অনলাইন
দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই সীমান্ত সমস্যার দিকে নজর ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের
মানবজমিন ডিজিটাল
(৫ মাস আগে) ১১ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ২:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন
আজ ভারতের বিদেশ মন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় দফার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এস জয়শঙ্কর। ৬৯ বছরের জয়শঙ্কর রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নীতিন গড়করি এবং নির্মলা সীতারামন সহ সিনিয়র বিজেপি নেতাদের মধ্যে একজন যারা পূর্ববর্তী সরকারের পর নতুন মেয়াদেও নিজেদের মন্ত্রিত্ব ধরে রেখেছেন। নতুন দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, আবারো বিদেশ মন্ত্রকের নেতৃত্ব দেওয়া একটি বিশাল সম্মানের বিষয়। গত মেয়াদে, এই মন্ত্রকটি ব্যতিক্রমীভাবে ভাল পারফর্ম করেছে। আমরা জি-২০ প্রেসিডেন্সি ডেলিভারি করেছি। আমরা ‘মৈত্রী’ ভ্যাকসিন সরবরাহ সহ কোভিডের চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করেছি। আমরা অপারেশন গঙ্গা এবং অপারেশন কাবেরির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়াকলাপগুলোর কেন্দ্রেও ছিলাম, গত এক দশকে, প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে এই মন্ত্রকটি খুব জনকেন্দ্রিক মন্ত্রক হয়ে উঠেছে।' আগামী ৫ বছর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উঠে আসে চীন ও পাকিস্তানের প্রসঙ্গ। যার উত্তরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আলাদা। তাদের সঙ্গে আমাদের সমস্যাগুলোও ভিন্ন। এইবারও আমাদের লক্ষ্য পড়শি দেশের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত মিটিয়ে শান্তি বজায় রাখা। চীনের ক্ষেত্রে আমরা চাই সীমান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের পথ খুঁজে বের করা। অন্যদিকে, বছরের পর বছর ধরে যে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ চলছে তা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সমাধানে আসা।’
তার মেয়াদকালে জয়শঙ্কর বিশ্ব মঞ্চে বিভিন্ন জটিল বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছিলেন, দেখিয়েছিলেন আত্মবিশ্বাস। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদির পূর্ববর্তী সরকারে একটি চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্স রেকর্ডের সাথে নেতৃস্থানীয় মন্ত্রীদের একজন হিসাবে আবির্ভূত হন জয়শঙ্কর।
বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘আজ আমরা আমাদের ‘বিশ্ব বন্ধু’ অবস্থান নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী। আজকের এই অশান্ত বিশ্বে আমাদের এই অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্যই আজ অনেকে আমাদের বিশ্বাস করে।’ আগামী ৫ বছরে ভারতের ইউনাইটেড নেশন সিকিউরিটি কাউন্সিলে আসন সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এর বিভিন্ন দিক রয়েছে এবং আমি সম্পূর্ণরূপে আত্মবিশ্বাসী যে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত সফল হবে...আমাদের জন্য, ভারতের প্রভাব শুধুমাত্র আমাদের নিজস্ব উপলব্ধির ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য দেশগুলো কীভাবে দেখছে তাও গুরুত্ব রাখে। তারা মনে করে যে ভারত সত্যিকারের তাদের বন্ধু, এবং তারা দেখেছে যে সংকটের সময়ে, যদি এমন একটি দেশ থাকে যে গ্লোবাল সাউথের সাথে দাঁড়ায়, তা হল ভারত।’
জয়শঙ্কর প্রথম মোদি সরকারের অধীনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও চেক প্রজাতন্ত্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিঙ্গাপুরে ভারতের হাই কমিশনারও ছিলেন (২০০৭-০৯)। জয়শঙ্কর মস্কো, কলম্বো, বুদাপেস্ট এবং টোকিওর দূতাবাসের পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রক এবং রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ে অন্যান্য কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে