ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ রজব ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

নেপথ্যে কী?

কলকাতায় খুন বাংলাদেশি এমপি আনার

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবারmzamin

শঙ্কা ছিল আগে থেকেই। তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকতে পারেন। আকার ইঙ্গিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন সূত্র থেকে এমনটি বলা হয়েছিল। পরিবার-আত্মীয়স্বজন ও তার অনুসারীরাও কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন। দুই দেশের পুলিশের মধ্যেও তথ্য চালাচালি চলছিল। সবকিছু ছাপিয়ে বুধবার খবর এলো ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আর বেঁচে   
নাই। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারপর একে একে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে আজিমকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এমপি’র মরদেহ এখনো উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় ভারতের কেউ জড়িত নয় অপরাধীরা সবাই বাংলাদেশি। তাই এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো ধরনের ফাটল ধরবে না। দেশের বাইরে এটি প্রথম কোনো এমপি খুনের ঘটনা। 

গত ১২ই মে ঢাকার সংসদ ভবন এলাকা থেকে বের হয়ে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এমপি আজিম। সবাইকে বলেছিলেন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। কলকাতায় গিয়ে তিনি তার দীর্ঘ দিনের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বরাহনগরের বাড়িতে উঠেছিলেন। ওই বাড়িতে দু’দিন থাকার পর তিনি সেখান থেকে চলে যান। এরপর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পরিবারের সদস্যরাও বন্ধু গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গোপালও জানান তার সঙ্গেও আজিমের যোগাযোগ হচ্ছে না। মূলত ১৪ই মে পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। ১৬ই মে তার ফোন থেকে তারই ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফের কাছে ফোন আসে। তবে সেই ফোনটি কে করেছিল সেটিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ রউফ ফোনটি ধরতে পারেননি। পরে আবার তিনি ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পান। খোঁজ না পেয়ে গোপাল বিশ্বাস ১৮ই মে থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। অভিযোগের তদন্ত করার জন্য একটি টিম তৈরি করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। সেই তদন্ত চলাকালেই ২২শে মে তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানতে পারেন আজিমকে হত্যা করা হয়েছে। তার সর্বশেষ অবস্থান যেখানে ছিল সেই জায়গাটি খুঁজে বের করে স্থানীয় থানা পুলিশ। পরে মামলার ভার সিআইডিকে দেয়া হয়।

কেন এই হত্যাকাণ্ড: তদন্তসংশ্লিষ্টরা এখন এমপি খুনের পেছনে কী কারণ রয়েছে সে বিষয়ে এখন মুখ খুলছেন না। এ ঘটনায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বরাত দিয়েও কিছু জানানো হয়নি। তবে পুলিশ ও গোয়েন্দারা দুটি ক্লু নিয়ে কাজ করছেন। তবে একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে আনোয়ারুল আজিম হত্যাকাণ্ডের পেছনে হুন্ডি, ড্রাগস ও স্বর্ণ চোরাচালানের মতো বিষয় জড়িত থাকতে পারে। এ নিয়ে তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কিছু মানুষের দ্বন্দ্ব চলছে। বলা হচ্ছে, এসব কারবারে বহু বছর ধরে একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন আজিম। এ ছাড়া রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণেও তিনি খুন হতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। কারণ একেবারে প্রান্তিক পর্যায় থেকে উঠে এসে তিনি এখন টানা তিনবারের এমপি। এ ছাড়া তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। 

