অনলাইন
জিডিপি বাড়েনি, পরিবর্তে গাধা বেড়েছে পাকিস্তানে
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ বছর আগে) ১৩ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫০ অপরাহ্ন

পাকিস্তান অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। ২০২৩-২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশ করেছেন সেই দেশের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ ঔরঙ্গজেব। এই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের শিল্প এবং পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত মাত্রায় বৃদ্ধি হয়নি বলেই জিডিপির লক্ষ্যপূরণ হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে গাধার সংখ্যা। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দেশটিতে গাধার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখে। জরিপটি গত পাঁচ বছরে গাধার সংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধির একটি বিশদ তথ্য প্রদান করে। জরিপে বলা হয়েছে, খুব দ্রুততার সঙ্গে পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে গাধার সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৫ লাখ। এরপর ২০২০-২১ সালে ৫৬ লাখে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫৭ লাখ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে গিয়ে তা ৫৮ লাখে দাঁড়িয়েছে। এরপর সবশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে ৫৯ লাখে গিয়ে ঠেকেছে। গত এক বছরে দেশটিতে প্রায় এক লাখ গাধা বেড়েছে। অনেকে অবাক হতে পারেন, কেন হঠাৎ অর্থনৈতিক সমীক্ষায় গাধার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে গর্ব করছে পাকিস্তান। আসলে, বহু পাকিস্তানিদের জন্যই গাধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গাধা। ৮০ লক্ষেরও বেশি গ্রামীণ পরিবার পশু পালনের সঙ্গে যুক্ত। পশুসম্পদই পাকিস্তানের গ্রামীণ অর্থনীতির মূল ভিত্তি। আর তাই বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য এই খাতের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছে। তবে শুধু গাধা নয়, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পশুসম্পদের পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে এই আর্থিক সমীক্ষায়। বর্তমানে পাকিস্তানে গরুর সংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লক্ষ, মহিষ ৪ কোটি ৬৩ লক্ষ, ভেড়া ৩ কোটি ২৭ লক্ষ এবং ছাগলের সংখ্যা ৮ কোটি ৭০ লক্ষ হয়েছে। গত চার বছর ধরে অপরিবর্তিত ছিল উটের সংখ্যা। তবে এই বছর তাও বেড়ে ১১ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ হয়েছে। সব মিলিয়ে পশুসম্পদ খাত পাকিস্তানের জিডিপিতে ১৪.৬৩ শতাংশ অবদান রেখেছে। অনেকে বলছেন, গাধার সংখ্যা বৃদ্ধি দিয়েই জিডিপি লক্ষ্যপূরণ না করতে পারার ব্যর্থতা ঢেকেছে ইসলামাবাদ। পাক অর্থমন্ত্রী মহম্মদ ঔরঙ্গজেব আরো জানিয়েছেন, কৃষিক্ষেত্রের বৃদ্ধি, অন্যান্য সমস্ত ক্ষেত্রকে ছাপিয়ে গিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে কৃষিক্ষেত্রে পাকিস্তানের বৃদ্ধি হয়েছে ৬.২৫ শতাংশ। পাক অর্থমন্ত্রীর দাবি, গত ১৯ বছরে কৃষি খাতে এত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি। কৃষি ক্ষেত্রে এই প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি কিন্তু পশুসম্পদ খাতই।
সূত্র : ফার্স্টপোস্ট