অর্থ-বাণিজ্য
প্রতারকেরা নকল পণ্য উৎপাদন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে: শিল্পমন্ত্রী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৬ মাস আগে) ২০ মে ২০২৪, সোমবার, ৭:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
ব্যবসায়ী নামক একধরনের প্রতারকেরা নকল পণ্য উৎপাদন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এ বিষয়ে বিএসটিআইয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সোমবার বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, অনেক ভালো ব্যবসায়ী আছেন, যারা আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বাজারজাত করে বিশ্ববাজারে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছেন। আবার অনেকে নকল পণ্য উৎপাদন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। পণ্যের মান ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে বিএসটিআইকে আপসহীন ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে উৎপাদিত প্রতিটি পণ্য দেশ-বিদেশে সমাদৃত হয় সেভাবে কাজ করা হচ্ছে। এ জন্য বিএসটিআইয়ের অফিস ও ল্যাবরেটরি বাড়ানো হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও বিএসটিআইয়ের কাজে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, বিএসটিআইকে শক্তিশালী করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিএসটিআইতে আরও বেশ কিছু নতুন ল্যাবরেটরি স্থাপিত হবে। ফলে দেশে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদিত হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে। সরকারের উচিত আরও নতুন নতুন যন্ত্রপাতি দিয়ে বিএসটিআইকে অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।
বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, মানচিহ্ন নকল ও অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অনলাইন কিউআর কোড সংবলিত লাইসেন্স, পণ্যের হালাল সনদ, স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাইপূর্বক সনদ দেওয়া হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে বিএসটিআইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় চালু, নতুন জনবল সৃজন, পণ্য পরীক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মানের নতুন নতুন ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং বিদ্যমান ল্যাবরেটরিগুলোতে নতুন নতুন পণ্য পরীক্ষণ প্যারামিটার সংযুক্ত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের মহাপরিচালক মু. আনোয়ারুল আলম, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম, ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) মহাপরিচালক মুহম্মদ মেসবাহুল আলম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান, বিএসটিআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন, সরদার আবুল কালামসহ শিল্প মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
নকলই তো চলছে দেশ। আপনি কী নকলের বাহিরে?