কী হয়েছিল: যে ফ্ল্যাটে এমপিকে হত্যা করা হয়েছে ওই ফ্ল্যাটে ঘটনার সময় বাংলাদেশি দুই তরুণী উপস্থিত ছিলেন। ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে তারা আগে থেকেই ছিলেন। নিউটাউন এলাকার একটি বাড়ির ওই ফ্ল্যাটটির মালিক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরের কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার রায়। তার কাছ থেকেই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসী ও আমেরিকার পাসপোর্টধারী আকতারুজ্জামান। তবে তার ফ্ল্যাটে কেন ওই এমপি গিয়েছিলেন সেই তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সেই ফ্ল্যাটে ওই এমপি ছাড়া বাংলাদেশি দুই তরুণী এবং আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। তাদের কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- শাহীন, রাজা, সিয়াম, জিয়াদ। এর বাইরে আর কতোজন ছিলেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। ভারতীয় পুলিশ আজিমের সর্বশেষ অবস্থান জানতে গিয়ে ওই ফ্ল্যাটটি শনাক্ত করে। পরে সেখানে গিয়ে দেখা যায় রক্তের দাগ লেগে আছে। সেই রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে সেটি আজিমের কি না। তবে তার মরদেহ উদ্ধার নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটছে না। ডিবি ওই দুই তরুণীকে তাদের হেফাজতে এনেছে। তরুণীরা ডিবিকে জানিয়েছে, শাহীন ও আকতারুজ্জামানকে তারা ভালো মানুষ হিসেবেই চিনতেন। তারা তরুণীদের জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে একজন বিশেষ ব্যক্তি আসবেন। তবে কে সেই বিশেষ ব্যক্তি তার নাম তাদেরকে বলা হয়নি। পরে এমপি ওই ফ্ল্যাটে আসেন। ঘটনার দিন তারা যে কক্ষে ছিলেন সেখান থেকে শুধু ব্লিচিং পাউডারের গন্ধ পেয়েছেন। এতবেশি ব্লিচিং পাউডার ফ্ল্যাটে ছিটানো হয়েছিল গন্ধ সহ্য করা যায়নি। তারা ধারণা করছেন এমপিকে হত্যা করে রক্তের গন্ধ যাতে না ছড়ায় সেজন্য ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়। 

মরদেহ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না: হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দুই দেশের পুলিশ বক্তব্য দিলেও মরদেহ নিয়ে জটিলতা রয়ে গেছে। কলকাতার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি এখন পরিষ্কার করেননি। তবে মরদেহ উদ্ধার না করে হত্যার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করা হলো এই প্রশ্নও সামনে আসছে। কোনো কোনো সূত্র বলছে, যে ফ্ল্যাটে এমপিকে হত্যা করা হয়েছে সেখান থেকে মরদেহ টুকরো টুকরো করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। 

আনোয়ারুল আজিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ডিএমডির শেরেবাংলা নগর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করেছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন (২৪)। মামলায় তিনি বলেছেন, ফ্ল্যাট নং-৮০৪, ৮ম তলা, বিল্ডিং নং-৫, মানিক মিয়া এভিনিউ সংসদ সদস্য ভবনে তারা সপরিবারে বসবাস করেন।  ৯ই মে তার বাবা ওই বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ১১ই মে ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে তার কথা হয়।  এসময় তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে সেটি বন্ধ পায়।  ১৩ই মে বাবার ইন্ডিয়ান মোবাইল নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপস থেকে উজির মামার মোবাইল নম্বরে ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন  দেবো’ এমন একটি মেসেজ আসে। এটি ছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। উক্ত মেসেজগুলো আমার বাবার ফোন ব্যবহার  করে অপহরণকারীরা করতে পারে। আমরা বিভিন্ন স্থানে বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। বাবার কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস ইন্ডিয়ার বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে একটি জিডি করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, আমরা বাবাকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি।  পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণ করেছে। 

