প্রথম পাতা
বেনজীরের আরও ১১৯ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ মে ২০২৪, সোমবার
সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রীর আরও ১১৯টি স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানিতে তাদের নামে থাকা শেয়ার জব্দ করারও আদেশ দেয়া হয়েছে। রোববার ঢাকা মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, দুদকের আরও একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের ও তার স্ত্রীর নামে থাকা আরও ১১৯টি স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন। ১১৯টি স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে মাদারীপুর জেলার বেনজীরের স্ত্রীর নামে ১১৪টি দলিলের সম্পদ, একই জেলার আরেকটি উপজেলার ১টি দলিল, সাভারের ১টি সম্পত্তি রয়েছে এবং গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ৪টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২০৪২ স্কয়ার ফিটের ২টি এবং ২০৫৩ স্কয়ার ফিটের ২টি। এ ছাড়া ৪টি নিজ নামীয় কোম্পানি, ৪টি বিও অ্যাকাউন্ট। ১৫টি আংশিক মালিকানাধীন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেনজীর ও তার স্ত্রীর ৮৩টি স্থাবর ও ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করার জন্য আদালতে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ না করা গেলে তা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এরই মধ্যে বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক, জব্দ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের বিষয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে জানান, গত বৃহস্পতিবার অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আদালত বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদ জব্দের যে আদেশ দিয়েছিল, সেটি বাস্তবায়ন শুরু করেছে দুদক। পর্যায়ক্রমে আদালতের আদেশ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কার্যালয় ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এর আগে তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানে নামে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন। বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ই এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র?্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
পাঠকের মতামত
সম্পদের যে দলিল তা বয়সের চেয়ে বেশি আর টাকা ওজনের চেয়ে হাজার গুণ বেশি।
সকল দুর্নীতিবাজ কে আইনের আওতায় আনা হউক
বিচার চাই
বেনজীর আহমেদ দিয়েই জাতীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে কেন ,? যারা বিদেশে অর্থ পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে তা খোলাসা করতে দুদকের ভূমিকা ও জাতি জানতে চায়।
করছেটা কি , শুধু বউর নামে ৩৩ টা ব্যাংক একাউন্ট । রক্ষক হয়ে দেশটার তলানীটাও চেটে পুটে শেষ করেছে !
এরকম আরো হাজার হাজার দুর্নীতিবাজ আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার প্রয়োজন
এত সৎ অফিসার এত এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন, পালন করলেন। তাহলে এত সম্পত্তি অর্জন করলেন কিভাবে? দায়িত্তে থাকার সময় কেউ কিছু জানতে পারলোনা, আজব।
আশাকরি সকল প্রতাপশালী সরকারি কর্মকর্তারা এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিবেন । ঘুষের টাকার সম্পদ চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এভাবেই হাত ছাড়া হতে পারে ।