খেলা
১১ কোটি ২৯ লাখ টাকায় বিক্রি হলো মেসির সেই ন্যাপকিন
স্পোর্টস ডেস্ক
(৬ মাস আগে) ১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ৪:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
গল্পটা ফুটবলের বিখ্যাত ঘটনাগুলোরই একটি। ২০০০ সালে আর্জেন্টিনার ১৩ বছর বয়সী ফুটবলার লিওনেল মেসির সঙ্গে একটি ন্যাপকিন পেপারে লিখিত চুক্তি করেছিল স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। মূলত ১৪ই ডিসেম্বর হওয়া ট্রায়ালে মেসি এতটাই মুগ্ধ করেন সবাইকে যে, তারা আর দেরি করতে চাননি। নিজেদের টেনিস ক্লাবে বসেই চুক্তি সেরে ফেলে বার্সা কর্তারা। এবার সেই ন্যাপকিন নিলামে বিক্রি হলো ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে জানা যায়, বৃটিশ নিলাম প্রতিষ্ঠান বোনহামস ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার মার্চে নিলামে তুলবে । মার্চে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, ন্যাপকিন পেপারের দাম ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। কিন্তু নিলামে এএফপির প্রত্যাশাও ছাড়িয়ে গেছে।
নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস জানিয়েছে, শুক্রবার ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা) বিক্রি হয়েছে। নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার।
ন্যাপকিন পেপারে প্রাথমিক চুক্তি সারার পর ২০২১ সালে বার্সেলোনা ছাড়ার আগে ক্লাবটির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছেন মেসি। কাতালান ক্লাবটির হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন এই ফুটবল জাদুকর।
তার কিংবদন্তি হয়ে ওঠার যাত্রা শুরুও ন্যু ক্যাম্প থেকেই। ন্যাপকিন পেপারে করা সে চুক্তিতে লেখা ছিল, ‘বার্সেলোনায় ১৪ই ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।’ প্রথমে মেসির নাম সুপারিশ করেন আর্জেন্টাইন এজেন্ট হোরাশিও গ্যাগিওলি। তার উপস্থিতিতেই ন্যাপকিন পেপারে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। বোনহামস জানিয়েছে, ন্যাপকিন পেপারটি গ্যাগিওলির কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
সেদিন মেসির বাবা হোর্হে মেসি ছেলেকে আর্জেন্টিনায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। হোর্হেকে আশ্বস্ত করতে বার্সা তড়িঘড়ি করে ন্যাপকিন পেপারে চুক্তিটি সম্পন্ন করে। মূলত ঘটনাস্থলে একজন ওয়েটারের কাছে কাগজ চেয়েছিলেন বার্সার তখনকার ক্রীড়া পরিচালক রেক্সার্স। কিন্তু সেই ওয়েটার কাগজের বদলে তাকে একটি সাদা ন্যাপকিন পেপার দেন। শেষ পর্যন্ত তাতেই মেসির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই ন্যাপকিন পেপারে গ্যাগিওলি, মিনগেলা ও রেক্সার্সের সই আছে।
বার্সার হয়ে ৪ বার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ ও ১০ বার লা লিগা জয়ের পর ২০২১ সালে ক্লাব ছাড়েন মেসি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লীগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলা এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের বার্সা ছাড়া নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক।