অনলাইন
লোকসভা ভোটের হারে অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুললো কংগ্রেস
মানবজমিন ডিজিটাল
(৬ মাস আগে) ২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন তুলেছে, কেন কমিশন ভোটের হার জানাতে দেরি করছে? কেন নির্বাচন কমিশন কোন বুথে কত ভোট পড়েছে, সেই তথ্য বা ফর্ম নিজেদের ওয়েবসাইটে তুলে দিচ্ছে না?
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটার টার্ন আউট অর্থাৎ কত ভোট পড়েছে, সেই তথ্য নির্বাচনে প্রার্থী বা তার এজেন্টকে ছাড়া অন্য কাউকে জানানোর কোনও আইনি নির্দেশ নেই। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে, সেই সংখ্যা প্রকাশ করারও কোনও আইনি সংস্থা নেই।
কমিশনের তরফে ২২৫ পাতার হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ভোট গ্রহণের পর শুধুমাত্র প্রার্থী এবং তার এজেন্টকেই কত ভোট পড়েছে, সেই তথ্য সম্বলিত ফর্ম ১৭ঈ দেয়ার আইনি বিধান রয়েছে। এর মধ্যেই ভোটের হারে অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেসের দাবি- 'লোকসভা ভোটের প্রথম চার দফায় ভোটগ্রহণের পরে নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে যে ভোট পড়েছিল বলে জানিয়েছিল, আর শেষে যা জানিয়েছে, তার মধ্যে ১ কোটি ৭ লাখ ভোটের ফারাক।
কংগ্রেসের অভিযোগ, এর ফলে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে গড়ে প্রায় ২৮ হাজার ভোটের ফারাক হয়ে যাচ্ছে। 'চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটের পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কমিশন প্রাথমিকভাবে যে ভোটের হার বলেছিল, তিন-চার দিন পরে তার থেকে ৫-৬ শতাংশ বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছিল।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘‘এটা বিরাট অসঙ্গতি। যেসব রাজ্যে বিজেপির আসন হারানোর সম্ভাবনা বেশি, সেখানে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত ভোটের হারের মধ্যে অসঙ্গতিও বেশি। হচ্ছেটা কী?” নির্বাচন কমিশনের হলফনামা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করছে কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো।
এক্স হ্যান্ডেলে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রশ্ন করেন, “যদি কত ভোট গণনা হয়েছে সেই তথ্য আপলোড করা যায়, তাহলে কত ভোট পড়েছে তা কেন আপলোড করা যাবে না?”
সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস
পুরাই বাংলাদেশের নির্বাচন
পরে ভুয়া ভোট বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে যোগ করতে ভোটের হার বৃদ্ধি হচ্ছে । এবারের নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়।