অনলাইন
সবার সামনে অধ্যক্ষকে ‘পেটালেন’ সংসদ সদস্য
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৩ জুলাই ২০২২, বুধবার, ৭:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
এক কলেজ অধ্যক্ষকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সরকার দলীয় সংসদ-সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। প্রায় ১৫ মিনিট সময় ধরে সবার সামনে অধ্যক্ষকে পেটানো হয় বলে জানা যায়। তবে ওমর ফারুক চৌধুরী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আহত সেলিম রেজা গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ। ফারুক চৌধুরীর বেপরোয়া লাথি, কিল-ঘুষি ও হকিস্টিকের আঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিরা জমেছে।
জানা যায়, গত ৭ই জুলাই রাতে নগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর মালিকানাধীন ওমর থিম প্লাজার চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন কলেজের আরও সাতজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ১৫ মিনিট সময় ধরে সবার সামনে অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে বেপরোয়াভাবে পিটিয়ে জখম করলেও কেউ তাকে বাধা দিতে সাহস পায়নি।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোদাগাড়ীর মাটিকাটা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুল আউয়াল রাজু ফোন করে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের ৭ই জুলাই রাত ৯টায় থিম ওমর প্লাজায় এমপির চেম্বারে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেন। তার ফোন পেয়ে রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাসহ আটজন অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ ফারুকের চেম্বারে হাজির হন। ফারুক প্রথমেই অধ্যক্ষ সেলিম রেজার কাছে জানতে চান তার কলেজের কতিপয় শিক্ষক একজন অধ্যক্ষ ও দলীয় নেতার স্ত্রীকে নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলেছেন। প্রিন্সিপাল হিসাবে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন।
জবাবে অধ্যক্ষ সেলিম বলেন, যদি আপনার কাছে প্রমাণ থাকে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না।
এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ সেলিম প্রায় অচেতন হয়ে পড়লে চেম্বারে আগে থেকে রাখা হকি স্টিক বের করে বেশ কয়েকটি আঘাত করেন সেলিমের বাম হাত, কোমর ও শরীরের নিম্নাঙ্গে। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষদের একজন সেলিমকে এমপির কব্জা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চেম্বার থেকে বের করে আনেন।
অধ্যক্ষ সেলিম রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে তিনি বাড়িতেই থাকছেন। এরপর তিনি হোয়াটসঅ্যাপে সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী কলেজ অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে আমার চেম্বারে তারা অনেকেই এসেছিল। নিজেরা মারামারি শুরু করলে আমি গিয়ে তাদেরকে থামাই। অধ্যক্ষ সেলিম রেজার শরীরে মারধরের চিহ্ন কীভাবে হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জানি না।