বিশ্বজমিন
কলকাতায় ঢাবি ছাত্র নিখোঁজ
মানবজমিন ডেস্ক
(৬ মাস আগে) ২১ জুন ২০২৪, শুক্রবার, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন (২৩) বুধবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি। গত বছর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন দেলওয়ার। চিকিৎসার জন্য নিখোঁজের দু’দিন আগে তিনি কলকাতা গেছেন। কিন্তু বুধবার রাত থেকে পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে তিনি নিখোঁজ। তার পিতা আবদুল করিম বলেছেন, সে খুব কমই কথা বলতে পারে। বেশি পথ হাঁটতে পারে না শারীরিক অবস্থার কারণে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টেলিগ্রাফ। পুলিশ বলেছে, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং সড়কের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে দেলওয়ার পার্ক স্ট্রিটের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। তার পিতামাতা বলেছেন, প্রথমে তার জন্ডিস হয়েছিল। তারপর স্ট্রোক করে। পার্ক স্ট্রিট পুলিশ স্টেশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ১৮ই জুন তার পরিবার কলকাতা গিয়েছেন। মির্জা গালিব স্ট্রিটে একটি হোটেলে ওঠেন তারা। বুধবার রাতে দেলওয়ার নীরবে বাইরে বেরিয়ে যান। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তিনি স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২৭ মিনিটের দিকে বাইরে বের হন। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারেন তার মা। দেলওয়ারের পিতা আবদুল করিম পাবনা জেলা সিভিল কোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি বলেছেন, পরের রাত পুরোটা সময় ছেলের খোঁজে বাইরে কাটিয়েছেন তিনি। ঘুমিয়েছেন রাস্তায়। তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো স্ট্রোক করার পর সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। ঠিক মতো কথাও বলতে পারে না। পার্ক স্ট্রিট পুলিশ স্টেশনে একটি নিখোঁজ ডায়রি করেছে তার পরিবার। থানার সিনিয়র কর্মকর্তারা বলেছেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বেসরকারি হাসপাতালের সেবার মান খুবই নিম্ন মানের যদি হাসপাতালের কোন ডাক্তার রোগীর পরিচিত না হন। তদুপরি খরচ ভারতের চাইতেও বেশি । আমি আমার কিছু বন্ধুর ভারতে চিকিৎসার খরচ ও ঐ খানে সেবকদের আচরন অবগত হয়েছি আলাপ করে । বাংলাদেশের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের জ্ঞান সম্পর্কে আমার কোন অভিযোগ নাই। উন্নত জ্ঞানের অধিকারী। কিন্ত সমস্যা হল নার্সদের নিয়ে । তাদের মধ্যে সেবার মানসিকতার চেয়ে গরিমা বেশি । মালিকদের অতি মুনাফার মানসিকতার কারণে চিকিৎসার খরচ বেশি বাংলাদেশে। তাই আমার অনুরোধ মালিকদের কাছে মুনাফার হার কমিয়ে দেশে আপনাদের ক্লিনিক বা হাসপাতাল গুলির সমাদর বৃদ্ধি করুন। দেশের মানুষকে বিদেশ মুখী হওয়া বন্ধ করুন। স্বল্প মুনাফায় বেশি রোগীর চিকিৎসা দিলে আপনাদের মোট লাভের পরিমাণ ঠিকই থাকবে । ডাক্তার সাহেবদের কাছে অনুরোধ সঠিক ঔষধ টি ব্যবস্থাপত্রে লিখুন। মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ লিখে রোগীর খরচ বাড়াবেন না । দেশের জনগণের প্রতি সদয় হোন ।
স্বাস্থ্য সেবার উদ্দেশ্যে অতি সাধারন জনগনের বিদেশ যাওয়া দেশের স্বাস্থ্য সেবা ও স্থানিয় চিকিৎসকদের অক্ষমতকে প্রকট ভাবে উপস্থাপন করে। পেটুয়া বাহিনী পুষতেই বাজেটের বরাদ্ধ সাবাড়। সরকারি হাসপাতালগুলি সিন্ডিকেটে জিম্মি - বেসরকারিগলো যেন ৫ তারা বা ৩ তার হোটেলের মাসতুত ভাই। সেবা যৎসামান্য হলেও চিকিৎসকগন ঔষধ কোম্পানীর বিপণণ কর্মকর্তা হয়ে একাধিক চেম্বারে ঔষধের ফিরিস্তি লিখে কামাই করছেন। ফলে অজানা গন্তব্য - তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের মক্কেল হয়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্র।