছে, ওয়েনাডেতে উপনির্বাচন যখন হবে তখন সেখান থেকে লড়াই করবেন প্রিয়াংকা। দ্বিতীয়বারের জন্য এই আসনে ৩.৬ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তার ভাই রাহুল গান্ধী। তিনি উত্তর প্রদেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ রায়বেরেলি আসন রেখে ওয়েনাডে আসন ছেড়ে দেবেন। এই আসনে উপনির্বাচন হবে তখন। লোকসভার বহরমপুর আসনে মমতার কঠোর সমালোচক ও টানা ৫ বার বিজয়ী অধীর রঞ্জন চৌধুরী  এবার পরাজিত হওয়ার পর কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বন্ধন, সম্প্রীতি বৃদ্ধি পেয়েছে।  

সোমবার শুরু হচ্ছে পার্লামেন্টের অধিবেশন। এই পার্লামেন্টে ২০১৪ সালের পর প্রথমবার শক্তিশালী একটি বিরোধী দল থাকবে। সূত্র বলেছেন, এতে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যদের সঙ্গে আরও উন্নত সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে এর লক্ষণ দেখা গেছে। নতুন তিনটি ক্রিমিনাল আইন- ভারতীয় নয়া সংহতি, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়াম- বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে বিরোধিতা করা শুরু করেছে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং ডিএমকে। ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের পরিবর্তে যথাক্রমে এই তিনটি আইন ব্যবহৃত হওয়ার কথা। বিরোধীদের দাবি, গত বছর পার্লামেন্টে বর্ষা মৌসুমের অধিবেশনে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই এই আইনগুলো পাস হয়েছে। ওই পার্লামেন্টের ১৪০ জন এমপি তখন সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। ফলে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে একটি চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে তিনি এই আইনগুলোর নতুন করে পর্যালোচনা দাবি করেছেন পার্লামেন্টে। চিঠিতে মমতা লিখেছেন, আপনার বিদায়ী সরকার একতরফাভাবে এবং একেবারেই কোনো বিতর্ক ছাড়া এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করেছে। ওই সময় লোকসভার কমপক্ষে ১০০ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। পার্লামেন্টের মোট ১৪৬ জন সদস্যকে পার্লামেন্টের বাইরে রাখা হয়েছিল। মমতা আরও লিখেছেন, কর্তৃত্ববাদী উপায়ে এই তিনটি বিল পাস করা হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো সময়। এই আইন বাস্তবায়নের বিরোধিতা করে সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন চণ্ডিগড়ের এমপি ও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা মানিষ তিওয়ারি। তিনি এক্সে দেয়া পোস্টে লিখেছেন, ২০২৪ সালের ১লা জুলাই থেকে নতুন ক্রিমিনাল আইনগুলো কার্যকর হচ্ছে। এর ফলে ভারতকে একটি পুলিশি রাষ্ট্র বানানোর ভিত্তি রচনা করা হয়েছে। এই আইন বাস্তবায়ন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং পার্লামেন্টে তা নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে। 
 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status