অনলাইন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন
বাংলাদেশি এমপি হত্যা: অর্থ, বিশ্বাসঘাতকতা আর হানিট্র্যাপের গল্প
মানবজমিন ডিজিটাল
(৮ মাস আগে) ২৫ মে ২০২৪, শনিবার, ৪:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৫৩ অপরাহ্ন

কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে খুন হওয়া বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮। বাংলাদেশি এমপির হত্যার মধ্যে অর্থ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং হানিট্র্যাপের সমস্ত উপাদান রয়েছে বলে মনে করছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ ৫৬ বছর বয়সী আওয়ামী লীগের তিনবারের সংসদ সদস্যকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বেশ কয়েক মাস আগে। সে সময় ২৪ বছর বয়সী কসাই জিহাদ হাওলাদার নামে একজন অবৈধ অভিবাসীকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এবং আজীমেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আখতারুজ্জামান।
বিভিন্ন সূত্র নিউজ১৮ কে জানিয়েছে যে, সাংসদকে একজন ২৪ বছর বয়সী নারী প্রলুব্ধ করেছিলেন যিনি শিলাস্তি রহমান নামে পরিচিত (খুনের পর গ্রেপ্তার হয়েছেন)। শিলাস্তি আজীমকে কলকাতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তখন তাকে অজ্ঞান করার জন্য ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। কসাই এবং অন্য তিনজন মিলে আজীমের চামড়া তুলে লাশ টুকরো টুকরো করার আগে তাকে হত্যা করার জন্য একটি বালিশও ব্যবহার করা হয়েছিল।
অভিযুক্ত কসাই পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে সে এবং তিনজন বাংলাদেশি মিলে এই কাজ করেছে।
কে এই আখতারুজ্জামান?
বাংলাদেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এবং পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি'র বিশ্বাস, আজীমকে হত্যার পরিকল্পনা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়রের ছোট ভাই আখতারুজ্জামান ওরফে শাহীনই করেছিলেন।
তিনি কথিত হত্যাকারীদের এ কাজের জন্য ৪ কোটি বাংলাদেশি টাকা দিয়েছিলেন। এমপি আজীম চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসার একদিন পর ১৩ মে উক্ত ফ্ল্যাটে তাকে হত্যার পর আখতারুজ্জামান ভারতে পালিয়ে যান বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানায়, আজীম ও আখতারুজ্জামান ছোটবেলার বন্ধু এবং সোনার ব্যবসার অংশীদার ছিলেন। ব্যবসার অর্থ নিয়ে এক সময় তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।
পাঠকের মতামত
যার উত্থান যেইভাবে তার বিদায় হয় একই ভাবে।
যারা বাংলাদেশের অলিগার্ক শ্রেণীর ব্যবসায়ী, তাদের এই হত্যাকাণ্ড থেকে শিক্ষনীয় বিষয় আছে। ভাগাভাগি নিয়ে ঝামেলা করলে এই রকম ঝামেলায় পড়ে যাবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টাকা বাজেয়াপ্ত করে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, ভারত টাকা বাজেয়াপ্ত করে যার টাকা ইন্ডিয়ায় থাকে তাকে হ*ত্যার মাধ্যমে, প্রকৃত অর্থে তদন্ত হওয়া উচিৎ আনোয়ারুল আজিম ভারতে প্রবেশের আগে কত-শত কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার করে নিয়ে ভারত গিয়েছিল!