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এমপির মেয়ে আমাদের কাছে এসে বলেছেন বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর তাকে পাওয়া যায়নি। সেখানে কী ঘটেছে? মূলত মামলা রুজু করার পরামর্শ নিতে এসেছেন। আমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছি তার বাবা যেখান থেকে বের হয়েছেন ওই এলাকার থানায় মামলা করার জন্য। ঘটনাটি আসলে মর্মান্তিক। নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। তদন্ত কাজ আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই করছি। কারণ তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জনপ্রিয় এমপি। তিনবারের এমপির এমন হত্যাকাণ্ডে আমরাও শোকাহত। এ ঘটনায় আমরা নিবিড়ভাবে ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের কাছে কয়েকজন আটক আছে। তাদের সঙ্গে সবসময় কথা বলতেছি। অনেক তথ্য পাচ্ছি। এসব তথ্য তদন্তের স্বার্থে বলতে চাচ্ছি না। একজন এমপিকে বাংলাদেশের কিছু অপরাধীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। তবে  কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে এর পেছনে পারিবারিক, আর্থিক  নাকি এলাকার কোনো দুর্বৃত্তায়নদের দমন করার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা সবকিছু আমরা খতিয়ে দেখছি। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, আনোয়ারুল আজিম আনারকে ভারতের কলকাতায় হত্যা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশি কেউ তাকে হত্যা করেছে। কলকাতার এক বাসায় তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। খুনের মোটিভ, কারা খুন করেছে এসব জানতে ভারতের পুলিশ কাজ করছে। তবে কে বা কেন খুন করা হয়েছে কিংবা কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে আনোয়ারুল আজিমকে খুন করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে সেই তথ্য প্রকাশ করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, তদন্ত শেষ হলে জানানো হবে তিনি কেন খুন হয়েছেন, কে কে খুন করেছে, কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে খুন হয়েছেন। দুই দেশের পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনায় আটকদের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুব পজেটিভ ওয়েতে তদন্ত চলছে। যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল আমরা পরে সেগুলো প্রকাশ করবো। আমরা আরও কয়েকজনকে ধরার প্রচেষ্টায় আছি। এটা একটা খুন। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, কারণ ভারতের কেউ এখানে জড়িত হন নাই। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে আমাদের দেশের মানুষই এর সঙ্গে জড়িত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপিও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগরের নিউ টাউনের যে ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে কোনো লাশ খুঁজে পায়নি পুলিশ। কলকাতা পুলিশ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনকে এ তথ্য জানিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ডিবি আটক করেছে, কলকাতা পুলিশও দুজনকে আটক করেছে। কীভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে। আমরা কলকাতায় আমাদের উপ-হাইকমিশনের মাধ্যমে খোঁজ রাখছি। মিশনও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।

পাঠকের মতামত

ঝিনাদহ এলাকায়, ২০১৬ সালে, ১৪ জন মানুষকে খুন করার মূল খলনায়ক হল এই এমপি আনোয়ারুলআজিম আনার। পত্রিকা পাতা খুজলেই এগুলো পাওয়া যাবে। আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।

মোঃ পলাশ
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১:০৮ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে দিনদিন।। আওয়ামী লীগ একটি জনপ্রিয় দল ছিলো। এদেশের মানুষ অনেক বিশ্বাস করে ২০০৯ সালে এদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো। অথচ এরা দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে আজকে জনহীন দলে পরিনত হয়েছে।।

Lavlu
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১:০২ অপরাহ্ন

সোহানের মা বলেছিল মেরেই যখন ফেলবে যখন মারবার আগে আমার ছেলের চোখ কেন তুলে নিল! হাত কেন ভেঙ্গে দিল!! আল্লাহর কি অপার মহিমা! আনারের শরীরে কিছু এখনো পাওয়া যায়নি। আশা করছি ঘাতকেরা তার লাশকে টুকরো টুকরো করেছে এবং কুকুরপাল ইতোমধ্যে গোস্তের স্বাদ নিয়ে ফেলেছে।

মজলুম সোহান
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

"তবে একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে আনোয়ারুল আজিম হত্যাকাণ্ডের পেছনে হুন্ডি, ড্রাগস ও স্বর্ণ চোরাচালানের মতো বিষয় জড়িত থাকতে পারে"। এই ব্যক্তিকে কেন হত্যা করা হবে? কারণ উনি ফেরেস্তার মত মানুষ ছিলেন! দেখুক জনগণ এবং চিন্তা করুক বাংলাদেশে।

গর্জন
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

বালাদেশের কার এত বড় বুকের পাটা যে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের সাংসদকে সফলভাবে হত্যা করে আসতে পারে । সেতো তাহলে ইচ্ছে করলেই দুনিয়ার যেকোন স্থানে গিয়ে এভাবে হত্যাকাণ্ড চালাতে ভারে! সেই ভয়ংকর খুনিটা কে ???

নীলিমা
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৮:২৬ পূর্বাহ্ন

বাহ! বাংলাদেশের একজন এমপি চোরাচালানে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিদেশে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কি লজ্জা

Digital
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৮:০১ পূর্বাহ্ন

এমপি আনোয়ারুল আজিম হুন্ডি, ড্রাগস ও স্বর্ণ চোরাচালানের চক্রের একজন সদস্য। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, স্বর্ণ চোরাচালানের আন্তর্দেশীয় চক্রের দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারুলকে ভারতে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Digital
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৮:০০ পূর্বাহ্ন

এ রকম কূখ্যাত বা বিখ্যাত এমপি কতজন আছে বর্তমান সংসদ এ?

ইতরস্য ইতর
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১:২০ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status